কুষ্টিয়া পৌরসভার সৌন্দর্যের সাথে কাটানো সময়।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৬ শে অক্টোবর, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল তিনে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। কিছু দিন আগে গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া পৌরসভাতে। কুষ্টিয়া পৌরসভা অনেক সুন্দর সময় কাটানোর মতো জায়গা। কুষ্টিয়া পৌরসভায় কাটানো মুহূর্ত আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
কুষ্টিয়া পৌরসভা বাংলাদেশের দক্ষিণ শহরের কুষ্টিয়ার স্থানীয় সরকার সংস্থা। কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার একটি পৌরসভা। কুষ্টিয়া পৌরসভা ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া পৌর ভবন কুষ্টিয়া শহরে অবস্থিত একটি প্রাসাদ সমতুল্য ভবন। পূর্বে এটি সতীশ সাহার জমিদার বাড়ি ছিলো ।বর্তমানে এটি ক শ্রেণীর পৌরসভা। এর আয়তন ৫৪.১৩ বর্গ কিলোমিটার। এটি ২১টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। ২১০ একরের উপর নির্মিত এই ভবনের কক্ষ ছিলো ৫০ টি। পরবর্তীতে এর জায়গা আরো বৃদ্ধি করা হয়।
কুষ্টিয়া পৌরসভা নানান সৌন্দর্য ঘেরা। পৌরসভার দালানগুলো দেখতে বেশি সুন্দর। এখানে না আসলে কেউ এর সুন্দর্য বুঝতে পারবে না। পৌরসভা পিছনের দিকে রয়েছে বড় একটি পুকুর। পুকুরের চারিপাশে রয়েছে নানান ধরনের গাছপালা। কুষ্টিয়া পৌরসভার মধ্যে রয়েছে নানান ধরনের ফুলের সমাহার।
সেদিন ছিলো আমার পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ করে রুমে আসতেই আমার ফোনে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ফোন আসে। ফোন আসার কারণটা ভালোই বুঝতে পারছিলাম। ফোন করে বলেন আমার নামে কুরিয়ার এসেছে। আমি আগে থেকেই জানতাম আজকে আমার নতুন ফোনটি কুরিয়ারে আসার কথা। শুনে অনেক ভালো লাগছিলো নতুন ফোন হাতে পাবো। তারপর এক্সাম দিয়ে এসে না খেয়ে চলে যায় আগে ফোন আনতে। যাওয়ার পথে ব্যাংকে যাই। সেখানে আমার একটু কাজ ছিলো। ব্যাংকের কাজ শেষ করে আমি আর আমার সহপাঠী মিলে একটা অটো নিয়ে চলে যায় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে।
তারপর কুরিয়ার সার্ভিস থেকে আমার ফোনটি নিয়ে আসি। ফোনটি পেয়ে তো আমি মহা খুশি। তারপর আমরা সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে আসে কুষ্টিয়া পৌরসভার উদ্দেশ্যে। কুষ্টিয়া পৌরসভার পুকুরপাড়ের পরিবেশ মনোরম। এখানে আমরা কিছুটা সময় কাটাই
তারপর আমরা চলে আসি পৌরসভার মধ্যে। পৌরসভার বিল্ডিং গুলো দেখতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের ফুলের সমাহার আমাকে আরো বেশি মুগ্ধ করে। এখানে এসে আমরা কিছু সময় ঘোরাঘুরি করি। নিজের এবং ফুলের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নি। চারপাশের পরিবেশেরও কিছু ফটোগ্রাফি করে নি।
তারপর আমরা পৌরসভার সামনের দিকে চলে আসি। পৌরসভার পাশে রয়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমী। শিল্পকলা একাডেমীর আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। সেখানেও রয়েছে নানান ধরনের ফুল এবং গাছপালা। আমরা শিল্পকলার মধ্যে সেদিন প্রবেশ করিনি। পৌরসভার সামনের দিকেও রয়েছে নানান ধরনের ফুলের গাছের সমাহার। ফুল আমার অনেক পছন্দের তাই সেখান থেকেও কয়েকটি ফুলের ফটোগ্রাফি করেন নি। তারপর সেখানে একটু সময় কাটে পৌরসভা থেকে বের হয়ে আসি।
পৌরসভার সৌন্দর্য নিজের চোখে না দেখলে হয়তো কেউ বুঝতে পারবে না। সব মিলিয়ে পৌরসভায় কাটানো মুহূর্তটা বেশ ভালই কেটেছিলো।
সবাইকে ধন্যবাদ।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২ অক্টোবর২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আপনি তো দেখছি কুষ্টিয়া পৌরসভার গিয়ে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পৌরসভার সৌন্দর্যের অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে যেমন ভালো লেগেছে, তেমন আপনার কাটানো মুহূর্তটা দেখেও খুব ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর করে আপনি পুরো মুহূর্তটা সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর মন্তব্য করে এভাবেই পাশে থাকবেন।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে প্রিয় কুষ্টিয়া পৌরসভার কিছু দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আমি যখন কুষ্টিয়াতে ছিলাম প্রায় দিন বিকেল বেলায় আশপাশ এলাকায় ঘুরতে বের হতাম বেশ ভালো লাগতো এগুলো দেখে। এত সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি কুষ্টিয়ায় ছিলেন জেনে ভালো লাগলো। কুষ্টিয়ার পৌরসভা আসলেই অনেক সুন্দর। মনোরম পরিবেশ। সময় কাটানোর জন্য দারুন একটি জায়গা। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কুষ্টিয়া পৌরসভা তো ভীষণ সুন্দর কাজ করেছে শহরে। কত সুন্দর সুন্দর ছবি এবং স্মৃতিসৌধ দিকে ভরিয়ে দিয়েছে। ছবিগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগলো।। কুষ্টিয়া যাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে। হয়তো ভবিষ্যতে কখনো গিয়ে ঘুরে আসব। তার আগে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক সমৃদ্ধ হলাম।
সময় পেলে অবশ্যই কুষ্টিয়ায় আসবেন। কুষ্টিয়ার পৌরসভা আসলেই অনেক সুন্দর। ছবি থেকে বাস্তবে বেশি সুন্দর। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।