🐟"দেশি কইমাছ দিয়ে কালো কচুশাকের ডাটার মাখা মাখা ঝোল রেসিপি "🐟(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি ঠান্ডা বরফের মধ্যে ও সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আবারো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম।সেটি হলো"দেশি কই মাছ দিয়ে কালো কচুশাকের মাখা মাখা ঝোল রেসিপি "।
দেশি কই মাছ 🐟🐟 খেতে খুবই সুস্বাদু যদিও একটু কাঁটা বেশি।আমরা সকলেই জানি বেশি কাঁটাযুক্ত মাছ বেশি স্বাদের হয়ে থাকে।তাছাড়া এইসব মাছগুলির বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকে এবং দামও বেশি থাকে।বৃষ্টির সময় কই মাছ বেশি পাওয়া যায় ও জন্মায় তবে ওই কই মাছগুলো এখন বেশ বড়ো সাইজের হয়।বড়ো সাইজের কই মাছ খুবই স্বাদের হয় খেতে শীতের সময় ,শীতে একটু তেলযুক্ত হয় মাছগুলিতে।এই কই মাছগুলি দেশি অর্থাৎ খালে- বিলে জন্মানো।অনেকদিন ধরে কই মাছ খেতে খুবই মন চাইছিল তাই বাজার থেকে কিছু দেশি কই মাছ কিনলাম।এগুলি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে ফলে বাড়িতে এনে জল দিয়ে জীবিত অবস্থায় রেখে ও অনেকদিন ধরে খাওয়া যায়।এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে ,আমি এটি কচুশাক দিয়ে রান্না করবো।কচুশাক আমার খুবই ভালো লাগে মাখা মাখা ঝোল করে খেতে মাছ দিয়ে।কচুশাক বর্ষাকালে বেশি জন্মায়, এখন খুবই কম পাওয়া যায় কচুশাক তবুও কিছু সংগ্রহ করলাম আমাদের বাড়ি থেকে।অসময়ের কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা।তো চলুন শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
1 | দেশি কই মাছ | 4টি |
2 | কচুশাকের ডাটা | 6 টি |
3 | কাঁচা মরিচ | 7টি |
4 | পেঁয়াজ কুচি | 2 টি |
5 | রসুন ও আদা বাটা | 1টেবিল চামচ |
6 | জিরা বাটা | 2টেবিল চামচ |
7 | শুকনো লঙ্কা বাটা | 1.5টেবিল চামচ |
8 | লবণ | 2 টেবিল চামচ |
9 | হলুদ | 1.5 টেবিল চামচ |
10 | সরিষার তেল | 100 গ্রাম |
11 | জল | পরিমাণ মতো |
প্রস্তুত প্রনালী

প্রথমে আমি কিছু দেশি জ্যান্ত কইমাছ নেব।

একটি বটির সাহায্যে কই মাছগুলির আশ ছাড়িয়ে কেটে নেব ভালোভাবে।

এরপর ভালভাবে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে কইমাছগুলি হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নেব।যাতে এর গায়ের নালাযুক্ত ভাব কেটে যায়।

এরপর পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ মিশিয়ে নেব ভালোভাবে মাছের গায়ে।

এরপর চুলায় একটি পরিষ্কার কড়া ধুয়ে বসিয়ে দেব।তার মধ্যে তেল দেব পরিমাণ মতো ,তেল নেড়েচেড়ে গরম করে নিয়ে নেব ভালোভাবে ।তারপর লবণ ও হলুদ মিশ্রিত মাছ দিয়ে দেব তেলের মধ্যে।

এরপর মাছগুলি উল্টেপাল্টে বাদামি রঙের করে ভেজে নেব।

মাছ ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে নামিয়ে নেব একটি পাত্রে।

এরপর অসময়ের কচুশাক সংগ্রহ করে নেব।

কচুশাকের কয়েকটি ডাগ কেটে নিয়ে কাস্তে দিয়ে পরিষ্কার করে নেব।

এরপর কচুশাকগুলি জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে বটির সাহায্যে মিডিয়াম সাইজ করে কেটে নেব।

একইসঙ্গে কাঁচা মরিচ কেটে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নেব।

শিল ও নোড়ার সাহায্যে জিরা,শুকনা মরিচ ,আদা ও রসুন বেঁটে নেব মিহি করে।
পুনরায় আবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে তেল দিয়ে দেব।

এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেব তেলের মধ্যে তারপর নেড়েচেড়ে ভেঁজে নেব হালকা করে।
বেঁটে নেওয়া মসলা দিয়ে দেব ভেঁজে নেওয়া পেঁয়াজের মধ্যে।
তারপর নেড়েচেড়ে কষিয়ে নেব সব মসলাগুলি।

এবারে কেটে রাখা কচুশাকগুলি কষানো মসলার মধ্যে দিয়ে দেব।

কচুশাকগুলি নেড়েচেড়ে তাঁর মধ্যে কাঁচা মরিচ ও সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেব।
এরপর অল্প জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব 10মিনিট মতো।

10 মিনিট পর ভেঁজে রাখা মাছগুলি দিয়ে নেড়েচেড়ে আরো 10 মিনিট ফুটিয়ে নেব।

10 মিনিট ফুটিয়ে নেওয়ার পর তরকারীটি নামীয়ে নেব একটি পাত্রে।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "দেশি কই মাছ দিয়ে কালো কচুশাকের সুস্বাদু মাখা মাখা ঝোল রেসিপি"।এইবার গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সবাইকে।সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু দেশী কৈ মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। যদিও এই মাছে প্রচুর কাঁটা থেকে ।তবুও ভালই লাগে খেতে। আর আপনি কচুর শাকের ডাটা দিয়ে খুবই সুন্দর করে রান্নাটি করেছেন ।সেটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে ।প্রতিটি ধাপ আপনি চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন সেটি আমার কাছে অনেক বেশি ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু রেসিপিটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমি খুশি হলাম ও অনুপ্রেরণা পেলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই কচু আর কই মাছ দুটোই আমার বেশ লাগে ☺️
এই তরকারি দিয়ে দুপ্লেট ভাত পেট ভরে খাওয়া যাবে। ভালো ছিল সবকিছু 🥀
আর আপনার উপস্থাপনা বেশ ভালোই ছিল।
দোয়া রইল দিদি 💚
ভাইয়া কচুশাকের ডাটা আর কচু কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা।
মজা পেলাম ভাইয়া😊😊.অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।💐
➡️ বর্তমানে আমাদের এলাকায় কৈ মাছ এত বেশি দেখা যায় না। আপনি কৈ মাছ দিয়ে রেসিপিটি তৈরি করেছেন এটি দেখতে খুবই ভালো লাগতেছে। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হবে মনে হয়। কৈ মাছ দিয়ে যেকোনো কিছু রান্না করলে তা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। আপনি খুব সুন্দর করে এটি তৈরি করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, কই মাছ খুবই টেস্টি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।
কচু শাক বলেন আর কচু বলেন আর কচুর ছড়া বলেন এগুলো দিয়ে চিংড়ি মাছ অথবা ইলিশ মাছ দিয়ে বেশ দারুন লাগে। কৈ মাছ দিয়ে কখনো এভাবে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছে। আর কৈ মাছ গুলো দেখে মনে হচ্ছে না যে এগুলা দেশী কৈ মাছ মনে হচ্ছে যেগুলো চাষের কৈ মাছের মজাটাই আলাদা। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার কৈ মাছের মাখামাখা ঝোলের রেসিপি টা আমাদের সাথে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া, এগুলো দেশি কই মাছ।এগুলো পুরোনো বছরের তাই এইরকম সাইজে বড়ো হয়েছে।ঠিক বলেছেন কচুশাক দিয়ে চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ ,কই মাছ খুবই স্বাদের হয় খেতে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কই মাছ আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ দিদি। বিশেষ করে দেশি হলে তো কথাই নেই খাওয়ার মজা টা দিগুণ বেরে যায়। আপনার রান্না করা কচুর ডাটা দিয়ে কই মাছের রেসিপি টি দারুণ হয়েছে দিদি। দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কই মাছ আপনার পছন্দের মাছ জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।হ্যাঁ, দেশি কই মাছ বেশি টেস্টি খেতে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ।
ওয়াও আপু খুব সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে খেতেও মনে হয় খুব সুস্বাদু হয়েছে। তবে আপু এখনও দেশী কৈ মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না আপনার দেশি কৈ মাছ গুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু আমাদের এদিকে গতবছর খুবই কই মাছ পাওয়া গিয়েছিল,এইবছর তুলনামূলকভাবে একটু কম পাওয়া যাচ্ছে।তবে এগুলো গতবছরের দেশী কই তাই এইরকম সাইজে বড়ো হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপু।
আপু সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।৷ অনেক সুন্দর করে দেশি কইমাছ দিয়ে কালো কচুশাকের ডাটার মাখা মাখা ঝোল রেসিপি তৈরি করছেন আমার দেখে খুব ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে অনেক টেস্ট হয়েছে। যদি একটু খাইতে পারতাম আপু তাহলে ভালো লাগতো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া, খুবই মজার হয়েছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কচুর সাথে ইলিশ ও চিংড়ি মাছের দারুন সম্পর্ক আছে কিন্তু কই মাছের সাথে তা জানতাম না। পোস্টটি পড়ে একদম ইউনিক মনে হল। তবে রেসিপিটি দেখে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। 😋😋
দাদা কচুশাকের ডাটা আর কচু কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা।হ্যাঁ রেসিপিটা সুস্বাদু হয়েছিল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কচু দিয়ে চিংড়ি খেয়েছি কিন্তু কখনো কৈ মাছ খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি নতুন লাগলো আমার কাছে। রন্ধন প্রক্রিয়া দারুন। তবে দেশি কৈ এখন খুঁজেই পাইনা। ধন্যবাদ বোন ।
দাদা গতবছর আমাদের ক্যানেলে প্রচুর দেশি কইমাছ হয়েছিল কিন্তু এইবছর কোথায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।এগুলি বাজার থেকে কিনে এনেছি,এভাবে কচুশাকের ডাটা দিয়ে মাখা মাখা ঝোল খেতে ভালোই লাগে ট্রাই করে দেখবেন।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন।
দেশি কৈ মাছ মানেই এক আলাদা মজা। যা চাষের হাইব্রিড কৈ খেয়ে সেই মজা পাওয়া যাবে না। কালো কচুর ডাটা দিয়ে কৈ মাছের রেসিপি দেখে এখনি খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রেসিপির উপস্থাপনা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই অসাধারণ রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
👍একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।আমিও হাইব্রিড কই মাছ পছন্দ করি না এইজন্য পুরোনো বছরের বড়ো সাইজের দেশি কই মাছ কিনলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।