ভ্রমন- লোকজ উৎসব ২০২৩ এর পঞ্চম এবং শেষ পর্ব।।
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বাংলাভাষাভাষী স্টিমিট পরিবার। কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।
আমি @joniprins বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চিন্তা করেছি এখন থেকে সাতদিনে সাত রকমের পোষ্ট করবো। সেই হিসাবে আমার আজকের পোষ্টের বিষয় হলো ভ্রমন। চলুন সামনের দিকে যায়।
আপনারা সবাই জানেন যে আমি নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও এ অনুষ্ঠিত লোকজ উৎসব ২০২৩ উপলক্ষে সেখানে ভ্রমন করতে গিয়েছিলাম। সেই ভ্রমনের অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি গুলো আমি পর্ব আকারে শেয়ার করে আসতেছি। গত সাপ্তাহে আমি চতুর্থ পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি লোকজ উৎসব ২০২৩ এর পঞ্চম ও শেষ পর্ব শেয়ার করবো।
আমারা মেলার বিভিন্ন দোকান ঘুরাঘুরি করার পরে মেলার মূল অনুষ্ঠানে গেলাম। মেলার মূল অনুষ্ঠান বলতে সেখানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিলো। সেখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন নামি-দামি সাংস্কৃতিক শিল্পীরা সেখানে গান পরিবেশন করেছে। আমরা যখন সেখানে গিয়েছি তখন ভাল মানের একজন শিল্পী গান গাচ্ছিলো। আমার কাছে গানটি অনেক ভাল লেগেছিলো। তবে সময়ের অভাবে সেখানে বসে গানটি শুনতে পারি নাই। এক থেকে দুই মিনিট গান শুনে আমরা চলে এসেছিলাম।
আজকে যে ছবি গুলো শেয়ার করবো সে গুলো লাষ্ট পর্যায়ে তুলেছিলাম। অনেক ধরনের লাল নীল বাতি দিয়ে মেলাটা সাজানো হয়েছিল। সব মিলিয়েয়ে ধারুন একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম। মেলাটি যদি বাসার আশে পাশে হতো তাহলে আমি প্রতিদিন মেলায় যেতাম। কারন এরকম মেলা সাধারনত দেখা যায় না। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিল্পীরা তাদের শিল্প দেখানোর জন্য এখানে চলে আসে। ধীর্ঘ এক মাস এখানেই তারা থাকে। চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখা যাক।
এগুলো হলো মাছ ধরার পলো। বর্তমান জেনারেশন এগুলোর নাম জানে না। কখনো দেখে নাই,নাম জানবে কিভাবে। বর্তমানে কোন এলাকায় এগুলো ব্যবহার করে কি না সেটাও জানি না। আমাদের দিকে ব্যবহার হয় না। এখন তো বন্যার পানি আসে না,মাছ ধরবে কোথায় থেকে, আর এগুলো ব্যবহার করবেই বা কিভাবে।
এ গুলো হলো কাঠের কানের দুল। এগুলো এখন কল্পনার বিষয়। আমি ঐ মেলা ছাড়া আর কোথাও এগুলো দেখি নাই। কাঠের কানের দুল নামটা শুনলেই কেমন লাগে। অনেক ডিজাইনের কানের দুল আছে সেখানে। এগুলো এখন না কিনলে দুই এক বছর পরে জাদুঘরে চলে যাবে।
বাংলার ঐতিহ্য নকশি কাঁথা। এগুলো দেখার জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বিশাল বড় এরিয়া নিয়ে এগুলো সাজানো হয়েছে। এই নকশি কাঁথা গুলো অবশ্য অনেকের বাসা বাড়িতে গেলে দেখা যায়। কম্বল থেকে হাজার গুণে বেশি আরাম লাগে এগুলো।
মেলাতে সময়ের অভাবে তেমন কিছু খেতে পারি নাই। শুধু রাস্তায় দাড়িয়ে দুই জনে দুইটি ভেজিটেবল চপ খেয়েছিলাম। খাবারও অনেক ধরনের রয়েছে। আপনারা ফটোগ্রাফির আশে পাশে অনেক ধরনের খাবার ও পিঠা দেখতে পাচ্ছেন। এমনও পিঠা আছে যার প্রথমন দেখলাম।
এই সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখানে অনেক মানুষ দেখা যায়। স্টেজটা খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। অনেক দুরদুরান্ত থেকে নামিদামি শিল্পীরা এসেছিল। শীতের দিনে এমন একটি গানের আসর বসলে ভালই লাগে। এই গানের দৃশ্যটা দেখলে গ্রাম বাংলার চিত্রের কথা মনে পরে। আগে বট তলায় এসব গানের আসর বসতো।
যে স্টেজে গান পরিবেশন হচ্ছে এটা হচ্ছে সেই স্টেজের বাহিরের অংশ। ময়ূর নৌকার আদলে স্টেজটি তৈরী করা হয়েছে। অনেক কালারের রঙ দিয়ে সাজানো হয়েছে। স্টেজটি কিন্তুু বিশাল বড়। একটি লোকজ লোকজ ভাব আছে স্টেজে।
ইশা খাঁর রাজ দরবারের রাতের দৃশ্য। দিনের বেলা থেকে রাতের বেলা বেশি সুন্দর লাগে। স্মৃতিময় একটি জায়গা। অনেক তথ্য রয়েছে সেই স্মৃতিময় রাজ দরবারে। রাজা নেই কিন্তুু রাজ দরবার ঠিকই ইতিহাস হয়ে দাড়িয়ে আছে।
এটি হলো মেলাতে প্রবেশ করার মেইন গেইট। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম এর আগের দিন মেলাটা উদ্বোধন হয়েছে। প্রতি বছর একমাস করে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলাতে এমন জিনিষ দেখলাম যা আগে কখনো দেখি নাই।
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কেমন হলো আজকের পোষ্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি ফটোগ্রাফি গুলো রাতের বেলা করেছি। সব গুলো ফটোগ্রাফির মাঝে বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। সব মিলিয়ে মেলার অভিজ্ঞতা ধারুন ছিল। অল্প সময়ের মাঝে ধারুন উপভোগ করেছি। আজকে মেলার পর্ব গুলো শেষ করে দিলাম। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৭ |
উৎসবের নাম | লোকজ উৎসব |
স্থান | সোনারগাঁও,নারায়নগঞ্জ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
পর্ব | পঞ্চম এবং শেষ |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি সাত দিনের সাত ধরনের পোস্ট করবেন যে ভীষণ ভালো লাগলো। আজ আপনি ভ্রমণের পোস্ট করেছেন। কিন্তু আমার কাছে এটি লাইফ স্টাইল এর মত লেগেছে। খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ভীষণ ভালো লাগলো। রাজ দরবারের রাতের দৃশ্যটা দেখতে দারুন লেগেছে আমার কাছে।
জী ভাইয়া এখন থেকে সাত দিনে সাত রকমের পোষ্ট করার চিন্তা করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাঁশের তৈরি খাঁচার মত যেটা আছে সেটা মাছ ধরার জন্য আমাদের এখানে এখনো ব্যবহার করা হয়। তবে খুবই কম দেখতে পাওয়া যায়। ছোটবেলায় অনেক দেখেছি। ভাইয়া আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। লোকজ উৎসবে গিয়ে দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন এবং সুন্দর সুন্দর জিনিস গুলো দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আপু আমাদের দিকে এখন আর পলো দেখা যায় না। ধন্যবাদ আপু।
গতবছর মেলাতে গিয়েছিলাম এই বছর যাওয়া হয়নি অসুস্থ থাকার কারনে।গত বছর শেষ পর্যায়ে গিয়েছিলাম তাই অনেক কিছু মিস করেছিলাম।আমার কাছে নকশী কাঁথা গুলো ভালোই লাগে তবে অনেক দাম মেলা উপলক্ষে। ছবিগুলো বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আমি এই বছর ফাষ্ট টাইম গিয়েছিলাম আপু। ভালই লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
লোকজ উৎসবে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আজকের পর্ব গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলো খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে। আপনার ফটোগ্রাফী গুলো দুর্দান্ত হয়েছে। রাজ দরবারের রাতের দৃশ্যটা দেখতে দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে।
লোকজ উৎসবে অনেক সুন্দর একটি সময় পার করেছেন। সত্যি ভাইয়া মেলাতে এমন অনেক কিছু দেখা যায় যা আগে কখনো দেখা হয়নি।কাঠের কানের দুল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি অনেক ভালো লেগেছে। ঈশা খার রাজদরবারে রাতের দৃশ্য চমৎকার লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর সময় টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক কমেন্ট করেছেন।