"জীবনের গল্প: প্রচন্ড চেষ্টায় উঠে দাঁড়ানো-১ম পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৮শে নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো। প্রতিটি মানুষই প্রচন্ড চেষ্টার মাধ্যমে জীবনে অনেক কিছুই লাভ করতে পারে। যে ব্যক্তি কোন ধরনের চেষ্টাই করেনা সে ব্যক্তি কখনোই সফল হতে পারে না। প্রতিটি সফল মানুষকে তার প্রচন্ড চেষ্টায় তাকে সফল করেছে। আজকে আমার জেনারেল রাইটিং পোস্টটি হলো "জীবনের গল্প: প্রচন্ড চেষ্টায় উঠে দাঁড়ানোর-১ম পর্ব"। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমাদের পাড়া-প্রতিবেশী বিধু আঙ্কেল যার বয়স হবে ৪৫ বছর মতো। বিধু আঙ্কেল বিবাহিত তার স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমাদের পাড়া-প্রতিবেশীদের ভেতর অস্বচ্ছল একটি পরিবার। যদিও বিধু আঙ্কেল একটি ডালের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো কিন্তু খুবই সামান্য বেতনের কাজের টাকা দিয়ে সংসার চলাটা বেশ কষ্টসাধ্য ছিলো। তারপরেও বেশ ভালোই সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদের সংসার চলে যাচ্ছিলো।
কিন্তু হঠাৎ করেই বছর দুয়েক আগে আসলো বিপত্তি শারীরিক অসুস্থতার জন্য বিধু আঙ্কেল ডালের ফ্যাক্টরিতে কাজ করা বন্ধ করে দিলো। তাদের সংসারে নেমে আসলো কঠিন অন্ধকার। কারণ গরিবদের প্রতিদিনের রোজগারের টাকা দিয়েই তাদের সংসার চলে। বাড়িতে আসার পরেই হঠাৎ একদিন বেশ অসুস্থ তারপরে নিয়ে যাওয়া হলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তারপর সেখান থেকে ডাক্তাররা জানালো যে, বিধু আঙ্কেলের কোমরের হাড়ের ক্ষয় হয়েছে।
আর বিধু আঙ্কেলের অসুস্থতা এতটা খারাপ পর্যায়ে চলে গিয়েছিলো যে, ডাক্তারদের পরামর্শ ছিলো খুব দ্রুত অপারেশন করা প্রয়োজন। কিন্তু গরিব মানুষের যে কোন অপারেশন করানো তো আর মুখের কথা নয়। কারণ আমাদের দেশে সরকারিভাবে হোক আর বেসরকারিভাবে হোক একটি অপারেশন করানোর জন্য বেশ খরচ হয়। তারপরে বিধু আঙ্কেল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এভাবেই কয়েকদিন ভর্তি থাকে। তারপর কয়েকদিন পরে নিজের কিছু জমানো অর্থ দিয়ে অপারেশনটা সম্পূর্ণ করেন।
তারপর ডাক্তারের কথা মতো কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও বিধু আঙ্কেল আর উঠে দাঁড়াতে পারে না। কারণ দুই পায়ের ভেতরে কোনোটাতে এসে আর আগের মতো শক্তি পায় না। যদিও ডাক্তার বলেছিল যে অপারেশনটা খুব সুন্দর ভাবে সাকসেসফুল হয়েছে আপনি মাস দুয়েকের ভেতরেই চলাফেরা করতে পারবেন। তারপর আবার একই ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি বলে আরো কিছুদিন সময় লাগবে উঠে দাঁড়ানোর জন্য। এভাবে উঠে দাঁড়ানোর জন্য দিনের পর দিন মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে থাকে।
কিন্তু ডাক্তারের দেয়া সময় পেরিয়ে গেলেও বিধু আঙ্কেল আর উঠে দাঁড়াতে পারে না। এদিকে তার সংসারের অবস্থা ঘোর অন্ধকার। সব জমানো টাকা তো শেষ হয়েই গেছে মানুষের কাছে ধার দেনা করে তার এখন চলতে হচ্ছে। বিধু আঙ্কেলের মেয়েটাও বড় হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে তারও লেখাপড়ার খরচ আছে সবকিছু মিলিয়ে অবস্থা খুবই খারাপ। আর তাকে সাহায্য করার মতো তেমন কোন আত্মীয়-স্বজন অথবা তার পরিবারেরও তেমন কোন সচ্ছল ব্যক্তি নেই।
তার পরিবারের হাল ধরার জন্য বিধু আঙ্কেলের নিজেকেই উঠে দাঁড়াতে হবে ফিরে যেতে হবে আগের অবস্থানে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন ভালো একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। তারপর আমাদের সমাজের মানুষের কাছে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে কিছু অর্থ জোগাড় করেন ভালো চিকিৎসার জন্য। এমন কি বিধু আঙ্কেলের চিকিৎসার জন্য আমার পিসিমণিও সিলেট থেকে ভালো পরিমান অর্থ দিয়ে সাহায্য করে। তারপর....
আজকে আমি "জীবনের গল্প: প্রচন্ড চেষ্টায় উঠে দাঁড়ানো-১ম পর্ব" আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম পরবর্তীতে জীবনের গল্প প্রচন্ড চেষ্টায় উঠে দাঁড়ানো-২য় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
তারিখ | ২৮ শে নভেম্বর ২০২৩ |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


আসলে যে মানুষ জীবনে চেষ্টা করে এবং চেষ্টার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, সেই মানুষটা জীবনে সফল হতে পারে। চেষ্টার মাধ্যমেই আমরা জীবনে ভালো কিছু করতে পারি। আপনাদের পাড়া প্রতিবেশী বিধু আঙ্কেলের কথাটা শুনে খারাপ লেগেছে আমার কাছে। এই সময়ে ওনার এরকম অসুস্থতার কথা শুনে খারাপ লাগলো। তিনি সবশেষে নিজের জমানোর অর্থ দিয়ে নিজের অপারেশন করিয়েছে এটা জেনে খুশি হলাম। আশা করছি দ্বিতীয় পর্বটা খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
হ্যাঁ আপু চেষ্টার মাধ্যমে জীবনের সফল হওয়া সম্ভব। অবশ্যই আপু আমি খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় পর্ব শেয়ারের চেষ্টা করব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।
বিধু আঙ্কেলের সংসারটা বেশ ভালোই চলছিল। হঠাৎ অসুস্থতার কারণে কি একটা অবস্থা হয়ে গেল। বর্তমান সময়ে সামান্য বেতনে সংসার টা চলে যাচ্ছিল কারণ সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ ছিল। নিম্নবিত্ত মানুষদের প্রতিনিয়ত রোজগার দিয়ে তাদের আয় চলে, একদিন বন্ধ হয়ে গেলে অনেক সমস্যা হয়ে যায়।জি অপারেশন বললেই তো মুখের কথা না, অনেক টাকা পয়সার ব্যাপার থাকে এগুলো জোগাড় করতেই তো মানুষই অনেক কষ্টের মধ্যে চলে যায়। অবশেষে নিজের জমানো অর্থ দিয়ে অপারেশন সম্পূর্ণ করলেন। খুবই খারাপ লাগতেছে যে অপারেশন করার পরও তিনি ঠিকমতো হাঁটতে পারতেছিল না। বেশ ভালো লাগলো বিধু আঙ্কেলের চিকিৎসার জন্য আপনার পিসিমনি ও সিলেট থেকে ভালো পরিমান অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন। দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম
মানুষ হয়ে মানুষকে সাহায্য করাটা সবার কর্তব্য। অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় পর্ব শেয়ারের চেষ্টা করব ভাই। আমার পোস্টটি সুন্দর ভাবে পরিবেশ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
চেষ্টা জিনিসটা কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে থাকে না। আপনি প্রচন্ড চেষ্টায় উঠে দাঁড়ানো বিষয়টা নিয়ে আজকের পোস্টটা লিখেছেন এবং নিজের প্রতিবেশীর এক্সিডেন্ট এর বিষয়টা তুলে ধরেছেন। আমার প্রতিবেশি নিজের চেষ্টায় উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করছেন দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বটা পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।