শুভ দুপুর সবাইকে,
সবার দিনকাল কেমন যাচ্ছে প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় ভাই ও বোনেরা? আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি
@samhunnahar। আমি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিং করি কক্সবাজার থেকে। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে থেকেও আপনাদের সাথে খুব সুন্দরভাবে যোগাযোগ করতে পারি। তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে। এই কমিউনিটিতে সব সময় একটিভ থাকতে পারলে অনেক বেশি ভালো লাগে। সবার সাথে এত সুন্দর একটি বন্ধুত্বসুলভ আচরণ আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। সবার এত সুন্দর নমনীয়তা এত সুন্দর একজন অন্যজনের সাথে শ্রদ্ধার সাথে আলাপ আলোচনা করা খুব সুন্দর পরিবেশ বলতে হয়। সবকিছু সম্ভব হয়েছে একমাত্র আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে। আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রিয় দাদা সুযোগ করে দেওয়ার কারণে এত সুন্দর একটি ব্লগিং জায়গা খুঁজে পেয়েছি। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট।

প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আমি ফুলের, প্রাকৃতিক দৃশ্যের এবং খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি। বন্ধুরা অন্যান্য অন্যান্য ফটোগ্রাফির মতো খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এছাড়া ও আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে পারলে অনেক ভালো লাগে। তাহলে বন্ধুরা শুরু করে নেওয়া যাক আমার আজকের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো।
তরমুজঃ-
প্রথমে আমি আপনাদের সাথে যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো তা হচ্ছে তরমুজের ফটোগ্রাফি। আপনারা তো জানেন তরমুজ একটি সিজনাল ফল। তবে বর্তমান সময়ে বাজারে গেলে মনে হয় না যে আসলে তরমুজ সিজনাল ফল। এখন হাইব্রিড জাতীয় উৎপাদনের ফলে সব সিজনেই সব ধরনের ফল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই তরমুজের ফটোগ্রাফি টা আমি সিজনের সময় নিয়েছিলাম। যখন প্রথম প্রথম পর্যাপ্ত পরিমাণ তরমুজ বাজারে মিল ছিল সেই সময় নেওয়া। বেশ ভালো লাগছিলো এই তরমুজ খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল এই তরমুজটি।

Location
সালাদের প্লেটঃ-
আমরা সবাই খাবারের সাথে সালাদ খেতে পছন্দ করি। বিশেষ করে আমার খুব ভালো লাগে সালাদ খেতে। যখন আমরা খাবারের ডায়েট করি তখন যদি এই ধরনের ভেজিটেবল মিক্স সাথে মাংস থাকে সালাদ খাওয়া যায় তাহলেই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। একদিকে ক্ষুধা নিবারণ হবে অন্যদিকে পেটের চর্বি গুলো ভালোভাবে কেটে যাবে। বিশেষ করে যারা ডায়েট করতে চাই তাদের জন্য এই সালাদের প্লেট যথেষ্ট।

Location
চিড়ার নাড়ুঃ-
এই খাবারটি শীতকাল অনেক বেশি ভালো লাগে। ছিড়া দিয়ে তৈরি করা নাড়ু খেতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। বিশেষ করে যখন অনেক বেশি মচমচে থাকে খেতে খুবই দারুণ হয়। এই খাবার খেয়েছিলাম আমার এক ভাবীর বাসায়। যখন আমরা ভাবিকে দেখতে যাই অসুস্থ অবস্থায় তখন ভাবি আমাদের জন্য বেশ সুন্দর কিছু খাবার সাজিয়ে রাখছিল। তবে এই ধরনের শুকনো জাতীয় খাবার খেতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার গ্রামীণ পর্যায়ে এই ধরনের খাবার গুলো বেশি দেখা যায়।

Location
আচারের প্লেটঃ-
আমরা বাঙালি নারীরা আচার খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। যখন শীতকাল সিজন আসে। কিংবা যখন যেই সিজনে আমরা টক জাতীয় ফল পায় তখন আমরা আচার নেওয়ার চেষ্টা করি। বিশেষ করে শীতকাল সিজনে বিভিন্ন ধরনের টক ফল পাওয়া যায়। এই আচারের প্লেটটা হচ্ছে বড়ই এবং তেঁতুল মিক্স করে নিয়েছিলাম। যখন রাঙ্গামাটি গিয়েছিলাম তখন সেখান থেকে কিছু বড়ই এবং তেঁতুল আনছিলাম। সেগুলো দিয়ে আমি আচার তৈরি করেছিলাম খেতে খুবই ভালো লাগছিল।

Location
পনিরের সালাদঃ-
পনির অনেক শক্তিশালী একটি খাবার। যেটা যদিও অল্প খেলেও শরীর অনেক বেশি শক্তি যোগায়। আমরা সবাই ডায়েট করতে চাই। সবাই বলতে যারা ডায়েট করতে পছন্দ করেন তারাই করেন। আমার ক্ষেত্রে ডায়েট করাও অন্যতম ভালো লাগে। কারণ শরীরের ওজন বেশি হলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। তাই চেষ্টা করি একটু ডায়েট করার। তবে পনির আমি কখনো খাইনি। অনেকে আছেন পনির খেতে পছন্দ করেন। এই খাবারের প্লেট আমি একটি রেস্টুরেন্ট থেকে নিয়েছিলাম যেখানে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখছিল।

Location
নারকেল পুলিঃ-
এই পুলি পিঠা আমরা শীতকালে বেশি খেয়ে থাকি। বিশেষ করে ঠান্ডা ওয়েদারে গরম গরম যে কোন পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। তবে পিঠা পুলির মধ্যে নারকেল দেওয়া যে কোন ধরনের পিঠা আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি নারকেল দিয়ে বিভিন্ন পিঠা তৈরি করতে। পিঠার সাথে যদি নারকেল থাকে নারকেল কামড়ে পড়ে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এ পিতার ফটোগ্রাফি টা আমি নিয়েছিলাম খাদ্য উৎসবের অনুষ্ঠান থেকে। যেখানে হরেক রকমের পিঠার আয়োজন ছিল।

Location
ভাপা পিঠাঃ-
এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ভাপা-পিঠার ফটোগ্রাফি। এই পিঠা আমরা সবাই খেতে পছন্দ করি। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়ে থাকি। এক এক সিজনে আমরা একেক ধরনের পিঠা খেতেপছন্দ করি। সবচেয়ে বেশি ধুম পড়ে যায় পিঠা খাওয়ার শীতকালে। বাঙালির ঐতিহ্য সেই ভাপা পিঠা শীতকালে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। স্কুলে, কলেজে বিভিন্ন অফিস আদালতে পিঠার উৎসব তৈরি করে থাকেন। এই পিঠ আমি চেয়েছিলাম আমার হাজব্যন্ডের অফিসের একটি প্রোগ্রামে। এই পিঠা দেখতে যেমন সুন্দর ছিল কালারটি খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। একসাথে দু-তিনটা খেয়েছিলাম হা হা হা।

Location
আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি ভালো লাগবে। কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না।
ক্যামেরার বিবরণ
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
লোকেশন | কক্সবাজার |
ক্যাটাগরি | খাবারের ফটোগ্রাফি। |
|
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।


আমাদের সকলের প্রিয় দাদা সুযোগ দিয়েছিলেন বলেই আমরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি এবং সুন্দর সময় কাটানোর একটি মাধ্যম খুঁজে পেয়েছি। আপু আপনাকে শেয়ার করা লোভনীয় সব খাবারের ছবিগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। খাবার গুলো দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে।
আমাদের প্রিয় দাদা যদি আমার বাংলা কমিউনিটি তৈরি না করতেন তাহলে কখনো সম্ভব হতো না আমাদের।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ কয়েকটি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দিয়ে একটি অ্যালবাম সাজিয়েছেন। আপনার তোলা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফী আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে। বিশেষ করে আমার কাছে আপনার তোলা তরমুজের ফটোগ্রাফী টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। কেননা তরমুজ আমার খুবই প্রিয়।
আমার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার দেখে ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর,সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন ।খাবার গুলো কমবেশি সবারই পছন্দের। খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে লোভ লাগছে ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। মিক্সড সালাত,পনির,ভাপা পিঠা, পলি পিঠা,আচার সবগুলোই লোভনীয়। খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমারও একই অবস্থা আপু খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই লোভ লেগে যায় হা হা হা।
এই বিকেলে এসে মজার মজার লোক হলেও খাবার দেখে শক্তি পেটের মধ্যে মোচর দিয়ে উঠলো।
আপনার পোস্টে ফটোগ্রাফির মধ্যে বিশেষ করে ভাপা পিঠা পুলি পিঠা পনির এবং আচার সব থেকে বেশি লোভনীয় মনে হচ্ছে আমার কাছে।
এই খাবারগুলো আমারও খুব।
তাহলে তো সার্থক হলো আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগলো।
আহা,খাবারগুলো দেখেই বেশ লোভ লাগছে।বাঙালি বলে কথা খাবার দেখলে আর জিভ কে কন্ট্রোল করতে পারে না।আপু আপনার করা সবগুলো ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর। আপনাকে ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু আপনাকে। চলে আসেন বাসায় আপনাকে তৈরি করে খাওয়াবো।
আসলেই আপু ফটোগ্রাফি পোষ্টের মধ্যেও ভিন্নতা আনতে খুবই ভালো লাগে। ভিন্নতার কারণে আপনি ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে ফুড ফটোগ্রাফি দেখলে তো খেতে ইচ্ছে করে। এত লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আচারের ফটোগ্রাফি দেখে তো জিভে জল চলে এসেছে। পিঠার ফটোগ্রাফিও খুবই সুন্দর হয়েছে। পনিরের ফটোগ্রাফি টা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। পনির আমাদের শরীরের জন্য আসলেই অনেক উপকারী।
একদম ঠিক বুঝতে পারছেন আপু প্রতিদিন ফুলের ফটোগ্রাফি কিংবা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগেনা। তাই আজকে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলাম।
https://x.com/nahar_hera/status/1805166795755770098?t=0RccAwcxB1pg8Q1zRY56aw&s=19
এমন লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি যদি চোখের সামনে আসে তাহলে নিজের লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে পরে আপু। সত্যি কথা বলতে খেতে আমি খুবই ভালোবাসি তাই তো আপনার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপু যদি লোভ লেগে যায় তাহলে তো বাসায় দাওয়াত করতে হয় আপনাকে চলে আসেন আপনি।
এত লোভনীয় খাবার যদি একত্রিত ভাবে চোখের সামনে চলে আসে তাহলে কি কোন ভাবে লোভ সামলে থাকা যায়। সবগুলো খাবার দেখে তো আমার প্রচুর পরিমাণে লোভ হয়ে গেছে মনে হচ্ছে যেন এখান থেকে খাবার তুলে খেতে শুরু করে দেয়। আপু আমার বাড়িতে কিছু খাবার পাঠিয়ে দেন আর লোভ সামলাতে পারছি না।
প্রতিটি খাবার আমার কাছেও অনেক সুস্বাদু ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।