আমার এক আজব শুক্রবার!!!!
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। তবে গরম খুব একটা চমৎকার থাকতে দিচ্ছে না। গরমে প্রচন্ড কষ্ট পেতে হয়। একটু বৃষ্টি এসেছিলো বিকালে। তবে সেটা সম্ভবত ৫ মিনিট ও হয়নি। এমন বৃষ্টি গরম আরো বৃদ্ধি করে দেয়। আর ভেপসা সেই গরমটা অনেক বেশি খারাপ লাগে। তো আজ শেয়ার করবো আপনাদের সাথে শুক্রবারের গল্প।
ঘটনার শুরু বৃহস্পতিবার থেকে। সেদিন ভার্সিটির জন্য অফিস থেকে আগেই বের হয়ে যাই। তবে পরে চিন্তা করলাম যে আজ ভার্সিটি না যেয়ে উবার রাইডার হয়ে যাই। নিজের ঝোলায় খাবার দিতে দিতে ফকির হয়ে গেছি অনেকটা। তাই কিছু রাইড শেয়ার করে কিছু পয়সা কামাই। হেহে। যাক একটা যায়গায় বাইক থামিয়ে ট্রাই করলাম উবার পাস নেওয়ার। উবার এপ এ একটা সিস্টেম এটা। পাস কিনে ব্যবহার করতে হয়। এতে করে আর কমিশন চার্জ করে না। কিন্তু আমার ব্যালেন্স মাইনাস ২৪ টাকা হয়ে থাকাতে কিনতে পারছিলাম না। ০ ব্যালেন্স থাকলে কেনা যায় এর থেকে নিচে থাকলে সেটা পরিশোধ করে এরপর পাস কিনতে হবে। তখন সিস্টেম খুজতে থাকলাম কিভাবে সেই টাকা শোধ করবো। কিন্তু কোনো উপায় পাচ্ছিলামনা। ৩০ মিনিট এক যায়গায় বসে থাকার পর মেজাজ খুব গরম হয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে সামনে চলে আসি। একটা চায়ের দোকানে বসে উবার হেল্প লাইনে কল দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু ওদের সাথে সরাসরি কানেক্ট হতে পারছিলাম না। অনেক্ষন চিন্তা করে না পেরে শেষে বাসায়ই চলে গেলাম। বাসায় এসে ক্লাস করে ঘুমিয়ে পরলাম। পরদিন সকালে ক্লাস আছে।
শুক্রবার সকাল ৬ টা ৪৫ এ আমার এলার্ম দেওয়া থাকে। কারণ ক্লাস ৭ টা ৩০ থেকে। বাইক থাকাতে একদম দেড়ি করে বের হই। তবে ক্লাসটা শুরু হয় মূলত সকাল ৮ টা থেকে তাই আরো দেড়ি করে উঠি। এলার্ম বন্ধ করতে করতে ঘুম থেকে উঠা হয় সকাল ৭ টা ১৫ তে। এবার দৌড়ে চলে যাই গোসল করতে। গোসল করে কোনো মতে রেডি হয়ে দিলাম দৌড়। বাইক নিয়ে মেইন রোডে উঠে দেখি ৭ টা ৪৯ বাজে। অর্থাৎ আমাকে ১১ মিনিটে পৌছাতে হবে ১১ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে। তবে প্যারা ছিলোনা। শুক্রবার রাস্তা ফাঁকা থাকবে। রাস্তার সাইডে চাপিয়ে আমার সান গ্লাসটা পরে নিলাম। এরপর কিছু ছবি তুলে দিলাম বাইক টান। ফাঁকা রাস্তায় ঠিক ৮ টা ৪ মিনিটে ভার্সিটির সামনে। এরপর বাইক পার্ক করে চলে গেলাম ক্লাসে । গিয়ে দেখি আমার বন্ধু ৪ টার একটাও আসে নাই। খুব রাগ হলো। ওরা বললো আসবে। কিন্তু ধোকা দিলো। এইদিয়ে স্যার ক্লাসে মেশিন ডিজাইনের ম্যাথ বুঝাচ্ছিলেন। যা দেখে আমার ঘুম এসে যায়। সে ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে যাবো সিদ্ধান্ত নিলাম। এরপর ক্লাস শেষ এর অপেক্ষা। কিন্তু এবার ক্লাস তো আর শেষ হয়না। অবশেষে ক্লাস শেষ হলো। আমি বের হয়ে গেলাম। নিচের দোকানে চা খেলাম। এরপর বাসার দিকে রউনা দিলাম। মহাখালি দাঁড়ালাম। এবার আবার উবার পাস নেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু এবার ও ব্যর্থ। তবে এবার হেল্প লাইনে কল করে অভিযোগ দিয়েছি।
এরপর আবার রউনা দিলাম। ভাবলাম সময় যেহেতু আছে পাঠাও এপ এ ভেরিফিকেশনটা শেষ করে যাই। শুক্রবার যে বন্দ থাকে এটা জানা ছিলো না আমার। তাও গেলাম। কিন্তু মেইন বিল্ডিং এর সামনে যেতে শরম লাগছিলো। ঐদিকে আবার স্কুল ছিলো একটা। তাই কোনো মেয়ে থাকতে পারে এই ভেবে শরম লাগছিলো আরকি 😁😁। যাক এর পর বাইক ঘুরাই যাচ্ছলাম সামনের দিকে। হঠাৎ দেখি কল । বাইক সাইড করে কল রিসিভ করলাম দেখি উবার থেকে কল। এবার ঝাড়ি মেরে বললাম সব। এরপর ওনারা বিকাশ এর মার্চেন্ট নাম্বার দিলেন । বলে দিলেন এটায় টাকা জমা দিলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তখন আর এনার্জি কাজ করছিলোনা। তাই ভাবলাম আজ বাসায়ই চলে যাই। যেই ভাবা সেই কাজ বাসায় চলে আসলাম। এসেই দিলাম এক ঘুম। এক ঘুমে উঠে দেখি জুম্মার নামাজ এর সময় হয়ে গেছে। এরপর জুম্মা পড়তে চলে যাই। বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার এক ঘুম দেই। এক ঘুমে সন্ধ্যা ৭ টা বেজে যায়। ও মা! আমার শুক্রবার কোন দিকে দিয়ে যেনো শেষ হয়ে গেলো.........
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR
দিনটা বেশ ভিন্ন ভাবে কাটিয়েছেন দেখছি। নিজের ঝোলাই খাবার দিতে দিতে ফকির হয়ে যাচ্ছিলেন তাই ভাবলেন উবার রাইড শেয়ার করবেন কিন্তু শেষ দিকে তো সেটা সম্ভব হলো না দেখছি। আবার বন্ধুরা সবাই ক্লাসে আসবে বলে বলেছিল কিন্তু শেষে আপনাকে একাই ক্লাস করতে হয়েছিল জেনে বেশ মজা পেলাম। কারণ কখনো না কখনো আমার সাথেও এমনটা হয়েছে। সত্যি এরকম পরিস্থিতিতে পরলে অনেক খারাপ লাগে। যাইহোক এক ঘুমে সাতটা বেজে গিয়েছিল, তাহলে তো দেখছি ঘুমটা বেশ ভালই দিয়েছিলেন। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো এক ঘুমে হারিয়ে গেল শুক্রবারের ফ্রি সময়গুলো। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই তো দেখছি মেয়ে মানুষ দেখে খুব শরম পান 😆
শুক্রবারের দিনটা পুরোপুরি ঘুমিয়েই তাহলে কাটিয়ে দিলেন প্রায়, দুপুরবেলায় ঘুম আবার নামাজ শেষ করে এসে খাওয়া-দাওয়া করে আবার ঘুম। যদিও নামাজ শেষ করে খাওয়ার পরে আমারও ঘুমানোর অভ্যাস আছে।