লোকজ উৎসব ২০২৩ এর তৃতীয় পর্ব।।
আসসালামুআলাইকু/ নমস্কার/ আদাব।
নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সাথে।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে হাজির হয়েছি ধারাবাহিক পর্বের পোষ্ট নিয়ে। আজকে লোকজ উৎসব ২০২৩ এর তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। চলুন শুরু করি।
আজকের পর্বের মধ্যে যা থাকছে তা হলো মাটির তৈরী চায়ের কাপ,পিরিচ, প্লেট কলমদানি,ফুলদানি। সব থেকে আকর্ষনীয় জিনিষ হলো মাটির তৈরী হারিকেন। এক সময় বাংলাদেশের ঘরে ঘরে হারিকেন পাওয়া যেতে। কিন্তুু বিদ্যুতের কারনে আর আধুনিকতার ছোয়াঁয় হারিকেন বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে এখনো গ্রামগঞ্জের কিছু বাড়িতে গেলে হারিকেন পাওয়া যাবে।
আমাদের গ্রামের বাজারে অনেক দিন আগের থেকে শাহজালাল নামক একজন ডাক্তার ফার্মেসিতে ঔষুধ বিক্রয় করে আসতেছে। আমাদের বাজারে দক্ষিণ পাশে একটি ব্রিজের গোড়ায় তার দোকানটা। আমি ছোট সময় থেকে দেখে আসতেছি তিনি সন্ধা হলে তার দোকানে হারিকেন ব্যবহার করে। আমি শাহজালাল ভাইকে জিঙ্গেস করি সারা বাজারের মধ্যে আপনি এক মাত্র ব্যাক্তি যে নাকি হারিকেন ব্যবহার করেন। আপনি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন না কেন। তিনি বলেন আমি বিদ্যুতের আলোতে ঔষুধ দেখি না। আমি আমাদের গ্রামে এক মাত্র তার দোকানেই হারিকেন দেখতে পায়। যায়হোক আমাদের ঘরেও একটি হারিকেন ছিল তবে সেটা কোথায় আছে কেউ জানে না।
আজকের বিষয় গুলোর মাঝে আরো রয়েছে বাশঁ,কাঠ ও বেত দিয়ে তৈরী জিনিষ পত্র। আমি যেটা দেখি সেটাই কিনতে মন চায়। তবে আমার কাছে কোন টাকা না থাকার জন্য কোন জিনিষ পত্রই কিনতে পারি নাই। চলুন বিস্তারিত বর্ণনা করি।
Device-Redmi Not-8 Time-7.30pm
প্রথমেই দেখতে পাচ্ছেন মাটি ও কাঠের তৈরী বিভিন্ন জিনিষ পত্র। এখানে হারিকেন, চায়ের কাপ পিরিচ,মাটির প্লেট সহ আরো অনেক কিছু। সব কিছুই আমার কাছে আকর্ষনীয় লেগেছে।
Device-Redmi Not-8 Time-7.30pm
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার হাতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের লোক-বাদ্যযন্ত্র 'একতারা’। বাংলার লোকসঙ্গীতের সঙ্গে ওতপ্রত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই তার যন্ত্র। বাউল গানে আলাদা মাত্রা দেয় এই একতারা। দোকানে দেখে হাতে নিয়ে একটি ছবি তুলার স্বাদ জাগলো।
Device-Redmi Not-8 Time-7.30pm
এখানে যে ফুলের মালা গুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো কিন্তু অরিজিনাল না। এগুলো রঙিন কাগজ দিয়ে আর পাটজাত পন্য দিয়ে বানানো বিভিন্ন ধরনের গাদা ফুল। অরিজিনাল ফুলে ঘ্রান আছে তবে একদিনের বেশি থাকে না। একদিন পরেই পচেঁ যাবে। কিন্তুু এখানে রঙিন কাগজ সহ পাটজাত জিনিষ দিয়ে ফুল গুলো বানানো হয়েছে। এগুলোর ঘ্রান নেই তবে অনেক দিন স্থায়ী হবে।
Device-Redmi Not-8 Time-7.30pm
এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিষ দেখতে পাচ্ছেন। এখানে যে নকশী কাঁথা,চাদঁর,ব্যাগ দেখতে পাচ্ছে। এগুলো বাংলার সোনালী আঁশ পাট দিয়ে বানানো হয়েছে। পাট দিয়ে যে এত পন্য বানানো যায় সেখানে না গেলে জানতে পারতাম না।
Device-Redmi Not-8 Time-7.30pm
এখানে বিক্রয় করছে আপুদের সব থেকে প্রিয় জিনিষ বেলপুরি। বেলপুরি খাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও ডাক্তাররা এসব বাহিরের জিনিষ খেতে বারন করে তারপরও ডাক্তারের কথা কে মানে। এগুলো দেখলে আর নিজেকে সামলানো যায় না।
Device-Redmi Not-8 Time-7.30pm
এখানে দেখতে পাচ্ছেন অনেক ধরনের কাঠের আয়না,ওয়ালমেট, টিসু বক্স, কোরআর শরীফের বক্স সহ অনেক ধরনের জিনিষ পত্র বিক্রয় করা হচ্ছে। আমার কাছে আয়না গুলো অনেক ভাল লেগেছে।
Device-Redmi Not-8 Time-7.30pm
এখানে দেখতে পেলাম কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নৌকা,হাসঁ,পাখি, ডিম লাইট বানিয়ে বিক্রয় করছে। তাছাড়াও দেয়ালে কাপড় দিয়ে বানানো বিভিন্ন ওয়ালমেট দেখা যায়।
Device-Redmi Not-8 Time-7.30pm
এই দোকানটিতে এসে আমি অবাক হয়ে গেলাম। বাশেঁর কন্চি দিয়ে,বেত দিয়ে কত ধরনের জিনিষ তৈরী করেছে। এগুলোই হলো গ্রামবাংলার মূল ঐতিহ্য। এই দোকানটিতে ঢুকে তাদের কাজ দেখে আমার মনটা হারিয়ে গেছে। যে কেউ দেখলে অবাক হয়ে যাবে। কি নিপুন তাদের কারু কাজ।
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কেমন হলো আজকের পোষ্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির নিচে বর্ণনা দিয়ে দিলাম। যেন আপনাদের বুঝতে সহজ হয়। প্রতি পর্বে বারোটা চৌদ্দটা করে ফটো শেয়ার করবো। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা নতুন কোন বিষয়ের আপডেট নিয়ে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৭ |
উৎসবের নাম | লোকজ উৎসব |
স্থান | সোনারগাঁও,নারায়নগঞ্জ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
মাটির তৈরি জিনিসগুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে,কেন জানিনা একটা আবেগ কাজ করে এগুলোর প্রতি।
এখনো যে কেউ হারিকেন ব্যবহার করে সেটা জেনে একটু অবাকই হয়েছি।সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফিগুলো।শুভ কামনা রইলো।
জী ভাইয়া আমাদের বাজারে একজন করে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার হাতের হারিকেন নেওয়া দেখে প্রথমে মনে হয়েছিল আপনি একতারা নিয়েছেন বাজানোর জন্য। আপনি ঠিক বলছেন আমরা ছোটকালে হারিকেন চেরাগ এগুলো দিয়ে পড়ালেখা করতাম। এছাড়া মাটির কাপ, পিরিচ, হাড়ি ,পাতিল অনেক কিছু দেখেছি। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন সবকিছু আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। এখন খুব সীমিত দেখা যায় কিন্তু বাজারে এদের মার্কেটপ্লেস অনেক বেশি। লোকজ মেলায় অনেক ঘোরাফেরা করেছেন এবং সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়েছেন আমার কাছে এই পর্বটি অনেক ভালো লেগেছে।
আপু সেটা হারিকন না একতারা,হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।
মাটি তৈরি এবং কাঠের তৈরি জিনিস গুলো সত্যিই অসাধারণ দেখতে। আর বাঁশ দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন জিনিসগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। মন চাইছে সেখানে যেতে। অনেক সময় মেলায় গিয়ে ঘুরাঘুরি করলেও কোন কিছু পছন্দ হয় না। আর আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফিতে যা কিছু দেখলাম সবগুলোই নিতে ইচ্ছা করছিল।
জী আপু জিনিষ গুলো সত্যিই অসাধারন ছিল। ধন্যবাদ আপু।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
মাটির তৈরি জিনিসপএ গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।আমি মাঝে মাঝে মাটির তৈরি জিনিসগুলো কিনে থাকি।যাই হোক বেশ অবাক হলাম আপনার গ্রামের ডাক্তার এখনও হারিকেন ব্যবহার করে জেনে বিদ্যুৎ আলো তিনি দেখেন না। যাই হোক সোনারগাঁ এই মেলাতে গত বছর গিয়েছিলাম।এই বছর কি আছে নাকি শেষ হয়ে গিয়েছে?
জী আপু ডাক্তার ভাইয়া এখনোও হারিকেন ব্যবহার করে। ধন্যবাদ আপু।
কোন জিনিসটা রেখে কোন জিনিসটা দেখব বুঝতে পারছিলাম না। তোর কি সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখালেন ভীষণ ভালো লাগলো। ইচ্ছে করছে সব জিনিস থেকে কিছু কিছু নিয়ে নিতে। মাটির এবং কাঠের জিনিসপত্র আমার কাছে ভীষণ দারুন লাগে। এখানে তো আবার নকশি কাঁথাও পাওয়া যাচ্ছে দেখছি। তাছাড়া বাঁশ এবং বেতের তৈরি জিনিস গুলো খুবই অসাধারণ লেগেছে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে লোকজন উৎসব দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
জী আপু জিনিষ গুলো সত্যিই অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আপু।