সোর্স

তো দেখতে দেখতে আমার বাংলা ব্লগ আজ দ্বিতীয় বর্ষ পূরণ করলো। অর্থাৎ গত দিন আমার বাংলা ব্লগ এর দ্বিতীয় বর্ষ পুরনো উপলক্ষে রাতে আমাদের বড় দাদার পরিচালনায় একটি সুন্দর অনুষ্ঠান পালিত হলো। আসলে অনুষ্ঠান তিনদিন ধরে হবে। কাল ছিল তার প্রথম দিন। আমরা সবাই খুব এক্সাইটেড ছিলাম আগে থেকেই। কারণ এবারের দ্বিতীয় বর্ষ কিভাবে পালিত হবে তা আমাদের জেনারেল ইউজারদের জানা ছিল না।


এই অনুষ্ঠানটি ছিল একটা সারপ্রাইজ এর মত। যাইহোক কিছুদিন আগে অ্যানাউন্সমেন্ট চ্যানেল দেখতে পেলাম যে এই দ্বিতীয় বর্ষ উপলক্ষে জেনারেল ইউজারদের মধ্য থেকে আমাকে এবং আরো কয়েকজনকে কিছু কথা বলার জন্য সিলেক্ট করা হয়েছিল।

আসলে এর ফলে আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। কারণ এত বড় একটা প্ল্যাটফর্মে আমাকে কিছু কথা বলতে দেয়ার জন্য সত্যিই আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি। তো আমি কিছুদিন যাবত ভাবতে লাগলাম যে কি বলবো কালকের অনুষ্ঠানে। আসলে আমার প্রথম খুব ভয় হচ্ছিল যে কী বলতে কী বলি। যাই হোক মনের ভিতরে সাজিয়ে নিলাম কি বলবো কালকের অনুষ্ঠানে।

আসলে সত্যি বলতে কি দুই একবার আমি ফাঁকা রুমের ভিতর বসে একা একা বলতে লাগলাম কালকের দিনের কথা গুলো। আসলে দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দাদার কথামতো আমি কেক কিনে এনেছিলাম এবং ৮ঃ১৫ মিনিট সময় আমরা কেক কেটেছিলাম। আসলে কেকটি আমাদের ছোট টিনটিন বাবু কেটেছিল।

তো ঠিক ৮:৩০ মিনিট এর সময় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল এবং আমাদের অনুষ্ঠানে এনাউন্সমেন্টে ছিলেন আমাদের প্রিয় শুভ ভাই। তো প্রথমে দ্বিতীয় বর্ষ উপলক্ষে বক্তৃতা রাখলেন আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা rme দাদা। আসলে দাদা অল্প কথায় দাদার মনের বিষয়টি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলেন। আসলে দাদার মূল্যবান বক্তব্য শোনার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলাম।


পরবর্তীতে বক্তৃতা রাখলেন আমাদের প্রিয় ছোট দাদা। আসলে ছোট দাদার বক্তৃতা শুনতে আমাদের সবার খুব ভালো লাগে। কারণ ছোট দাদা তার বক্তৃতায় বিভিন্ন বিষয়গুলি সুদক্ষ এবং সুনিপুণভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেন। দাদা সব সময় আমাদের অনুপ্রাণিত করে সামনের দিকে এগিয়ে চলার জন্য এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক উপদেশও তিনি তার বক্তৃতায় আমাদের বলে থাকেন।


আসলে এরপর শুরু হল এক এক করে এডমিন এবং মডারেটরদের বক্তৃতা। আসলে বক্তৃতার প্রথমে তো উইংকেল এর নেটওয়ার্ক খারাপ থাকায় তার কথা আমরা কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না। তারপরও সে চেষ্টা করছিল আমাদের সাথে সংযোগ ঠিক করে কথা বলার জন্য। আসলে সত্যি কথা বলতে হাফিজ ভাইয়ের বক্তৃতা আমার অসাধারণ লাগে। হাফিজ ভাইয়ের কথার ভিতরে আমার মনে হয় সব সময় একটু মধু লাগানো থাকে। কারণ তিনি অনেক সুন্দর ভাবে এবং গুছিয়ে তার মনের অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেন।


তো এরপরে একে একে জেনারেল ইউজারদের পালা এল। আসলে আমি খুব অধীর আগ্রহে বসেছিলাম যে কখন আমার কথা বলার সময় আসবে। আসলে এই অনুষ্ঠানের ফাঁকে দাদা বিভিন্ন এয়ার ড্রপ দিচ্ছিল। আসলে আমি কিন্তু কালকের অনুষ্ঠানে একটা এয়ার ড্রপও মিস করিনি। কারণ আমি কালকের দিনে একদম প্রস্তুতি নিয়ে বসে ছিলাম যে কোন এয়ার ড্রপ মিস করবো না।


আর মনে মনে একটু দুষ্টু চিন্তাও ছিল যে আমার বক্তৃতার সময় যদি কোন এয়ার ড্রপ দেয় তাহলে সেটি তো আর আমি পাব না। যাইহোক একে একে জেনারেল ইউজার বক্তৃতা দেওয়া শুরু করল এবং কিছুক্ষণ পর আমার নাম এনাউন্সমেন্ট হল। তো আমি আমার মনের কথা কাল আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম আমার বাংলা ব্লগ সম্পর্কে।


আসলে বক্তৃতার আগে আমি নার্ভাস থাকলেও বক্তৃতার সময় আমার কেন জানি খুব আনন্দ হচ্ছিল এবং আমার নার্ভাস ফিল কাজ করছিল না। যাই হোক বক্তৃতা শেষে জেনারেল ইউজারদের লোগো কনটেস্টের এনাউন্সমেন্ট করা হলো এবং ওই কনটেস্টে তিন জন একই সাথে বিজয়ী হলেন।


পরবর্তীতে আমার বাংলা ব্লগের এডমিন মডারেটর এবং ফাউন্ডারদের একটা ডাই প্রজেক্ট প্রতিযোগিতার প্রথম থেকে সপ্তম পর্যন্ত সেরা বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। আসলে প্রথমে দাদা এবং দ্বিতীয় স্থান বৌদি হয়েছে জানতে পেরে আমার সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল।

এরপর দাদা কর্তৃক আয়োজিত চারটি গিভওয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। আসলে চারটি গিভওয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেও আমার কপালে কিছু জুটলো না। যাই হোক মন খারাপ হয়ে গেল কিছুটা। কালকের মত অনুষ্ঠান এখানে সমাপ্ত হয়ে গেল।

আশাকরি কবিতাটি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

তো দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।