চালতার আচারের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে একটি সুস্বাদু আচারের রেসিপি শেয়ার করবো। তা হলো চালতার আচার। ছোটবেলার খুব পছন্দ করতাম এই আচার। স্কুলে গেলে খেতাম। বিশেষ করে বাসার পাশের দোকান থেকে কিনে এনে বিকেলবেলা ছাদের উপর বসে আমরা বোনেরা মিলে খেতাম। অনেক বেশি ঝাল দিয়ে নিয়ে আসতাম। এত বেশি ঝাল খেয়ে অস্থির হয়ে যেতাম। সে কথা মনে হওয়ার পর থেকে চালতের আচার খেতে ইচ্ছা করছিল। সেদিন বাজারে হঠাৎ চালতা চোখে পড়লো। তাই বাসায় নিয়ে আসলাম। আগে কখনো চালতার আচার বানায়নি। তাই নেটে সার্চ দিয়ে আচার বানানোর রেসিপিটা দেখে নিয়েছিলাম। যদিও ছোটবেলার সেই স্বাদ পায়নি, কিন্তু এভাবেও চালতার আচার খুব মজা হয়েছিল খেতে। তাই সেদিন তৌহিদা আপুর বাসায় যাওয়ার সময় নিয়ে গিয়েছিলাম। ওখানে ওয়াহিদা আপু এসেছিলো। তিন বোন মিলে আচার খেলাম। আচার খেয়ে পুরনো স্মৃতিগুলো মনে করছিলাম। খুব ভালো লেগেছিলো সবাই মিলে খেতে।যাই হোক আশা করি আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
রসুন--৪টি
চিনি--পরিমাণমতো
লবণ--১চা চামচ
সিরকা--২ টেবিল চামচ
পাঁচফোড়নের গুড়া--১ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া--৩ চা চামচ
হলুদের গুঁড়া--১ চা চামচ
প্রথমে চালতা গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে পানি দিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে নিয়েছি। তারপর একটি চালনিতে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
সিদ্ধ চালতাগুলো পাটায় বেটে করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমতো সরিষার তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পাঁচফোড়ন দিয়েছি। তারপর রসুন কুচি দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে আদা বাটা এবং রসুন বাটা দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
সব মসলা একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে চালতা গুলো দিয়ে দিয়েছি। চালতাগুলো দেয়ার পর পাঁচফোড়নের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
সবকিছু ভালো মতো নেড়েচেড়ে বেশ কিছুক্ষণ রান্না করেছি। তারপর পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিয়েছি। চিনি দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ রান্না করার পর সামান্য একটু লবণ দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এভাবে বেশ কিছুক্ষণ রান্না করার পর চালতাগুলো প্রায় হয়ে গিয়েছে। তারপর সিরকা দিয়ে আবারো বেশ কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
সবশেষে আবারো একটু পাঁচফোড়ন এর গুড়া দিয়ে নেড়েচেড়ে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে আমার চালতার আচার তৈরি হয়ে গেল। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

আপনার তৈরি করা চালতার আচার খেয়ে আপনিসহ বোনেরা স্মৃতিচারণ করছেন এদিকে আপনাদের ছাদেবসে আচার খাওয়ার কথা জেনে নিজের বোনের সাথে স্কুল লাইফের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো
ঠিক বলেছেন আপু এই আচার খেতে খেতে পুরোনো অনেক গল্প করা হলো। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে আচারের রেসিপি খুব একটা খাওয়া হয় না। আর আচারের রেসিপি গুলো কিভাবে তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই তবে আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে চালতার আচার কিভাবে তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে মোটামুটি ভালো ধারণা পেলাম। বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমিও আচার খুব একটা খাই না। কিন্তু বানাতে বেশ ভালই লাগে। তাই মাঝেমধ্যে বানাই।
চালতা আমাদের এদিকে খুব কম পাওয়া যায়। তবে ইহা দিয়েছে সুন্দর আচার তৈরি করা যায় এটা আমি আগেই জেনেছি। চমৎকার ভাবে আপনি কিন্তু রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর যে কোন আচার খেতেই আমার ভালো লাগে। সুন্দরভাবে আপনি রেসিপি তৈরি করার কার্যক্রম দেখিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
আমিও বাজারে চালতা খুব একটা দেখি না। সেদিন চোখে পড়েছিল তাই সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির সকলে মিলে চালতার আচার বানিয়ে খেতো । তবে আজকে যেভাবে আপনি এই রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন তা অনেক সময় পূর্বে করা হয়েছে৷ এখন তা ভুলেও গিয়েছি৷ কিছুদিন আগে যখন কক্সবাজারে গিয়েছিলাম সেখানে এই আচার খাওয়া হয়েছিল৷ তবে আপনি যেভাবে আজকে এই আচারের রেসিপি শেয়ার করেছেন তা দেখে এতটাই সুস্বাদু হবে যা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না৷
কষ্ট করে একটু কুরিয়ারের মাধ্যমে আমাদের সবার মাঝে এটি পাঠিয়ে দিয়েন৷
এখন তো খাওয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। অনেকদিন আগে বানিয়েছিলাম। আগে বললে হয়তো পাঠানো যেত। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ইস তিন বোন মিলে কত মজাই করেছেন দেখছি। এমন করে সব বোনেরা মিলে ছেলেবেলার স্মৃতি গুলো কে মনে করে নিশ্চয় বেশ হাসাহাসিও করেছেন। তবে একটি কথা বলতে পারি যে ছেলে বেলার স্কুলের সামনের সেই আচারের মজা কিস্তু বাসায় বানানো আচারের মধ্যে পাওয়া যাবে না। কারন সেই আচারের স্বাদই ভিন্ন রকমের আপু। ধন্যবাদ আপু আমাকেও এমন করে ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
আসলেই আপু তিন বোন মিলে অনেক মজা করে আচার খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি তো দেখছি আমার সব থেকে পছন্দের রেসিপি নিয়ে আজকে হাজির হয়েছেন, যেটা দেখে আমার তো অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। চালতার আচার আমার কাছে এত বেশি ভালো লেগেছে যে, দেখেই আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছিল। তিন বোন মিলে আপনারা এই আচার খেয়েছিলেন শুনে সত্যি খুবই ভালো লেগেছে। ছোটবেলার কথা সত্যি অনেক বেশি মনে পড়ে গিয়েছে। কারণ ছোটবেলায় চালতার আচার প্রচুর পরিমাণে খেয়েছিলাম স্কুলে থাকাকালীন। যখন স্কুলে আচার বিক্রেতা এই আচার নিয়ে যেত তখন অনেক বেশি খেতাম। লোভনীয় রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চালতার আচার আপনার সব থেকে প্রিয় জেনে ভালো লাগলো আপু। স্কুল লাইফে আমরাও প্রচুর চালতার আচার খেতাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আচার এমন একটি খাবার যেটা দেখলে অটোমেটিক জিভে জল চলে আসবেই। আপনার তৈরি চালতা আচার দেখে আমার ও খেতে মন চাচ্ছে। আপনারা তিন বোন মিলে বেশ মজা করে আচার খেয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আমার বাসায় এভাবে আচার তৈরি করে রাখা হয়। এবং অনেক দিন ধরে খাওয়া যায়। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া যে কোন আচার দেখলে জিভে জল চলে আসে। লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যায়।
এই রাতের বেলা চালতার আচার দেখে জিভে পানি এসে গেলো।এই প্রথম চালতার আচার করেছেন।দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুব স্বাদেরই হয়েছিল।তিন বোন একসাথে হয়ে খেয়েছেন আর স্মৃতি রোমন্থন করলেন।বিষয়টা খুব মজার।আমার ও এমনটা হয়।ধন্যবাদ আপু দারুন স্বাদের আচারের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আচার দেখলে আসলেই লোভ সামলানোর যায় না আপু। আপনিও বাসায় এভাবে তৈরি করতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
চালতার আচারের রেসিপিটি অনেক লোভনীয় হয়েছে। চালতার আচার আমার অনেক প্রিয়। অনেকদিন হয়ে গেলো চালতার আচার খাওয়া হয়নি, আপনার রেসিপি পোস্টটি দেখে জিভে জল চলে এলো।অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
চালতার আচার মনে হয় সবারই অনেক পছন্দের। কারণ খেতে এত মজা। যাইহোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।