জেনারেল রাইটিং: মানুষ বড়ই স্বার্থপর
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
★আসসালামুয়ালাইকুম এবং হিন্দু ভাই ও বোনদের প্রতি আমার আদাব★। আমার বাংলা ব্লগের আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে মানুষ বড়ই স্বার্থপর জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো। আমি সব সময় নতুন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করি। আসলে আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
![]() |
---|
তবে ইতিবাচক স্বার্থপরতার উদাহরণও কম নয়—একজন ছাত্র নিজের ভালো ভবিষ্যতের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে।একজন কর্মী নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতির জন্য দক্ষতা বাড়ায়।মানুষ কেন স্বার্থপর হয়? এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে-নিজেকে রক্ষা করার প্রবৃত্তি: আদিমকাল থেকেই মানুষ নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে স্বার্থপর আচরণ করেছে।সমাজের প্রতিযোগিতা: বর্তমান দুনিয়ায় প্রতিযোগিতা এত বেশি যে, অনেকেই মনে করে স্বার্থপর না হলে টিকে থাকা কঠিন।ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা: মানুষ চায় ভালো জীবন, নাম-যশ, আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য। তাই অনেকে অন্যের কথা না ভেবে নিজের স্বপ্ন পূরণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।স্বার্থপরতা থেকে মুক্তির উপায় স্বার্থপরতা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়, তবে তা সমাজ ও সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই কিছু সহজ উপায়ে আমরা এ থেকে বেরিয়ে আসতে পারি—সহমর্মিতা ও সহানুভূতির চর্চা করা।দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি করা, যাতে শুধু নিজের নয়, অন্যের ভালোও চিন্তা করি।মানবিক মূল্যবোধ তৈরি করা, যাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব গড়ে ওঠে।
স্বার্থপরতা মানব প্রকৃতিরই অংশ, তবে এটি সম্পূর্ণ নেতিবাচক নয়। স্বার্থপর হওয়া খারাপ নয়, যদি তা অন্যের ক্ষতি না করে। তাই আমাদের উচিত এমন একটি ভারসাম্য তৈরি করা, যেখানে আমরা নিজের ভালো চাইব, তবে অন্যের ক্ষতির কারণ হব না। এই দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে পারলে সমাজ আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।
আল্লাহ্ হাফেজ
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
X-promotion
ডেইলি টাস্ক প্রুভ: 👇
প্রথম কথাটাই অনেক বেশি ভালো লেগেছে, হ্যাঁ মানুষ সামাজিক জীব তবুও স্বার্থপরতা যেন মানুষের সহজ বৈশিষ্ট্য। নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য মানুষ যে কোন সময় যে কোন রূপ ধারণ করতে পারে। দারুন কিছু কথা লিখেছেন ভাই শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আমাদের আশেপাশে স্বার্থপর মানুষে ভরপুর। পৃথিবীটা যেন স্বার্থপর মানুষে ঘিরে গিয়েছে। স্বার্থের জন্য এখন মানুষ সবকিছুই করতে পারে। খুবই স্বার্থপর হয়ে থাকে কিছু কিছু মানুষ। তারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য যেকোনো পথ বেছে নিতে পারে। বাস্তবিক একটা টপিক নিয়ে পোস্ট লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো।
মানুষ কখন কোথায় স্বার্থপর হয় এটা কিন্তু বলা মুশকিল।তবে স্বার্থপর হওয়া ভালো, যেমনটা আপনি বললেন। তবে অন্যের ক্ষতি না করেই স্বার্থপর হওয়া ভালো।যাই হোক আপনার পোস্টটি কিন্তু আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।আমাদের সবার উচিত নিজেদের ভালো চাইবো এবং অন্যদেরও ভালো চাইবো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আসলে স্বার্থপর যে এত ধরনের হতে পারে তা আগে আমার জানা ছিল না। আসলে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক স্বার্থপরতা জিনিসটা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমি একটু ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। আসলে বর্তমানে স্বার্থ ছাড়া কেউ কখনো কারো উপকার করে না। এত সুন্দর একটা জেনারেল রাইটিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্বার্থপর মানুষগুলো খুব সহজে চিনা যায়। তারা অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক। নিজের ভালো-মন্দ সব সময় বেশি বুঝতে থাকেন। নিজেরা অন্যের ভাল মন্দ বোঝেনা সব সময় নিজের ভালো বুঝে থাকে ন। এ ধরনের মানুষগুলো অনেক বেশি স্বার্থপর হয়। খুব ভালো লাগলো লেখা গুলো পড়ে।
পৃথিবীতে এখন ভালো মানুষ যেরকম রয়েছে তার থেকেও বেশি স্বার্থপর মানুষ রয়েছে। কারণ আমরা যেদিকে তাকাই না কেন সেদিকে শুধু স্বার্থপর মানুষ দেখতে পাই৷ তারা প্রতিনিয়তই শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ খুঁজে বেড়ায়৷ নিজের স্বার্থ খুঁজে বেড়াতে বাড়াতে একটা সময় পর তারা তাদের স্বার্থ উদ্ধার করার পরে সেখান থেকে চলে যায়। তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে ফেললেই তারা যেন অনেক বেশি সম্পদের মালিক হয়ে যায়৷ তারা অনেক বড় কিছু হয়েছে এরকম একটা ভাব নিয়ে তারা চলতে থাকে৷ তবে তাদেরকে এটা মাথায় রাখতে হবে যে তারা যেরকম অন্যের সাথে স্বার্থপরতা করেছে তাদের সাথে একদিন না একদিন এরকম স্বার্থপরতা হবে৷
আপনার পোষ্টের সাথে আমি কিন্তু একমত। মানুষ বড় স্বার্থপর। তবে এটি ঠিক বলেছেন একজন ছাত্র কঠোর পরিশ্রম করে তার ক্যারিয়ার গঠন করতে চাই। কিন্তু মানুষ নিজের সুবিধার জন্য স্বার্থপর কাজ করে। এবং যে কোন কাজের প্রতিদ্বন্দিতার কারণে ও মানুষ স্বার্থপর এর কাজ করে। তবে এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। বাস্তবিক কথা নিয়ে পোস্টটি লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।