আমার অনুভূতি ||| আচারের প্রতি ভালোবাসা।
হ্যালো বন্ধুরা সবার ঈদ কেমন কাটলো?আশা করি সকলে সপরিবার নিয়ে সুন্দরভাবে ঈদের খুশি উদযাপন করেছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় সপরিবারে অনেক সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করেছি।
ঈদের দিনে পরিবারের সকলকে নিয়ে একটু বাহিরে ঘুরতে বের হয়েছিলাম।আর বাইরে ঘুরতে বের হয়ে একটি আচারের দোকানে গিয়ে চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল।কারণ এত এত মজার মজার আচার দোকানে ছিল যে কোনটি রেখে কোনটি নেই এবং কোনটি খাবো।আমরা মেয়েরা একটু আচারের প্রতি বেশি দুর্বল এটি সবাই জানে। তবে সে আচার যদি থাকে অনেক বেশি আইটেমের তাহলে খাওয়ার জন্য ডিসাইড করা কিন্তু অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
তাই এত শত আচারের ভিতর থেকে প্রথমে আমার ফেভারিট আচার চালতার আচারটি নিলাম খাওয়ার জন্য।আমার দেখাদেখি আমার বাচ্চার খাবে বলে ওরাও চালতার আচার নিল এবং আমরা এই চালতার আচার খাওয়া শেষ করতে না করতেই মনে হলো একটু বড়াই এর আচার খেয়ে দেখি কেমন লাগে।এরপর আমাদের খাওয়া শুরু হল বড়াই এর আচার কিন্তু বড়াই এর আচার খেতে খেতে আমার ছোট ছেলে বলছে আম্মু আমের আচার খাব তখন আবার আমের একটি আচার নিলাম আমরা সবাই মিলে।
তবে এনাদের এই আমের আচারটি ছিল একদম সবুজ আম কেটে চার ভাগ করে এটিকে রোদে শুকানোর পরে তেলের ভিতর দিয়ে হালকা জাল করা।আর এই আচার আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং আমি খেতে খেতেই চিন্তা করেছি এটি আমি বাসায় তৈরি করবো ইন-সা-আল্লাহ।
এইভাবে আরো বেশ কিছু আইটেমের আচার খেয়ে ফেললাম এবং আচার খেতে খেতে ওই দোকানদারের সঙ্গে কথা বললাম কোন আচার টি কিভাবে তৈরি করেছেন তার প্রসেস নিয়ে। বিভিন্ন আচার তৈরি করার প্রসেস তার থেকে শিখে নিলাম এবং বাসার জন্য কিছু আচার তার থেকে কিনে পেকেট করে নিয়ে আসলাম বাসায় যাতে রেখে পরবর্তীতে খাওয়া যায়।
আজকের মত এখানেই শেষ করলাম আমার অনুভূতির গল্প। তবে আবারও কখনো কোন ব্যতিক্রম কিছু বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হব সে পর্যন্ত আপনাদের কাছ থেকে বিদায়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- আমার অনুভূতি "আচারের প্রতি ভালোবাসা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু খাওয়ার পরে যেগুলো প্যাকেট করে করে বাসায় নিয়ে গিয়েছেন, বাসায় গিয়ে খাওয়ার জন্য ।সেগুলো এবার আমার বাসায় পাঠিয়ে দিন। এটা কিন্তু ঠিক না আপু লোভনীয় সব আচার আপনি খেয়েছিলেন এবং আমাদেরকে দেখাচ্ছেন। আচার দেখে তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। ইচ্ছে করছে সবগুলো আচার টেস্ট করি। আপু আপনি ভালোই করেছেন আচার বানানোর প্রসেস তাদের কাছ থেকে শিখে নিয়েছেন। এখন চাইলে একইভাবে বাসায় তৈরি করতে পারবেন এবং আমাদেরকে খাওয়াতে পারবেন। 😁
জি আপু আপনাদের বাসায় পাঠাবো বলেই তো বাসায় নিয়ে এসেছি আপনার ঠিকানাটা দিয়ে দিন।
আহা!! আপু, হরেক রকমের আচার দেখিয়ে তো লোভ ধরিয়ে দিলেন। এখনতো এই আচার দেখে জিভে জল চলে আসছে। যাইহোক আপু, ঈদের আনন্দে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। আর আপনি ঘুরতে বের হয়ে খুবই লোভনীয় ও আপনার পছন্দের আচ্ছা খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আচারের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আপনার সুন্দর অনুভূতিটুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আচার খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আসলে আচার খুবই মজাদার এবং অত্যন্ত লোভণীয় একটি খাবার। এত রকমের আচার দেখে তো খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার আচার খাওয়ার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আচার পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম আছে ভাই।
আপু এমনিতেই আমি আসার প্রিয় মানুষ আমাদের পরিবারে আমগাছ রয়েছে, কুলগাছ রয়েছে, আমড়া গাছ রয়েছে রয়েছে তেঁতুল গাছ তাই সারা বছরের মধ্যে কম বেশি বিভিন্ন প্রকার আচার তৈরি করা হয়ে থাকে, যা আমার অতি প্রিয়। আর আজ আপনি আমাদের মাঝে সেই বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করছেন দেখে যা লোভ সামলানো বড়ই কঠিন।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।