জেনারেল রাইটিং।। প্রথমবার খুলনায় যাওয়ার অনুভূতি।।(পর্ব -০৯)।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৪/০৯/২০২৪) রোজ: শনিবার।
💞শুভ দুপুর💞
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। তারপর ফ্রেশ হয়ে প্রতিদিনের ন্যায় নাস্তা শেষ করি। আজকে সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে। এমনকি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বৃষ্টি সাথে অনেক জোরে বাতাস হচ্ছে। আসলে আজকে ভারে বৃষ্টি বর্ষণের কথা ছিল। বেলা ১১ টার সময়। আজকে আমি নাস্তা করেই একটু জরুরী কাজে গাংনীতে যায়। গাংনীতে যাওয়ার সময় দেখি আকাশ খুব সুন্দর। সেই সময় বৃষ্টি হয়েছিল না। আকাশ ছিল খুবই পরিষ্কার এবং রোদ ছিল। আমি মনে করেছিলাম হয়তো বৃষ্টি আর হবেনা। তাই ছাতা না নিয়ে গাংনী রওনা দিলাম। গাংনী পৌঁছে গিয়ে কাজ শেষ করলাম। আজকে আবহাওয়া খারাপ কারণে ভ্যান গাড়িতে গিয়েছিলাম। যেতে যেতে পোশাক এর বারোটা বেজে যায়। সেখানে পৌঁছে আগে ফ্রেশ হলাম। আজকে কম্পিউটারের দোকান একটু কাজ ছিল তাই কম্পিউটারের দোকানে যাই। সেখানে কাজ শেষ করে আবার বাসার দিকে রওনা দিলাম দ্রুত। কেননা আকাশের অবস্থা তেমন একটা ভালো নেই। এবার অটো স্ট্যান্ডে এসে অটো গাড়িতে উঠলাম। এরপর অটো গাড়িতে ওঠার পরেই দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। অটো গাড়িতে উঠার কারনে যাইহোক বৃষ্টি থেকে একটু রেহাই পেলাম। এরপরে বাড়িতে রওনা দিলাম। তারপর করিম পুরে এসে অটো গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম। এবার অপেক্ষায় আছি বাড়িতে যাওয়ার গাড়ির জন্য। আসলে করিমপুরে এসেই দেখি আর কোনো গাড়ি নাই। আবার এদিকে বৃষ্টির চাপও অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেই সাথে অনেক জোরে ঝড় হচ্ছে। যাক ঐখানে একটা দোকান ছিল। সেই দোকানে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম। এরপরে দেখি একটা পাখি ভ্যান আসলো। ভালোই হলো ভ্যানটি ছিল আমাদের গ্ৰামের। তারপরে সেই গাড়িতে করে বাড়িতে আসলাম। আসলে সেই গাড়িতে আস্তে আসতে আমি ভিজে গিয়েছিলাম। এভাবে আজকে আমি অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়েই বাড়িতে আসলাম। এসে গোসল করলাম। গোসল শেষ করে খাবার খেলাম । তারপরে ভাবলাম আজকে একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক। তারপরেই পোস্ট লিখতে বসলাম।
আমি আজকে আপনাদের মাঝে যে বিষয় পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই বিষয়ে ইতিপূর্বে আমি আপনাদের মাঝে বেশ কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছি। এর আগের পর্ব আপনারা যারা দেখেছেন তারা বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। চারজন খুলনায় প্রথম গিয়েছিলাম। সত্যিই কোন জায়গায় প্রথম যাওয়া অনুভূতিটা কিন্তু দারুণ হয়ে থাকে। যখন খাওয়ার জন্য বের হলেন তখন সত্যিই দারুণ লেগেছিল আমাদের। এদিকে আমরা খাওয়ার জন্য বের হয়েছে কিন্তু এত সুন্দর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে খাওয়ার কথাই ভুলে গিয়েছিলাম। এদিকে আমরা কিছুক্ষণ হাঁটার পরে সবাই ভেবে নিলাম আমরা কি খাব। অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছি। তাই ভাবলাম একটু রুচি সম্মত খাবার খাওয়া যাক। এরপরে হঠাৎ আমাদের চোখে একটা রেস্টুরেন্ট দেখলাম। রেস্টুরেন্টে ঢোকার আগে আমি উপরে ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি।
এবার আমরা চারজন ভিতরে প্রবেশ করলাম। সত্যি রেস্টুরেন্টের ভিতরে পরিবেশটা ছিল খুবই ভালো। আমাদের পছন্দ হয়েছিল। কেননা যদি পছন্দ না হয় তাহলে কিন্তু সেখানে খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। তাছাড়া আমি মনে করি রুচি জিনিসটা সবচেয়ে জরুরী। তারপরে আমরা চারজন ফ্রেশ হলাম। ফ্রেশ হয়ে টেবিলে বসলাম। এবার আমরা সবাই আলাপ করলাম কি খাওয়া যায়। কেউ কেউ বলল সাদা ভাত খাওয়া যাক। আমি বললাম চলো আমরা বিরিয়ানি খাই। কেন এমন একটা পথ জার্নি করেছি, এটা খেলে আমাদের ভালো লাগবে। এবার সবার সাথে মোত বিনিময় করলাম সবাই রাজি হলো। এরপরে আমরা চারটা বিরিয়ানির অর্ডার দিলাম। আমরা কিছুক্ষণ ওয়েট করার পরেই আমাদের বিরিয়ানি দিয়ে দিল। যখন খাবারগুলোতে গিয়ে দেখেছিলে তখন আমি উপরের ছবিটা আমার ফোনে ধারণ করি। বিরিয়ানি সাথে একটা ডিম সহ একটা করে রান ছিল। খাবারটা দেখে আমার রুচি হয়। তাছাড়া খাবার খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। এমনিতেও আমার প্রিয় খাবার হচ্ছে কাচ্চি বিরিয়ানি।
সত্যিই কাচ্চি বিরিয়ানিটা খেতে খুবই স্বাদ হয়েছিল। সেই সাথে আমরা চারজন মিলে বেশ ভালোভাবেই এটা খেলাম। তাছাড়া আমার প্রিয় খাবার হচ্ছে কাচ্চি বিরিয়ানি। আমরা সবাই অনেকটা পথ জার্নি করে খুলনায় এসেছে। তাই আমাদের খাবারের খুবই প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া আমি খিদে লাগলে না খেয়ে থাকতে পারি না। তবে যেহেতু অনেকটা পথ জার্নি করেছি তাই প্রিয় খাবারটাই বেছে নিয়েছিলাম। কেননা অনেকটা জার্নি করার পরে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি কেমন একটা রুচি হয় না। আর সেটা যদি আবার নিজের পছন্দের খাবার না হয় তাহলে কিন্তু খেতে ভালোই লাগে না। তাই পছন্দের খাবারটা বেছে নিলাম এবং অর্ডার দিয়ে খেয়ে নিলাম। খাওয়ার এই সুন্দর একটি মুহূর্তে আমি উপরের ছবি সংগ্রহ করি। সত্যিই বন্ধুদের সাথে খাওয়া-দাওয়া মুহূর্ত গুলো খুবই মজাদার হয়ে থাকে। তাছাড়া আমার এখানে চারজন ছিলাম সবাই একে অপরের অচেনা এই অচেনা গুলোকে যখন বন্ধু হলাম বেশ ভালো লেগেছিল আমার। সবাই মিলে খুবই ভালোভাবেই কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়া শেষ করলাম। সত্যি বিরিয়ানির টেস্টটা কিন্তু দারুণ ছিল। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। বাকি গুলো পরবর্তী পর্বে শেয়ার করা হবে।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
স্থান | খুলন |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ প্রথমবার খুলনায় যাওয়ার অনুভূতি নবম পর্ব। খুলনাতে যাওয়ার পথে তুমি আমাদের এলাকার বেশ কয়েকটি ছেলেদের সাথে পেয়েছিলে সকলের সাথে বেশ মিল রেখে তুমি খুলনাতে গিয়েছিলে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। সেখানে গিয়ে তোমরা কাচ্চি বিরানি খেয়েছিলে এবং সেই অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছো। এত সুন্দর ভাবে পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বন্ধু তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ তোমার গঠনমূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
প্রথমবার খুলনা শহরে যাওয়ার সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। এর আগে বেশ অনেকগুলো পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখেছি। আসলে বাইরের পরিবেশে গেলে নতুন অনুভূতির সম্মুখীন হওয়া যায় এবং অনেক কিছু বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।
ভাইয়া আজও আপনি আমাদের মাঝে খুলনা যাওয়ার ভ্রমন পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে সেখানকার রান্তা আর প্রকৃতিগুলো ভালো লাগলে আমার কাছেও অনুভূতিটা অন্যরকম লাগে। শুনেছি খুলনা দেখতে অনেক সুন্দর। আমিও কোথাও ঘুরতে গেলে যদি বাহিরে খাওয়া দাওয়া করি তাহলে আমিও আগে হোটেলের পরিবেশ দেখি তারপর খাওয়া দাওয়া করি। আজও আপনার খুলনায় ঘুরতে যাওয়ার ভ্রমণ পোস্টি ভালো লাগলো ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আপনার এই খুলনা যাওয়ার মুহূর্তের অনেকগুলো পর্ব আমি দেখে আসছি৷ আজকের আরও একটি পর্ব দেখেও খুবই ভালো লাগছে৷ খুব সুন্দর ভাবে আজকে আপনি এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই ফুটে তুলেছেন৷ খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি এখানকার সবকিছু খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আশা করছি এভাবে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ ভাই।