জেনারেল রাইটিং।। প্রথমবার খুলনায় যাওয়ার অনুভূতি।।(পর্ব -০৫)।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৮/০৮/২০২৪) রোজ: রবিবার।
💞 শুভ বিকেল 💞
আপনারা জানেন আমি ইতিপূর্বে আমার এই ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা অর্থাৎ এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষার জন্য আমি সাময়িক ছুটি নিয়েছি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার কাজের ধারাবাহিকতাই ফিরে আসার চেষ্টা করছি।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
ইতিপূর্বে আপনারা যারা আমার এই খুলনায় যাওয়ার অনুভূতি গুলো পর্বের মাধ্যমে দেখেছেন। আশা করছি আজকের পর্বটি দেখেও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। খুলনায় প্রথমবার যাত্রা করে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আমি আলমডাঙ্গা থেকে ট্রেনে উঠেছিলাম। এদিকে ঠিক চার ঘন্টা জার্নি করার পরেই আমি খুলনায় পৌঁছালাম। খুলনা স্টেশনে নেমে চারিদিকের দৃশ্যটা ছিল খুবই সুন্দর। আমরা পৌঁছাতেই মাগরিবের আজান দিয়েছিল। আর সন্ধ্যার মুহূর্তে চারিদিকে লাইটে দেখতে লাগছিল অসাধারণ।
ট্রেন থেকে নেমেই স্টেশনের পাশ থেকে উপরের ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে।
যতই সামনের দিকে যাচ্ছি ততোই জেনো এক অন্যরকম ভিউ আমি দেখতে পাচ্ছি। সত্যিই ঐদিনকের আবহাওয়াটাও ছিল বেশ ভালো। সব মিলিয়ে খুলনায় পৌঁছাতে চারিদিকের মনোরম দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করেছিল। ট্রেন থামতে ট্রেন থেকে নেমে সামনে স্টেশনে যাওয়ার সময় উপরের ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে।
খুলনা রেলস্টেশনটা সত্যিই অনেক সুন্দর। যদিও এর আগে আমার কখনো যাওয়া হয়েছিল না। তাই খুলনায় যাওয়ায় স্টেশন এর এরকম দৃশ্য দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লেগেছে। সত্যিই নিজের চোখে না দেখতে পারলে বুঝতামই না যে এটা এত সুন্দর। রেল স্টেশনের বাহিরে দেখতে খুবই চাকচিক্যময়। এমনকি খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। স্টেশনটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। আমি একটা বিষয়ের লক্ষ্য করেছিলাম যে সেখানে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ চলছে। বারবার সেখানে ঝাড়ু দেয়া হচ্ছে সাথে সেখানে নির্দিষ্ট সব কিছু একটা সীমানা রয়েছে। সব মিলিয়ে বাইরের দৃশ্যটা ছিল দেখার মতো। না জানি ভেতরটা কত সুন্দর। তাই এমন সময় আমি একটা শিল্পের ছবি সহ আমার নিজের একটা ছবি তুলে নি। আসলে এমন মুহূর্ত উপভোগের মধ্যে যদি ছবিগুলো না থাকে ফোনে তাহলে সেগুলো স্মৃতি হিসেবে আর থাকে না বললেই চলে। তাই উপরের ছবিগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
ফাইনালি স্টেশনে প্রবেশ করার গেটে গিয়ে সেখানে দুইটা আনসার বাহিনী রয়েছে। সাথে পুলিশও রয়েছে। তারা আমাদেরকে চেকআপ করে নিল। সেই সাথে আমাদের টিকিটগুলো দেখে নিল এবং ভেতরে প্রবেশ করতে বললো। এরপরে আমি যে টিকিট কেটে খুলনায় এসেছি সেটা তাদের কাছে দেখালাম। তারপর তারা আমাকে চেকআপ করে ভিতরে প্রবেশ করালো। ফোনের মধ্যে নিচ ফ্লোরটা দেখতে অসাধারণ লাগছিল। তাই ঝটপট ফোনটা বের করে সেখান থেকে উপরের এই দুটি ছবি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। এই স্টেশনটি খুবই সুন্দর একটি স্টেশন। সেই সাথে জায়গাটা দেখলেই যেন মন ভরে যায়। সত্যি ভিতরে প্রবেশ না করলে আমি জানতাম না যে এটা এত সুন্দর একটি জায়গা। স্টেশনের মধ্যে প্রবেশ করে আমার একটা ভালো লাগা কাজ করলো।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
প্রথম খুলনায় ভ্রমণের পঞ্চম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আরে ভ্রমণ কাহিনী থেকে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো। অভিজ্ঞতা শেয়ার করা ভালো এতে অন্যরা জানার সুযোগ পায়। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।