রেসিপিঃ- সুস্বাদু ফ্রাইড রাইস রেসিপি।
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুরা,
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ @amarbanglablog কমিউনিটির সকল সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয়ই আপনারাও পরিবার-পরিজনকে নিয়ে অনেক ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আপনাদের দোয়ায় প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করি। বন্ধুরা সব সময় চেষ্টা করি ভিন্ন ভিন্ন কিছু বিষয় আপনাদের সাথে তুলে ধরার। সত্যি বলতে ভিন্ন ধরনের কিছু যখন শেয়ার করতে পারি অনেক বেশি ভালো লাগে। যখন আলাদা কিছু বিষয় সবার মাধ্যমে দেখতে পারি এবং শিখতে পারি তখনও ভালো লাগা কাজ করে। আবার নিজের মাধ্যমে যখন অন্যরা অজানা কিছু দেখতে পারে এবং শিখতে পারে তখন অনেক বেশি আনন্দ পাই। |
---|
সুস্বাদু ফ্রাইড রাইস রেসিপি।
প্রথমে আমি আপনাদেরকে উপকরণ সমূহ পরিমাণ মত নিয়ে দেখালাম।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
ভাত- এক বাটি।
ডিম- ১টি।
কাঁচা মরিচ- ৩/৪ টি।
পেঁয়াজ কুচি -২ টি।
পেঁয়াজ পাতা কুচি - অল্প।
টমেটো কুচি- একটি।
ধনে পাতা কুচি- অল্প।
লবণ- স্বাদমত।
চিনি - ২ চামচ।
রেড চিলি সস- ২/৩ চামচ।
সরিষার তেল- পরিমাণ মত।
সুস্বাদু ফ্রাইড রাইস রেসিপির ধাপ সমূহ
রান্নার ধাপ-১
রান্নার ধাপ-২
তেল গরম হয়ে আসলে প্রথমে গরম মসলা তেজপাতা, লবঙ্গ আর এলাচ দিয়ে ভেজে নিলাম।
এরপর দিয়ে দিলাম কুচি করে রাখা পেঁয়াজ দিলাম।
এইবার দিলাম টমেটো কুচি এবং কাঁচা মরিচ কুচি। দেয়ার পরে ভাল ভাবে ভেজে নিতে হবে
রান্নার ধাপ-৩
পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ আর টমেটো কুচি দেয়ার পরে কিছু সময় ভেজে নিতে হবে।
এখন দিলাম স্বাদ মত লবণ। সাথে দিলাম দুই চামচ চিনি আর রেড চিলি সস। দিয়ে নেড়েচেড়ে ভাজে নিলাম।
এখন দিয়ে দিলাম আগে থেকে ফেটে রাখা দুটি ডিম। দেওয়ার পরে অপেক্ষা করতে হবে ডিম গুলো শক্ত হয়ে আসার জন্য।
রান্নার ধাপ-৪
কিছুক্ষণ সময় দিয়ে ডিম গুলো শক্ত করার পরে বেশি শক্ত করব না। হালকা নরম থাকতে আমি চামচের সাহায্যে ডিম গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে নিব। যাতে ফ্রাইড রাইসের মধ্যে ডিম গুলো ভালোমতো দেখা যায়। এভাবে দিলে খেতে ও খুব ভালো লাগে।
রান্নার ধাপ-৫
সব গুলো উপকরণ প্রায় দেওয়া শেষ সব গুলো উপকরণকে আবারো মিক্স করে নিব ডিমের সাথে।
এখন দিয়ে দিলাম পেঁয়াজ পাতা কুচি এবং ধনেপাতা। দেওয়ার পরে আবারো হালকা নেড়েচেড়ে দিলাম।
এখন দিয়ে দেবো সাদা ভাত গুলো। যেগুলো আমি আগে থেকেই বাটিতে নিয়ে রাখছিলাম।
রান্নার ধাপ-৬
অল্প আঁচে ভাত গুলোকে নেড়েচেড়ে নিতে হবে। যাতে সব মসলার সাথে ভাত ভালোভাবে মিশে যাই।
তাছাড়া ও লবণ দেখতে হবে যদি লবণের পরিমাণ কম হয় তাহলে আবার দিতে হবে। এভাবে নেড়েচেড়ে আমি ভাত গুলোকে ভেজে নিয়েছি।
যখন পুরোপুরি ভাজা হয়ে যায় তখন দিয়ে রাখা তেজপাতা, লবঙ্গ এবং এলাচ ভাত থেকে নিয়ে ফেলবো। যাতে খাওয়ার সময় কামড় না পড়ে।
ফ্রাইড রাইস পরিবেশনা

ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |

আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
লোভনীয় একটা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে তৈরি করে শেয়ার করেছেন আপু। ফ্রাইড রাইস খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা ফ্রাইড রাইস এর রেসিপিটা দেখেই আমার খেতে ইচ্ছা করছে।
খেতে খুব ভালো লাগে আপু এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।
ফ্রাইড রাইস আমার খুবই পছন্দের। আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। বেশ কয়েকদিন ধরে খাওয়া হচ্ছে না। কালারটাও বেশ সুন্দর এসেছে। সাথে টমেটো দেওয়ার কারণে আরো বেশি হয়েছে মনে হয়। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।
খুব মজার ছিল আপু তৈরি করে সাথে সাথে খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম।
আরে বাহ! খেতে তো দারুন লাগে সুস্বাদু ফ্রাইড রাইস রেসিপি এটা আমার ভীষণ ভালো লাগতেছে। আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
একদম ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি।
ফ্রাইড রাইস রেসিপি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু যার যতই থাক না কেন অপচয় করা মোটেও ঠিক নয়। আমি ও মাঝে মাঝে এভাবে ফ্রাইড রাইস তৈরি করি খেতে অনেক মজার। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু আমার শেয়ার করা রেসিপি টি ভালো লাগার জন্য।
বেশ দারুণ একটি রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার রেসিপিটা বেশ লোভনীয় ছিল, দেখে মনে হচ্ছে যেন খুব ভালোভাবেই পরিবারের সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর এই রেসিপি দেখে।
খুবই সুস্বাদু ছিল ভাইয়া গরম গরম খেয়েছিলাম।
ফ্রাইড রাইস সব সময় মজার হয়। তবে রাতে বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়ে যদি ফ্রাইড রাইস করা হয় তাহলে এক কাজে দুই কাজ হয়। মানে খাওয়াও হলো আর ভাত অপচয় হল না। আমিও প্রায় সময় এভাবেই তৈরি করে থাকি। কারণ এই ঠান্ডার মধ্যে ঠান্ডা ভাত খেতে একদমই ভালো লাগেনা। দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।
হ্যাঁ আপু একদিকে খেতে ভালো লাগে। অন্যদিকে ভাত গুলো অপচয় করা থেকে বেঁচে যাই।
অপচয় করা মোটেও ভালো নয়। শীতের সময় একটা সুবিধা হলো কোনো কিছু সহজে নষ্ট হয় না আপু। আপনি ভাত দিয়ে ফ্রাইড রাইস তৈরি করে ফেলেছেন। খেতেও মজা হয়েছিল নিশ্চয়
একদম ঠিক বলছেন শীতকালে জিনিস নষ্ট হয় না। তবে ঠান্ডা খাওয়ার চেয়ে এভাবে ফ্রাইড রাইস করে খাওয়া খুবই মজার।
ফ্রাইড রাইস খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।আমি মাঝে মাঝেই এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করি।আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু টমেটো দিয়েছিলাম সাথে সস দিয়েছিলাম কালারটিও খুবই সুন্দর ছিল। তাছাড়া খেতেও খুব ভালো লেগেছিল।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1751321249102655799?t=4KR2mzrWlTXe5Y41cVY53g&s=19
ঠিক বলেছেন আপু যদি তরকারি থেকে যায় সেগুলো পরে গরম করে খাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেই ভাত থেকে গেলে সেগুলো নষ্ট করে ফেলে। আমিও আপনার মত কয়েকবার ফ্রাইড রাইস তৈরি করে খেয়েছিলাম। আসলে পরিমাপ মত কেউই ভাতের চাল দিতে পারে না। তাই অনেক সময় খাওয়া না গেলে সেগুলো থেকে যায়। আপনি তা দিয়ে বেশ সুন্দরভাবে ফ্রাইড রাইস রান্না করে ফেললেন। এটা দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আপনি অপচয় না করে সেগুলোকে পুনরায় নতুন একটি রেসিপি তৈরি করে ফেলেন। অপচয় যারা করে আমারও তাদেরকে ভালো লাগে না। আপনার থেকে আজকে আবার নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম বেশ সুন্দর ছিল আপনার রেসিপি।
একদম আপু আসলেই মেপে রান্না করা যায় না। তো বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়ে এভাবে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করে খাওয়া যায়। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার গঠনমূলক মতামত পড়ে।