আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। বন্ধুরা আজ আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। বন্ধুরা আমার আজকের পোস্টটি হচ্ছে আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটপ্লেস ফুটপাতকে নিয়ে।
আমরা যারা নিম্ন শ্রেণীর লোক তাদের জন্য ফুটপাত হচ্ছে কেনাকাটার একটি অন্যতম একটি স্থান। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-

সবগুলো আলাদা আলাদা ছবির সম্মিলিত চিত্র |

পোস্ট ক্যাটাগরিঃ ফুটপাত সম্পর্কিত সাধারণ পোস্ট। |
পোস্টের নামঃ ফুটপাত নিয়ে কিছু কথা। |
পোস্টের তারিখঃ ২০শে কার্তিক ১৪২৯ খ্রিস্টাব্দ(বাংলা)। |
চলুন বন্ধুরা তাহলে আমরা আমাদের মুলপর্ব শুরু করি |
----ফুটপাত কথাটি আমাদের অনেকের কাছে তুচ্ছ মনে হয়। বিশেষ করে উচু শ্রেণী লোকের কাছে ফুটপাত মানেই হচ্ছে অবহেলিত একটা জায়গা। কারণ তাদের ধারণা ফুটপাতে শুধু নিম্ন শ্রেণীর এবং ইতর শ্রেণীর লোকজনই কেনাকাটা করেন। তাদের ধারণা ফুটপাতে যারা কেনাকাটা করে তারা হয়তো সমাজ থেকে আলাদা একটা শ্রেণী। এইজন্য ফুটপাতে যারা কেনাকাটা করে ওসব শ্রেণীর লোকদের সব সময় তারা দূরে দূরে রাখার চেষ্টা করে।

- তাহলে সর্বপ্রথমে জেনে নেয়া যাক ফুটপাত আসলে কি এবং কাকে বলে?
ফুটপাত চেনে না এমন লোক হয়তো বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া দায় হবে। আমার জ্ঞান মতে ফুটপাত হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট জায়গায় খোলা আকাশের নিচে একাধিক দোকান বা একটা একটা সাইরে সাইরে দোকান নিয়ে বসা অথবা রাস্তার পাশে সারি সারি লাইনে দোকান নিয়ে ব্যবসা করাকেই ফুটপাত বলে। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই রাস্তার পাশে সারিসারি দোকান সাজিয়ে ফুটপাতগুলো বসে থাকে।
সাধারণত প্রধান প্রধান রাস্তার পাশের ফুটপাতগুলোতেই মানুষ সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করে থাকেন। কারণ এসব জায়গায় মানুষের চলাচল বেশি থাকে, যার কারনে দোকানদার এবং ক্রেতা উভয়ের জন্যই সুবিধা। বাংলাদেশের গুলিস্তান হচ্ছে ফুটপাতের জন্য সবচেয়ে বড় এলাকা। এখানে কয়েক হাজার ফুটপাতের দোকান রয়েছে এবং প্রতিদিন প্রায় লাখ লাখ লোক ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করে।
বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের নিম্ন শ্রেণীর মানুষের কেনাকাটার অন্যতম একটি স্থান হচ্ছে গুলিস্তান ফুটপাত। এখানে এমন কোন ব্যবহারিক জিনিস নাই বা খাবার জিনিস নাই, যা পাওয়া যায় না। গুলিস্তান ছাড়া ও মিরপুর-১ এবং মিরপুর ১০ এ অনেক বড় ফুটপাতের দোকান রয়েছে।

আমি মিরপুর ১০ এ একটা পারটেক্সের শোরুমে চাকরি করি। আমার শোরুমের সামনে দিয়া অর্থাৎ মিরপুর ১০ থেকে মিরপুর ১ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য ফুটপাতের দোকান রয়েছে। যেহেতু আমার শোরুমের সামনেই ফুটপাতের দোকানগুলো রয়েছে সেহেতু আমার সৌভাগ্য হয়েছে যে ফুটপাতে আসলে কারা কেনাকাটা করে থাকে বা কোন কোন শ্রেণীর লোক এখানে আসা-যাওয়া করে।
আমরা হয়তো অনেকেই মনে করি যে এখানে শুধু নিম্ন এবং মধ্যশ্রেনীর লোকেরাই কেনাকাটা করতে আসে। আমাদের ধারণা ভুল। এখানে আসলে......(চলবে)
সারমর্মঃ আসলে আমরা যারা নিন্ম অথবা মধ্য শ্রেণীর মানুষ রয়েছি তাদের কেনাকাটা করার জন্য ফুটপাত একটি অন্যতম স্থান। ফুটপাত না থাকলে আমাদের পোশাক বা অন্য যে কোন জিনিসপত্র কেনা-কাটা করাটাই দায় হয়ে যেত। তাই আমি আমাদের সমাজের নিন্ম এবং মধ্য শ্রেণীর মানুষের জীবনে ফুটপাতের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার জন্যই এই লেখা।
ডিভাইসের নাম ও মডেল |
TECHNO pouvoir 4 |


আমি আজিজুল মিয়াঁ, আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। আমি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে কর্মরত আছি। লিখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি লেখা-লেখি করতাম। লেখা-লেখির পাশা-পাশি আমি ঘুরতে এবং খেলা-ধুলা করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। অতিরিক্ত কথা বলা এবং মিথ্যা কথা বলা আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি।



.png)

আপনি ভাইয়া কেমন কথা বললেন ফুটপাত থেকে যারা কিনে তারা কেন ইতর শ্রেণীর লোক হবে তারা সমাজ থেকে কেন দূরে থাকবে। ফুটপাত থেকে কেনা মানুষগুলো কি মানুষ না? এটা আপনার ভুল ধারণা। গুলিস্তানের যে বড় ফুটপাত রয়েছে তা আমি কয়দিন আগে ওইখান দিযে যাওয়ার সময় দেখেছি। আসলেই এখানে অনেক ভিড় থাকে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে সবসময় ভিড় লেগেই থাকে। এখানে যে নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা কেনাকাটা করে তা না এখানে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকেরাই থাকে অনেক সময় দেখি। বিশেষ করে স্টুডেন্টরাও এসব জায়গা থেকে অনেক কেনাকাটা করে থাকে রাস্তায় বের হলে সেটা দেখা যায়।
আপু এটা আমি বলি নি, এটা আমাদের সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের মনের কথা বলেছি, যারা উপরে উপরে ফুটপাতকে ঘৃণা করে আবার আমি দেখি তারাই আবার গাড়ি থেকে নেমে ফুটপাত থেকে শপিং করে যায়। কিন্তু তারা কখনোই স্বীকার করবে না যে তারা ফুটপাত থেকে কেনা কাটা করে উল্টো আমরা যারা নিন্ম বা মধ্যবর্তীরা বা নিন্মমধ্যববর্ত্তীরা ফুটপাতে কেনাকাটা তখন তারা আমাদের মনে করে আমরা সমাজের বাইরের কেউ বা একেবারে নিন্ম শ্রেণীর কেউ। আমিই তো আজকে আমার ছেলের জন্য সুয়েটার কিনলাম আর সেটা কিনতে গিয়েই এই পোস্টটা লিখলাম আপু। আপু আপনি ভুল বুঝেছেন।
আমার কাছে এমন মনে হয় না,সংখ্যা দুই এক বাদে কম বেশি সকলে সকলের প্রয়োজন অনুসারে ফুটপাতে কিনাকাটা করে।এমন ভাবাটা তেমন কোন কারন নেই নিম্ন শ্রেণীর এবং ইতর শ্রেণীর লোকজনই ফুটপাতে কেনাকাটা করে।দুঃখিত একমত হতে পারলাম না।নিউ মার্কেটের ফুটপাতে এমন অনেক দামি দামি জিনিস গুলো বিক্রি করে থাকে।দেখা যায় অনেকে গাড়ি পার্কি করে জিনিসপএ কেনাকাটা করছে।ধন্যবাদ
নিন্ম শ্রেনী বা ইতর শ্রেনী, আপু এটা আমি বলি নি, এটা আমাদের সমাজের এক উঁচু শ্রেণীর মানুষের মনের কথা বলেছি, যারা উপরে উপরে ফুটপাতকে ঘৃণা করে আবার আমি দেখি তারাই আবার গাড়ি থেকে নেমে ফুটপাত থেকে শপিং করে যায়। কিন্তু তারা কখনোই স্বীকার করবে না যে তারা ফুটপাত থেকে কেনা কাটা করে উল্টো আমরা যারা নিন্ম বা মধ্যবর্তীরা বা নিন্মমধ্যববর্ত্তীরা ফুটপাতে কেনাকাটা তখন তারা আমাদের মনে করে আমরা সমাজের বাইরের কেউ বা একেবারে নিন্ম শ্রেণীর কেউ। আমিই তো আজকে আমার ছেলের জন্য সুয়েটার কিনলাম আর সেটা কিনতে গিয়েই এই পোস্টটা লিখলাম আপু। আপু আপনি ভুল বুঝেছেন।
একদম যথাযথা বলেছেন, সত্যি বলতে ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করলে কিছু শ্রেণীর লোক সেটাকে নেগেটিভ চোখে দেখে। তারা ভাবে যে সস্তা এবং নোংরা পোশাক গুলো সেখান থেকে কিনে এনেছে।আর এই ধরনের মেন্টালিটি আসলে অনেক ক্ষতিকর। তবে এরা কিছু সংখ্যক লোক আমাদের সমাজে রয়েছে। যাইহোক বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ফুটপাথ(footpath) কথাটি এসেছে ইংরেজ আমল থেকে। অর্থাৎ মানুষ হাঁটার জন্য যে পথ ব্যাবহার করবে, যেখান থেকে গাড়ি যাওয়ার ভয় থাকবে না।আর হাঁটার পথে যে দোকান গুলো বসে সেগুলো কএ ফুটপাথের দোকান বলে। আর অনেক বড় বড় দোকান ও ওই ফুটপাথ থেকে জিনিস নিয়ে বেশী দামে বিক্রি করে।আমিও অনেক কিছু কিনি ফুটপাথ থেকে।