জেনারেল রাইটিং।। প্রথমবার খুলনায় যাওয়ার অনুভূতি।।(পর্ব -০৭)।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (৩০/০৮/২০২৪) রোজ: শুক্রবার।
💞 জুম্মা মোবারক 💞
গত কয়েকদিন ধরে খুব একটা ভালো নেই। যে কারণে গত রাতের ঘুমটা ভালো হয়নি। তাই সকাল অব্দি ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছে। তারপর ঘুম থেকে ৯ টার সময় উঠলাম। তারপর ব্রাশ হাতে নিয়ে দাতন করতে করতে গোসলখানায় গেলাম। গোসল শেষ করে সকালের নাস্তা খেলাম। আজ কয়েকটা দিন অনেক ঠান্ডা লেগেছে যে কারণে তেমন একটা ভালো লাগছে না। এরপর রেডি হয়ে গাংনীতে গেলাম। গাংনী থেকে ঔষধ ক্রয় করে বাসার দিকে। এমন সময় বাজারে আনারস দেখতে পেয়ে খেতে ইচ্ছে করেছিল। তাই দুইটা আনারস ১৪০ টাকা দিয়ে ক্রয় করলাম। এরপর সোজা বাসার দিকে রওনা দিলাম। তারপর আযান দিতেই নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষ করে দুপুরের খাওয়া শেষ করলাম। দুপুরে খাওয়া শেষ হলে ভাবলাম একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক। তাই এখান পোস্ট লিখতে বসলাম।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
ইতিপূর্বে আপনারা যারা আমার এই খুলনা ভ্রমণের পর্ব গুলো দেখে আসছেন । আশা করছি আজকের পর্বটিও আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে। তো খুলনায় আসছে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তারপর খোঁজার জন্য আমরা ব্যস্ত ছিলাম। এ বিষয় নিয়ে পূর্বের পর্বে আমি আপনাদের সব বলেছি। তাই এখন সেদিকে আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না। তো ফাইনালি আমরা একটা হোটেল পেলাম। এটা হচ্ছে হোটেল এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল। হোটেল দেখে আমাদের পছন্দ হলো। আমরা ছিলাম চারজন। তাই দুইটা রুম নিয়েছিলাম। প্রতিটা রুমের ভাড়া চেয়ে ছিল এক রাতের জন্য ৬০০ টাকা। তাই আমরা ১২০০ টাকা দিয়ে দুইটা রুম নিয়েছিলাম। কেননা অনেকটা জার্নি করেছি ।তাই আমাদের ঘুমের প্রয়োজন । তার জন্য একটা ভালো রুমের প্রয়োজন। রুম ঠিক করার পরেই আমরা টাকা পরিশোধ করলাম। এবং তারা আমাদের হাতে ঐ রুমের চাবি দিয়ে দিল। আর ঐ সময় আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। আপনারা উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমার হাতে একটা চাবি। এবং সেখানে দেখতে পাচ্ছেন রোম নম্বর লেখা আছে। আমাদের রুম নাম্বার ছিল ৪৩১ । এবার চাবি নিয়ে আমরা আমাদের রুমে চলে গেলাম।
আমি যখন খুলনায় গিয়েছিলাম তখন আগে থেকে আপুর বাসায় গিয়েছিলাম। আর আপুর বাসা থেকে আমি খুলনায় রওনা দিয়েছি। আমার আসার সময় আপু আমার জন্য রুটিসহ ডিম ভাজি দিয়েছিল। আমি নিতাই চাইছিলাম না। তবে খুলনায় এসে রুম পাওয়ার পরে সে খাবারগুলো কাজে লেগেছিল। কেননা অনেকটা পথ জার্নি করে গিয়েছে তাই ভালোই খিদে লেগেছিল। তাতে একটু বিশ্রামের প্রয়োজন। কেননা হঠাৎ করে হোটেলে যাওয়া হচ্ছে না ।কারণ অনেকটা ক্লান্তি লাগছিল। তাই ব্যাগ থেকে আমি রুটি আর ডিম ভাজি বের করি। এরপরে আমরা এগুলো খেয়ে নি। এগুলো খাওয়ার সময় উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করেছি। যাক অনেকটা জার্নি করে রুটি খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। আমি সহ আমার যে সহপাঠীরা ছিল তিনজন তারা সবাই মিলে রুটি খেয়ে নি। তারপর আমরা চিন্তা ভাবনা করলাম এখন একটু রেস্ট নেওয়া যাক। ১০-১৫ মিনিট পরে আমরা বাইরে হোটেল থেকে ভালো খাবার খেয়ে নেব।
এরপরে ১০-১২ মিনিট আমরা বিশ্রাম নিলাম। এরপরে আমরা চারজন রেডি হলাম বাইরে খেতে যাওয়ার জন্য। আসলে একটা বিষয় হচ্ছে সাথে যদি অপরিচিত কেউ থাকে আর তাদের সাথে পরিচয় হয়ে বন্ধুত্বটা কিন্তু সেই। যেটা আমার সাথে হয়েছিল। আমি সহ আমার সাথে যে তিনজন ছিল। তাদের সাথে আমার আগে কখনো পরিচয় হয়নি। ট্রেনের মধ্যেই তাদের সাথে পরিচয় এবং বন্ধুত্ব। যাক ভালই লেগেছিল আমার। পরে তাদের সাথে পরিচয় হয়ে দেখলাম আমি তাদের এক বছর সিনিয়ার। তাই ওরা আমাকে ভাই ভাই করে ডাকতে লাগলো। তবে বিষয়টা আমি ফ্রেন্ডশিপ ভাবলাম। এবং বন্ধুত্বসুলভ ও আচরণ করলাম। তবে এরপর আমরা রেডি হয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য রুম থেকে বের হলাম। রুম থেকে বের হওয়ার পরে সিঁড়ির মাঝখানে বড় একটি আয়না লক্ষ্য করলাম। তাই আমার ওখানে দাঁড়িয়ে পড়লাম এবং উপরের ছবিগুলো আমি আমার ফোনে ধারণ করলাম। এরপরে কয়েকটা ছবি তুলে আমরা নিচে নেমে আসলাম।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
প্রথমবার খুলনা যাওয়ার খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপনি৷ প্রতিনিয়তই আপনি খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন৷ আজকে এর সপ্তম পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ এখানে আপনি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এবং অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার খুলনায় যাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি প্রথমবারের মতো খুলনা ভ্রমণ করেছেন। আর সে বিষয়ে একাধিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করে চলেছেন আপনি। খুব ভালো লাগলো আপনার এই ভ্রমণ পোস্ট জানতে পেরে।
ধন্যবাদ আপু এভাবেই পাশে থাকবেন।
প্রথমবার খুলনায় যাওয়ার অনেক সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। যদিও এর আগে পর্বগুলো আমি দেখিনি তবে আজকের পর্বটা বেশ ভালো লাগলো। আপনার আপু একদম ঠিক করেছে আপনার সঙ্গে কিছু খাবার দিয়ে। কেননা আমরা যদি প্রথম কোথাও যাই সেখানে গিয়ে কত দেরি হবে একটা রুম খুঁজতে বা অন্য কিছুতে এতে ক্ষুধা লেগে যেতে পারে আর বাইরের থেকে ঘরের খাবার অনেক স্বাস্থ্য সম্মত। তাছাড়া সেখানে গিয়ে আপনি অপরিচিত হলেও চারজন মিলে বেশ বন্ধুসুলভ ভাবেই ছিলেন। বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।