রমজানের বিকেলে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলা||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে রমজান মাসে বিকেলবেলা ফুটবল খেলা নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমার সকল বন্ধু-বান্ধবেরই প্রায় ঈদের ছুটি দিয়ে দিয়েছে। সকল বন্ধুরাই প্রায় বাসায় চলে এসেছে। আগে যখন আমরা সবাই নীলফামারীতে থাকতাম তখন রমজানের সকালে ও বিকেলে দুই বেলাই ক্রিকেট ফুটবল খেলতাম। এখন যেহেতু সবাই বাইরে থাকি তাই সেরকম খেলা হয় না। কিন্তু শেষ রমজানের এই সময়টিতে সবাই বাড়ি ফিরে আসে। আমরা যারা মাঠে খেলি তারা প্রায় সবাই বাড়ি ফিরে এসেছি। তাই গ্রুপে সবাই ঠিক করি যে বিকেলে নীলফামারী বড় মাঠে ফুটবল খেলতে যাবো।
বিকেল চারটার সময় বাসা থেকে রওনা দেই। আমার বাসা থেকে নীলফামারী বড় মাঠ কাছেই তাই দশ মিনিটের বেশি লাগেনা। আমি বিকেল চারটায় একটা রিক্সা নিয়ে নীলফামারী বড় মাঠে যাই। সেখানে বন্ধুদের সাথে দেখাও হয়ে যায়। অনেকদিন পর সব বন্ধুদের সাথে একসাথে দেখা হওয়া একটা আলাদা মজার অনুভূতি কাজ করে।
বিকেল ৪:৩০ মিনিটে দুই দল ভাগ করে আমরা খেলা শুরু করি। প্রতিটি দলে আটটি করে প্লেয়ার মোট ১৬ জন খেলা শুরু করি। রোদ ও বেশ ভালো ছিল কিন্তু বন্ধুদের সাথে এভাবে ফুটবল খেলতে বেশ ভালোই লাগে। আগের কথা মনে পড়ে যায় আগে যখন রমজানের সকালে ও বিকেলে দুইবেলাতেই ক্রিকেট খেলতাম। রমজানের মধ্যে এরকম বন্ধুদের সাথে খেলার মধ্যেও আলাদা মজা রয়েছে।
আমরা বিকেল ৪ টা ৩০ থেকে বিকেল ৫ টা ৩০ পর্যন্ত এক ঘন্টা ফুটবল খেলি। রমজান মাস তাই বেশিক্ষণ খেলি না। কারণ অনেকের বাসা একটু দূরে যেতে সময় লাগে তাই ৫'৩০ এর মধ্যে খেলা শেষ করি। ৫'৩০ পর্যন্ত খেলা শেষ করে আমরা সবাই নিজের বাসার দিকে ফিরে আসি। এই রমজান কোন এত কিছু উপেক্ষা করে বন্ধুদের সাথে একসাথে ফুটবল খেলার মজাই আলাদা।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রোজা থেকে বিকেলে ফুটবল খেলা খুবই কষ্টকর কিন্তু একসময় প্রচুর খেলেছি । রোজা কখনো বাধা করেনি খেলাধুলা থেকে ফুটবল খেলার প্রতি খুবই নেশা ছিল । আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে ভাই । আমরা এভাবে অনেক খেলাধুলা করেছি রমজান মাসে। ভালো লাগলো এরকম মুহূর্ত সবার জীবনে থাকুক সেটাই কামনা করি । আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রমজান মাসে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলা নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার ক্ছেরেন ভাইয়া। ভালো হয়েছে পোস্টটি।তবে অবাক হলাম, আমরা যখন ছোট, স্কুলে পড়ি তখন এই DEER ব্র্যান্ডের ফুটবল দেখেছি। এখনো এই ব্র্যান্ড বিদ্যমান! তবে রমজানে এই ছুটিটা আপনাদের দারুণ কাটছে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলে। এত শুধু খেলা নয়, বন্ধুদের মিলন মেলাও বটে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন এটি শুধু খেলা নয়, এটি বন্ধুদের মিলন মেলাও বটে। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ফুটবল খেলার সুন্দর এখন অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে রমজান মাসের বিকেলে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলার কিছুটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে আপনি উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বিকালের সীমিত সময়ের মধ্যে আপনার খেলার কাজ সম্পন্ন করেছেন। বেশ ভালো লাগলো জেনে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
রোজা তার উপর এইরকম গরম কিন্তু ঠিকই ফুটবল খেলেছেন। আপনাদের প্রশংসা করতেই হয়। ফুটবল ব্যাপার টাই এইরকম যে দেখলেই শরীরে এনার্জি চলে আসে। বাড়িতে ফিরে আপনার ফুটবল খেলার মূহুর্ত টা দেখে বেশ ভালো লাগল। দারুণ সময় কাটিয়েছেন বন্ধুদের সাথে।
আসলেই ভাই দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে। বন্ধুদের সাথে একসাথে বিকেলে ফুটবল খেলার মজাই আলাদা।
রোজা রেখে এবং তীব্র রোদে এরকম বল খেলা সত্যিই অনেক কষ্টকর। তারপরেও নীলফামারীতে এসে অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে খেলেছো দেখে খুশি হলাম।অনেক অনেক শুভকামনা তোমার জন্য।