চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতলো ভারত!
10-03-2025
২৫ ফাল্গুন , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই ? আশা করছি সবাই ভালো আছেন ।আপনারা যারা খেলা প্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয়ই খেলাধুলার খোঁজখবর প্রতিনিয়ত রাখেন । আপনাদের সাথে ইতিমধ্যে আমি ভারতের শেষ ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম ।গতকাল গতকাল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল । তো আজকে সেই ফাইনাল ম্যাচ নিয়েই আপনাদের সাথে আলোচনা করব । ফাইনাল ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড । সেমিফাইনালে অবশ্য ভারতের সাথে নিউজিল্যান্ডের দেখা হয়েছিল এবং সে ম্যাচে ভারত নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল । সেদিক বিবেচনা করে আমি ভারতকে এগিয়ে দেখেছিলাম কারণ ভারতের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুবই ভালো যাচ্ছে এবং রোহিত শর্মার নেতৃত্বে তারা টি-টোয়েন্টি ট্রফিটাও জিততে পেরেছিল ।
সেদিক দিয়ে বলতে গেলে নিউজিল্যান্ডের কপাল খারাপই বলা যায় । কারণ যতবারই খেলা দেখেছি ফাইনালে তারা শুধু হেরেই গেছে বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরেছে ট্রপির দুইটা ফাইনাল হয়েছিল সেখানে তারা হেরেছে । এদিকে কেইন উইলিয়ামসনের শেষ ম্যাচ ছিল এটি এই ভদ্রলোকের জন্য আসলে খুবই খারাপ লাগছিল কারণ এই ভদ্রলোক বেশ কিছু ফাইনাল ম্যাচে সে থাকতে পেরেছিল টিমে । তবে দেখার বিষয় ছিল নিউজিল্যান্ড কেমন করে তাদের শুরু করে এবং ভারত কিভাবে আগায় তো ফাইনালের মত একটি ম্যাচে দর্শকের আলাদা একটা উত্তেজনা তো থাকবেই । দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল পুরো দর্শক । টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেই নিউজিল্যান্ড । শুরুতেই ওপেনিং এ নামে উইল ইয়াং এবং রাচিন রবীন্দ্র । রাবিন্দার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আসলে খুবই ভালো যাচ্ছে । আগের ম্যাচেও সে হান্ড্রেড করতে পেরেছিল । সেটা নিয়ে অবশ্য ভারত একটু দুশ্চিন্তায় থাকবেই বলতে গেলে । কারণ রাবীন্দ্র যতক্ষণ মাঠে থাকে ততক্ষণ শুধু রান আসতে থাকে তবে দেখার বিষয় ছিল ভারতের বোলাররা কেমন বোল করতে পারে পাওয়ার প্লে তে ।
শুরুর দিকটা ভালোই করেছিল রাচিন রবীন্দ্র! ভারতের বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করেছিল। তবে রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেন্সির প্রশংসা করতেই হবে। কারণ ভারুন চক্রবর্তীর বোল বুঝার মতো না। এমন কন্ডিশনে হিটে ব্যাট চালানো কঠিন। আর সে সুযোগটাই কাজে লাগায় ভারত । নিউজিল্যান্ড এর দলীয় সংগ্রহ যখন ৫৭ রান তখন ভারুন চক্রবর্তীর বলে এলবিডব্লিউ এর শিকার হয় উইল ইয়াং! তারপর মাঠে আসে কেইন উইলিয়ামসন! কেইন উইলিয়ামসনের শেষ ম্যাচ ছিল! ভদ্রলোকটার জন্য আসলে খারাপই লাগছিল। তবে আগের ম্যাচে অবশ্য ভালো ব্যাটিং করেছিল। তবে ফাইনালের মতো মঞ্চে দেখার বিষয় ছিল কেমন ব্যাটিং করে। রাবীন্দ্রাকে একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করার চেষ্টা করে কিন্তু কুদীপ যাদপের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় রাচিনকে। তারপর মাঠে ডাইরেল মিচেল! মিচেল নামার পর নিউজিল্যান্ড এর দলীয় সংগ্রহ যখন ৭৫ রান তখন কেইন উইলিয়ামসন কুলদীপ যাদবের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে!
তারপর থেকে নিউজিল্যান্ড চাপে পরে যায়। শুরুর দিকে নিউজিল্যান্ড এর রান রেট ছয়ের উপরে ছিল। কিন্তু রাচিন আউট হওয়ার পর কমতে থাকে। মিচেল ও টম লাথাম মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু টম লাথাম সুইপ শট খেলতে গিয়ে জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ এর শিকার হয়। তারপর মাঠে গ্লেন ফিলিপস! বলতে গেলে গ্লেন ফিলিপস এর তেমন জেনুইন ব্যাটার নেই বললেই চলে। তো গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল দুজনে মিলে একটা পার্টনারশিপ দাড়ঁ করানোর চেষ্টা করে। তবে নিউজিল্যান্ড এর দলীয় সংগ্রহ যখন ১৬৫ তখন ভারুন চক্রবর্তীর বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তারপর মাঠে আসে ব্রেইসওয়েল। বাহাতি এ ব্যাটারের ব্যাটিং দেখা হয়নি। তবে শেষের দিকে এসে ডেইরেল মিচেল এর ব্যক্তিগত ৬৩ রান এবং ব্রেইসওয়েল এর ৫৩ রানের সুবাধে শেষ অবধি নিউজিল্যান্ড ২৫১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
তো দুবাইয়ের মাঠে দেখার বিষয় ছিল ভারত রান চেইস করতে পারে কি না! নিউজিল্যান্ড এর পেসার ইনজুরির কারণে খেলতে পারেনি। সেদিক দিয়ে ভারত কিছুটা সুবিধা নিবেই। তো ওপেনিং এ নামে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। আমি সবসময় যেটা বলি রোহিত শর্মা মাঠে থাকা মানে একের পর এক বাউন্ডারি আসতে থাকা। এবং সেটাই হচ্ছিল শুরু থেকে। ভারতের ওপেনিং পার্টনারশিপ ১০১! যার কারণে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় ভারত বলতে গেলে। তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে শুভমান গিলের উইকেটের মাধ্যমে। গ্লেন ফিলিপস চমৎকার একটা ক্যাচ নেয়! তারপর মাঠে ভিরাট কোহলি। কিন্তু ভিরাট কোহলি গতকাল নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। ব্যক্তিগত ১ রান করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
তারপর মাঠে আসে শ্রেয়াসায়ার! শ্রেয়াসায়ার সব কয়টা ম্যাচেই বলতে গেলে পারফর্ম করেছে ভালো। তবে শ্রেয়াসায়ার নামার পর রোহিত শর্মা ডাউন দা ট্র্যাকে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে এক্সার পাটেল। এক্সার পাটেল নামার পরে শ্রেয়াসায়ার কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে চাপে রাখার চেষ্টা করে। তবে শ্রেয়াসায়ার ৪৮ রান করে সাজঘরে ফিরে। ২ রানের জন্য ফিফটি করতে পারেনি। তারপর মাঠে আসে কে এল রাহুল। কে এল রাহুল অনেকটা ধনির ভূমিকা রাখছে বলা যেতে পারে। শেষের দিকে এসে খেলার ফিনিশিং দিচ্ছে! শেষের দিকে কে এল রাহুলের ৩৪ রানের সুবাধে জয়ের একদম কাছে চলে যায় ভারত। তারপর ছয়বল বাকি থাকতেই জিতে যায় ভারত! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোফা ঘরে তুললো এরই মাধ্যমে। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় রোহিত শর্মা।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলাটা রোহিত শর্মা খুবই সহজ করে দিয়েছিল। আসলে এই খেলার পিস অনেকটাই স্কিন বোলিংদের জন্য ভালো ছিল যার কারণে খেলাটা এতটা জমজমাট হয়ে গিয়েছিল শেষ পর্যন্ত। অবশেষে ভারত জয় লাভ করেছে এটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
আসলেই ভাই খেলাটা উপভোগ করার মতো ছিল।