হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি রেসিপি শেয়ার করবো। ফিশ ফ্রাই রেসিপি। রেসিপি টা খুবই ভালো লেগেছে।

কিছু দিন আগে গ্রাম থেকে আমার মা ও বোন আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিল। মূলত আমার বোন অসুস্থ থাকায় ডাক্তার দেখাতে এসেছিল। পিজি হাসপাতালে তাকে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। এই বিষয়ে আপনাদের সাথে দুটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। তো মা ও বোন আসার সময় গ্রাম থেকে অনেক জিনিসপত্র নিয়ে এসেছে। চাউল, মোরগি, ডিম, নিজের গাছের বরই, মায়ের হাতের চাষ করা সবজি, নারিকেল সহ আরো অনেক কিছু । যেটা সাধারণত সব মায়েরাই ছেলে মেয়ের বাড়িতে গেলে যেটা করে থাকে আরকি। তো মাছের মধ্যে কিছু বড় বড় আস্ত রুই মাছ ছিল। গতকাল অফিস থেকে বাসায় গিয়ে ফিশ ফ্রাই খেতে মনে চাইলো। তো যেই চিন্তা সেই কাজ, ফ্রিজ থেকে মাছ নামিয়ে শুরু করলাম ফিশ ফ্রাই করার যঙ্গ।

রেসিপির বিভিন্ন উপকরণসমূহ

• রুই মাছ বড় একটি
• বেসন এক কাপ পরিমাণ
• কর্ন ফ্লাউয়ার পরিমাণ মত।
• কাঁচা মরিচ মিশ্রন পরিমাণ মত।
• পেঁয়াজ বাটা পরিমাণ মতো
• আদা বাটা পরিমাণ মতো
• রসুন বাটা পরিমাণ মতো
• ধনিয়ার গুঁড়ো পরিমান মত
• ধনিয়া বাটা পরিমাণ মতো
• হলুদের গুঁড়ো পরিমাণ মতো
• জিরে গুঁড়ো পরিমাণ মতো
• সরিষার তেল পরিমান মত।

ফিশ ফ্রাই রেসিপি তৈরি করার বিস্তারিত বর্ণনা -

প্রথম ধাপ-

প্রথমে আমি প্লাস্টিকের বড় সাইজের একটি গামলাতে লবন পানি দিয়ে মাছটি ভিজিয়ে রাখলাম। কারন বোন গ্রাম থেকে আসার সময় মাছটি কেটে পরিষ্কার করে নিয়ে এসেছিল। আমরা ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম। তারপর মাছটি ভালো ভাবে ধুয়ে কাঁচা ধনিয়ার পাতা বেটে লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।

দ্বিতীয় ধাপ-

তারপর হলুদ, মরিচ, জিরে গুঁড়ো, লবন, কর্ণ ফ্লাওয়ার, বেসন সব কিছু একসাথে মিক্স করে নিলাম।

তৃতীয় ধাপ-

তারপর রুই মাছটি মসলা মিশ্রনের উপর রেখে সব কিছু ভালো ভাবে মাছটির সাথে মেখে নিলাম। ভিতরেও মসলা দিলাম।

চতুর্থ ধাপ-

তারপর ফ্রাইপেনের মধ্যে সরিষার তেল দিয়ে দিলাম। তেল দেওয়ার পরে চুলার আগুনটা একটু বাড়িয়ে তেলটা গরম করে নিলাম। কারন তেলটা যত গরম হবে তত তারাতাড়ি মাছটা ভাজা হবে।

পঞ্চম ধাপ-

মাছটা যদি কিছুক্ষণ মেরিনেট করে রেখে দেওয়া যেতো, তাহলে ভালো হতো। কিন্তু আমার হাতে এত সময় ছিল না। তেলটা ভালো ভাবে গরম হয়ে আসলে মাছটা তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম। মাছটা তেলে পড়ার সাথে সাথেই ছেঁ...ত করে একটা আওয়াজ করলো।😄

শেষ ধাপ-

তারপর পনের থেকে বিশ মিনিট সময় নিয়ে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে মাছটা ভাজা ভাজা করে নিলাম। কর্ণ ফ্লাওয়ার দেওয়ার কারনে মাছটি ভাঙার সম্ভাবনা কম ছিল। একটু শক্ত শক্ত ছিল, যেভাবে চেয়েছি সেভাবেই ফ্রাই হয়েছে।

ফিশ ফ্রাই পরিবেশন-

কেমন হলো আমার ফিশ ফ্রাই রেসিপি। দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও দারুন স্বাদ ছিল। গরম গরম খেতে পারলে বেশি স্বাদ লাগে। সন্ধ্যার পরে মাছ ভাজার সাথে সালাদ হিসাবে টমেটো, গাজর, শসা ও টমেটো সস ছিল। সব মিলিয়ে দারুন একটি রেসিপি হয়েছে। টমেটো সস লাগিয়ে কামড় দিলেই স্বাদ।😋😋

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।