আমাদের চলার পথে অনেক ধরনের দুর্ঘটনার আমাদের সামনেই ঘটে যায়।আর এই দুর্ঘটনা একটি জীবনের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। তাই আমরা যখনই কোথায় ভ্রমণ করব না কেন সাবধানতার সাথে আমরা ভ্রমণ করব। কারণ দুর্ঘটনা যে কোন মুহূর্তে আমাদের জীবনে আসতে পারে। এই দুর্ঘটনা কখনো বলে কয়ে আসে না। তবে কিছু কিছু দুর্ঘটনা রয়েছে যেগুলোর জন্য আমরা প্রত্যক্ষভাবে দোষী না হয়ে পরোক্ষভাবে দোষ করে থাকি। যাঁর কারণে আমাদের সাবধানতার সাথে পথ চলা উচিত। তাহলে অনেক দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পাবো। আমার নিজের সাথে ঘটে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার গল্প শেয়ার করবো। এই গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। যদিও গল্পটি পড়ে অনেক খারাপ লাগবে,তাও আশা করছি আজকের এই গল্পটি পড়ে আপনাদের একটু হলেও ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।

এই গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের কথা,২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কিংবা মার্চ মাসের শুরুতে এই ঘটনাটি ঘটে ছিল। আমরা আমাদের গ্ৰামের টংগে বসে আছি। সেখানে আমরা বেশ কয়েকজন ছিলাম, অনেক মজার মজার গল্প করতেছিলাম। হঠাৎ করেই আমাদের পাশের এলাকার এক ভাই একটা মটরসাইকেল নিয়ে আসে। এরপর হঠাৎ করে গল্প করতে করতে আমার এক মামাতো ভাই বলে উঠলো যে আমরা চলো শুকুরের হাট যাবো।

এরপর যাঁর মটরসাইকেল ছিল সেও রাজি হয়। তখন প্রায় মাগরিবের আজান দিয়েছিল।এরপর আমি আর আমার ঐ দুই ভাই সহ আমরা শুকুরের হাট যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। রাস্তায় আমার ঐ মামাতো ভাই বলতেছে যে আমি আর মনে হয় বেশি দিন বাঁচব না। আমাদের চোখের সামনে অনেক মানুষ মারা যাইতেছি আমি কেন মারা যাই না! আরো অনেক ধরনের আজে বাজে কথা বললো ।আমি আর কিছু মনে করলাম না।আমি মনে করলাম যে ওর বাসায় মনে হয় ওর সাথে ওর আব্বু বা আম্মুর মনে হয় ঝগড়া লাগছে। মাঝে মাঝে ঐ রকম ঝগড়া হয় তো তাই আর আমি বেশি কিছু বললাম না।

এরপর আমরা এরশাদ মোড় পেড়িয়ে যখন মেইন রোডে উঠলাম, তখন আমার ভাই একটু স্পিডে গাড়ি চালাতে শুরু করে। তখন প্রায় অন্ধকার হয়ে আসছিলো। এরপর কিছুদূর যেতেই হঠাৎ করে গাড়ির লাইট অফ হয়ে যায়, এবং এক ভ্যানের সাথে ধাক্কা খেয়ে আমি একপাশে পড়ে যায়,আর আমার ঐ মামাতো ভাইটা রাস্তার পাশে একটা বড় গাছের সাথে খুব জোরে ধাক্কা খেয়ে পাকা রাস্তাতে পড়ে যায়।আর গাড়ির ড্রাইভার এক পাশে পড়ে যায়। আমাদের দুজনের কম ক্ষতি হলেও, আমার ঐ মামাতো ভাইয়ের অনেক ক্ষতি হয়।ওর মাথা ফেটে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে।

আমি তখন মামাকে ফোন দিয়ে সব ঘটনা খুলে বলি।আর যতো তাড়াতাড়ি পারা যায়,তত তাড়াতাড়ি মামাকে মেডিকেলে আসতে বলি। ততক্ষনে আমরা ওকে নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যাই। রংপুর মেডিকেলে গিয়ে ওকে ভর্তি করানো শেষ। তখন মামা মেডিকেলে এসে হাজির হয়। এরপর আমাদের সাথে কথা বলে ততক্ষনে ডাক্তার এসে বলে যে রোগি ঠিক আছে। আপনারা যদি ওকে একটু দেরিতে নিয়ে আসতেন তাহলে হয়তো আমরা ওকে বাঁচাতে পারতাম না। এরপর আমরা ওকে নিয়ে বাসায় আসি।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।