দিদুর মুখে শোনা শেয়ালও বুড়ির গল্প🥰
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
অনেক দিন পর মেয়েকে নিয়ে স্কুলে এক মাস হয়ে যাবে স্কুলে আসিনি।গতকাল থেকে আসা শুরু করেছি কারণ ফাইনাল পরিক্ষা সামনে।অনেক রাত জাগা ও দশটা অবদি ঘুমানোর বাজে অভ্যাস হয়ে গেছে। সকালে একদমই মন চায়না বিছানা ছারতে কিন্তুু সকাল সারে সাতটায় উঠতে হচ্ছে। সকালে উঠতে হচ্ছে জন্য শরীরটা একদমই ভালো লাগছে না।মন চাচ্ছে স্কুলে বসে ঘুমাই। অসস্তি লাগছে খুব।পোস্ট করতে হবে ব্লগে নিয়মিত হতে উঠেপড়ে লেগে গেছি হয়তো পারবো সব ভুলে আগের মতো কাজে মন দিতে।
ভাবছিলাম কি পোস্ট লিখবো হঠাৎ মনে পড়ে গেলো রংপুর গিয়ে তো ভিন্ন জগৎ গিয়েছিলাম আর সেখানে খুব সুন্দর সুন্দর মাটির মূতি দিয়ে বানানো রুপ কথার গল্পের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সে গুলোর ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
খুব আনন্দের সাথে ফটোগ্রাফি করেছিলাম এবং পুরা ভিন্ন জগৎ দিয়ে সত্যি ছোট বেলার দিদুর মুখে শোনা সেই রুপ কথার গল্পে হারিয়ে গিয়েছিলাম
আজকে আমি আমার দিদুর মুখে শোনা সেই রুপকথার গল্প শেনাবো।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন গল্প শুরু করি।
শেয়াল ও বু্ড়ির গল্প
এক ছিলো বুড়ি সে বুড়ির কোন ছেলেপুলে ছিলো না।বুড়ি একা জীবন যাপন করতেন। বুড়ির ছিলো বেশ কিছু কুকুর। আপনজন বলতে বুড়ির এক পালিত মেয়ে ছিলো তার বিয়ে হয়ে গেছে।
বুড়ির ছিলো বেশ কয়েকটা কুকুর। তাদের নাম ছিলো রাঙা,বাঙ্গাও ভুতু।বুড়ি কুকুরদেরকে খুব ভালোবাসতো।তাদের সাথে কথা বলতো।কুকুর গুলো সব কথা শুনতো বুড়ির আর বুড়ি কুকুরের মুখের আওয়াজেই বুঝতে পারতো তারা কি বলতে চায়।
একদিন বুড়ির ইচ্ছে হলো সে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাবে।কুকুর গুলোকে ডেকে বলল্লো আমি মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছি কয়দিন থেকে আসবো তোরা সাবধানে থাকিস আর আমি যদি কোন বিপদে পড়ি তাহলে তোদের নাম ধরে ডাকবো তোরা বুঝবি আমি বিপদে আছি আর আমাকে বাঁচাতে চলে যাবি।কুকুর গুলো মাথা নেড়ে সন্মাতি জানালো।
বুড়ি মেয়েদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো এবং পথে এক বাঘের সামনে পড়লো। বাঘ হালুম হুলুম করে বুড়ির দিকে তেরে আসলো এবং বুড়িকে খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলো আর একথা বুড়ি বাঘকে বলতে লাগলো আমার শরীরে একটুও মাংস নেই আমি মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছি সেখানে গিয়ে খেয়ে মোটাতাজা হয়ে আসি ফেরার পথে খেয়ে নিও আমাকে।
এ কথা শুনে বাঘ খুব খুশি হয়ে গেলো এবং অপেক্ষা করতে থাকলো বুড়ি ফেরার।এখন বুড়ি বেশ কিছু দিন মেয়ের বাড়িতে থাকলো এবং বাড়িতে আসবে মেয়েকে বল্লো মেয়ে তো আসতে দিতে চাইলো না কিন্তুু বুড়ি বল্লো যেতেই হবে এবং মেয়েকে আসার পথের ঘটনা বলে দিলো তখন মেয়ে একটা বুদ্ধি বের করলো এবং বল্লো আমি একটা লাউয়ের বোসের ভীতরে তোমাকে ঢুকিয়ে দিবো এবং সেটার ভিতরে বসে তুমি ছরা কাটতে থাকবে ছরাটি হলো-লাউ গুড় গুড় লাউ গুড় গুড়, বুড়ি যায় অনেক দূর।
বুড়ি লাউয়ের ভীতরে ঢুকে সেই ছরা কাটতে থাকলো এবং বুড়ির মেয়ে লাউটি গড়িয়ে দিলো এভাবে বুড়ির ছরা কাটা দেখে যার সামনে লাউ পড়ে সে একটু করে গড়িয়ে দেয় এভাবে বনের পাশে এসেছে তখন বাঘও লাউ ভেবে গড়িয়ে দিলো কিছু পথ আসার পর এক শেয়ালের দেখা। শেয়ার লাউয়ের ভীতরে লাউ গুড়গুড় লাউ গুড়গুড় কথা শুনে বুঝতে পেলো এর ভীতরে মানুষ আছে।শেয়াল তো অনেক চতুর প্রকৃতির হয়ে থাকে।
শেয়াল লাইটিকে এমন ভাবে গড়াগড়ি দিয়েছে যে লাউটির মাঝে ভেঙ্গে গেছে আসলে শেয়ালের উদ্দেশ্য ছিলো লাউ থেকে বুড়িকে বের করবার।
বুড়ি লাউয়ের মাঝে ভেঙ্গে গিয়ে মাথা বের করলো এবং শেয়াল বুড়িকে খাওয়ার জন্য তেরে আসলো।
বুড়ি শেয়ালে বল্লো আমাকে তো তুমি খাবে তো একটা আমার শেষ ইচ্ছে আছে।শেয়ার বল্লো কি তোমার শেষ ইচ্ছে বলো।শেয়ালকে বুড়ি বল্লো আমি একটা তোমাকে গান শোনাতে চাই।শেয়াল বল্লো ওও আচ্ছা সেই কথা আচ্ছা গাও দেখি তোমার গান।
বুড়ি তখন গলা ছেরে দিয়ে গান ধরলো তারে নারে তু নালু,ভুলু,ভুতু।এই গান বুড়ির কুকুর তিনটি শুনতে পেলো এবং বুঝতে পেলো বুড়ি বিপদে পড়ছে আর তারা দৌড়ে দিয়ে গান বলছে সেই স্থান লক্ষ্য করে চলে আসলো এবং তিনজন মিলে শেয়ালকে আক্রমণ করলো।
শেয়াল লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেলো এবং বুড়ি লাউয়ের ভিতর থেকে বের হয়ে লালু,ভুলু ও ভুতুর সাথে গল্প করতে করতে বাড়িতে চলে আসলো।
এই ছিলো আমার আজকের গল্প দিদুর মুখে এই গল্প শুনে শুনে মুখস্থ করে ফেলেছিলাম।
যতো এই গল্প শুনতাম তত ভালো লাগতে।ভিন্নজগৎ দিয়ে এই বুড়ির মূর্তি দেখে গল্পটি মনে পড়ে গেলো তাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | গল্প |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
যেন একের মধ্যে ২ খুঁজে পেলাম আপনার আজকের এই পোস্টে। এই ঘটনাটা আমি এর আগে পড়েছি। এই গল্পটা ভালো লাগে। এখানে দেখছি অনেকগুলো মূর্তি তৈরি করেছে এ বিষয়ে। হয়তো বাচ্চাদের সুন্দরভাবে বোঝানোর জন্য।
হ্যাঁ বাচ্চাদের কে বোঝানোর জন্য এই রুপরেখা দিয়েছেন ভাস্কর্যের মাধ্যমে।
এ যেন সেই আয় আয় তুতু রঙ্গাভঙ্গা ভুতু গল্পটা। অনেকদিন পর বেশ ভালো লাগলো একদম ভাবে ভাস্কর্য তৈরি করে গল্পটা সামনে উপস্থাপন করতে দেখে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক সেই গল্পটাই ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই গল্পটা ছোটবেলায় কম বেশি সবাই শুনেছি। তবে এইভাবে গল্পটাকে উপস্থাপন করা হয়েছে দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। দারুন ছিল জায়গাটা। খুব সুন্দর ভাবে তারা এই জিনিসগুলো তৈরি করেছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা ভ্রমণের মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন এই গল্পটি কম বেশি সবাই শুনেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই গল্পটা মনে হয় সমস্ত দিদুরাই তার নাতিনাতনিদের শুনিয়ে থাকেন। এই কিছুদিন আগে আমার মাও আমার মেয়েকে এই গল্পটাই শোনাচ্ছিলেন। এক মজার ব্যাপার এই গল্পটা আমি শুনেছিলাম আমার দিদুর থেকে। হা হা হা। চালাকির চমৎকার গল্প সবার ছেলেবেলার স্মৃতি।
একদমই ঠিক বলেছেন সমস্ত দিদুরাই তাদের নাতিনাতনিকে এই গল্প শোনায়।বারবার শুনলেও নতুন লাগে যতোবার শোনা যায় দিদুদের মুখে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হ্যাঁ। সত্যিই নতুন লাগে৷ আমিও আমার নাতিনাতনিদের শোনাবো ভেবে রেখেছি। 😜🤭
প্রথমত গল্পটা আজ আমি প্রথম পড়লাম আপনার পোস্ট থেকে। ইতিপূর্বে কখনও পড়িনি। এবং চমৎকার ভিন্ন জগত পার্কে দারুণ ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই গল্পের শৈল্পিক দিকটা। সবমিলিয়ে সুন্দর ছিল আপনার পোস্ট টা আপু।
প্রথমবার আমার পোস্টে এই গল্প শুনলেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।