নার্সারি থেকে তোলা কয়েকটি ফুলের ফটোগ্রাফি
নমস্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই, আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি, কয়েকটি ফুল এবং উদ্ভিদের ফোটোগ্রাফি নিয়ে । এই ফোটোগ্রাফি গুলো আমি মূলত, কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ীর পাশের ছোটো একটি নার্সারি থেকে করেছিলাম। আশা করি ফোটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে খারাপ লাগবে না। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক ফোটোগ্রাফি গুলো।
এটি হলো আমাদের সকলেরই ,অতি পরিচিত জবা ফুলের ফোটোগ্রাফি। এই ফুল তো আমাদের আশেপাশে আমরা প্রতিনিয়তই দেখি। এই ফুলের বেশ কয়েকটি রঙের প্রজাতিও দেখতেও পাওয়া যায়। তবে সচরাচর লাল রঙের প্রজাতি আমরা দেখে থাকি। তবে আজকে আমি এই ফুলের গোলাপী রঙের প্রজাতিটির ফোটোগ্রাফি করেছি। আমার কাছে এই ফুলটি দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগছিল।
এটি হলো হাইড্রেনজিয়া ফুলের গাছ। এটি আমাদের অনেকেরই অপরিচিত একটি ফুলের গাছ । সচরাচর এই ফুলের গাছ দেখাও যায় না। এই ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে, যেমন- নীল, বেগুনী, গোলাপি ইত্যাদি।সবকটি রঙই দেখতে অনেক সুন্দর লাগে, তবে তার মধ্যে থেকে নীল রঙের প্রজাতির উপর অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করে।
এটি হলো বাঁশের একটি প্রজাতি, যেটি লাকি বাম্বু নামে পরিচিত। তবে অনেকে একে ভাগ্যবান বাঁশ ও বলে থাকে। নামটা শুনেই হাসি পেলো তাইনা? কী অদ্ভূত নাম! এই উদ্ভিদ টিকেও আমরা সচরাচর দেখতে পাই না। সাধারণত এই উদ্ভিদ শোভা বর্ধনকারী হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
এটি হলো অপরাজিতা ফুলের গাছ। যদিও গাছটিতে এখনো কোন প্রকার ফুল ফোটেনি। এটি তো আমরা রাস্তাঘাটে প্রায়ই প্রতিনিয়ত দেখে থাকি। এই অপরাজিতা ফুলকে আবার আমরা অনেকেই নীলকন্ঠ বলে চিনি। নীল রঙের এই ফুলের প্রজাতি টি বাবা নীলকন্ঠের পূজায় ব্যবহৃত হতেই বেশিরভাগ সময় দেখা যায়।
এটি হলো রেডিয়েটর প্লান্ট। এই গাছ আমরা প্রায়ই বিভিন্ন বাড়ির ব্যালকনিতে শোভা বর্ধনকারী হিসেবে দেখতে পাই। বহু বাড়ির ব্যালকনিতে এই গাছ দেখে থাকলেও এই উদ্ভিদের নাম হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। যাই হোক ক্ষুদ্র পাতাযুক্ত এই উদ্ভিদ দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।
এটি হলো আমাদের সকলেরই অতি পরিচিত পাথরকুচি গাছ। এই গাছটির প্রতি ছোটবেলা থেকেই আমার অন্যরকম একটা ভালোবাসা রয়েছে। ছোটবেলাতে যখন বইয়ের পাতাতে পড়তাম পাথরকুচি গাছের পাতা থেকেই আবার নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়, তখন এই গাছ দেখলেই তার পাতা ছিড়ে নিয়ে এসে বাড়িতে লাগিয়ে দিতাম। আর সত্যিই অদ্ভুতভাবে নতুন উদ্ভিদ জন্মাতো। খুব মজা পেতাম ছোটবেলায় এটি দেখে।
এটি হলো মানি প্লান্ট। বাংলায় যাকে অনেকে টাকা গাছও বলে থাকে। না না, তাই বলে সত্যিই টাকার গাছ না, হি হি হি। শত চেষ্টা করে মানিপ্লান্টেও টাকা জন্মানো সম্ভব নয়, হা হা হা। এই প্রজাতির উদ্ভিদ টিকেও আমরা বাড়ির ব্যালকনিতে শোভা বর্ধনকারী হিসেবে দেখতে পাই।
ডিভাইস | realme 8i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
লোকেশন | বারাসাত |
আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি, ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন ।দেখা হবে পরবর্তীতে, আবারও নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
বাড়ির পাশে থাকা নার্সারিতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল এবং গাছের ফটোগ্রাফি করলেন। জবা ফুল এবং হাইড্রেনজিয়া ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে একটু বেশি ভালো লেগেছে। এরকম গাছগুলো যদি বাসার মধ্যে রাখা হয় তখন খুব ভালো লাগবে দেখতে। বাসার মধ্যে এরকম গাছ লাগালে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
জবা ফুল এবং হাইড্রোজেনিয়া ফুলটি আপনার কাছে বেশি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। ঠিকই বলেছেন, অন্যান্য গাছপালা গুলো বাড়ির মধ্যে থাকলে অনেক বেশি সুন্দর লাগে দেখতে।
নার্সারি ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে ।সেখানে গেলে যেমন বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। তেমন পরিচিত অপরিচিত অনেক রকমের ফুল এবং নার্সারি সাজানো সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হওয়া যায়।
আপনি নার্সারি ভ্রমণ করে ফুল এবং উদ্ভিদের ফটো শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।।
হ্যাঁ নার্সারিতে গেলে ,অনেক অজানা গাছপালার সাথে পরিচিত হওয়া যায় ।আমার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো ,আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নার্সারি থেকে তোলা কয়েকটি ফুলের ফটোগ্রাফি। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে অসাধারণ ছিল। বাম্বু নামে পরিচিত এই ফুলের ফটোগ্রাফিটি দেখতে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
আমার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো, আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নার্সারি থেকে অপরূপ সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। সেই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ফুল আমার খুবই প্রিয়, তাই ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগে।
ফুল আপনার অনেক প্রিয় জেনে ভালো লাগলো ভাই। আসলেই ফুল আমারও অনেক প্রিয়।
আপু আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফিই অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে আমার কাছে জবা ফুলের ফটোগ্রাফিটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
জবা ফুলের ফটোগ্রাফিটি আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
নার্সারি থেকে বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। জবা ফুলটা দেখতে কিন্তু বেশ দারুন ছিল। তাছাড়া হাইড্রোজেনিয়া ফুলটিও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। প্রথম হাইড্রোজেনিয়া ফুল ভেবেছিলাম সাদা রঙ্গন ফুল পরে দেখি অন্য নাম। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু সাদা রংয়ের ফুলটি, হাইড্রোজেনিয়া ।সেটি রঙ্গন ফুল নয়। আমার তোলা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।
আপু আপনি নার্সারিতে যেসব ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন প্রত্যেকটা ফুল আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার তোলা ফটোগ্রাফির মধ্যে হাইড্রেনজিয়া ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। উল্টে দেখতে এত সুন্দর লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না। এছাড়া অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হাইড্রোজেনিয়া ফুলের ফটোগ্রাফিটি আপনার কাছে উল্টে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগছে জেনে খুশি হলাম ভাই ।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। সবগুলো ফটোগ্রাফি কিন্তু আমার অনেক ভালো লেগেছে। তবে এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে। সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার তোলা ফটোগ্রাফি গুলির সবকটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
নার্সারিতে যাওয়া হয়না অনেক দিন ধরেই। আগে প্রায়ই যাওয়া হতো। অনেক ছবিও তুলতাম। আপনার নার্সারির ছবি গুল দেখে এখন আমার আবার যেতে মন চাচ্ছে। গেলেই তো অক্সিজেনে ভরপুর একটু নিশ্বাস নেওয়া যায়। ছবি গুলো সুন্দর ছিলো।
নার্সারিতে যেতে যখন মন চাচ্ছে ভাই ,তাহলে একদিন গিয়ে ঘুরেই আসুন ।আশা করছি আবারও আপনার পুরোনো দিনের মতো ভালো লাগবে।