আত্মকাহিনী ||| আড়ং বুটিকস-২।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা যে যেখান থেকে এই মুহূর্তে আমার এই পোস্টটি পড়ছেন।আশা রাখি সবাই সবার পরিবারসহ সুস্থ আছেন এবং সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করছেন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার আড়ং বুটিক্সের আরেকটি ডিজাইন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে চলেছি।আড়ং বুটিক্সের প্রথম পোস্টটি পড়ে সকলে অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন বিধায় আড়ং বুটিকস নিয়ে লেখার উৎসাহটা পেয়েছি।
আমার উদ্যোক্তা জীবনে সবচাইতে বড় পরিশ্রমের ডিজাইন ছিল এই শাড়ির ডিজাইন করা।কারণ শাড়ির ডিজাইনগুলো করতে যেমন সময় লাগে ঠিক সেই ডিজাইনটাকে পরিপূর্ণতায় আনতে তার চাইতে তিনগুণ সময় বেশি লাগে।যেকোনো ডিজাইন প্রথমে যখন করা হয় সেটি দেখে মনে হয় আসলে এটি কেমন হবে এবং কতটুকু সুন্দর হয়েছে ও এটি কতটা দামি হবে।
তবে সবচাইতে আমি বেশি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি কারণ আমি আমার কর্মীদেরকে নিয়ে এত বেশি আনন্দ ফিল করি।যে আমার যেকোনো ডিজাইন আমার কর্মীদেরকে পরিপূর্ণতা দেওয়ার জন্য দিলে তারা সেটিকে তাদের মেধা দিয়ে এবং তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে সেটিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।এই বিষয়টি প্রত্যেকটি ডিজাইনার বা উদ্যোক্তা পায় না।কারণ কর্মীরাদেরকে নিজের করে নেওয়ার মতো সক্ষমতা সবার হয়ে ওঠে না।তবে কর্মীদেরকে নিয়ে কাজ করতে গেলে অনেক ধৈর্য এবং তাদের সঙ্গে অনেক হাসিখুশি ভাবে কথা বলাটা অতি জরুরী।
কারণ তারা এমন একটি একটা পরিবারে চলাফেরা করেন যে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার কেউ করে না।তাই তাদের সঙ্গে যদি আমরা ভালো ব্যবহার এবং আচরণ করি ও তাদের সাথে যদি কথা ঠিক রাখে পারি তাহলে তারা তাদের জীবনের সর্বোচ্চটা আমাদেরকে দিয়ে থাকেন।
আমার এই ছোট্ট জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি দেখেছি সেটি হল গ্রামের সহজ সরল মানুষ তাদের ভালোবাসায় কোনো স্বার্থ থাকে না,কিন্তু আমরা শিক্ষিত মানুষগুলোর ভালবাসা স্বার্থ ছাড়া হয় না।তাই অতি বিনয়ের সাথে শিক্ষিত সমাজকে বলতে চাই সবাইকে ভালোবাসেন,সবাই মানুষ,সবার শরীরে একই রক্ত এবং রক্তের কালারটাও একই লাল।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আত্মকাহিনী "আড়ং বুটিকস-২"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
বেশ চমৎকার এবং অসাধারণ লিখেছেন আপু। আপনার আড়ংয়ের ডিজাইনগুলো কিন্তু অনেক অসাধারণ ছিল। আপনার করা ডিজাইন গুলো দেখে আমার বেশ একটি শাড়ি পড়তে মন চাচ্ছে। ডিজাইনগুলো অত্যন্ত লোভনীয় ছিল আপু। ধন্যবাদ আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করে যাচ্ছি আপু আমার আড়ং বুটিক্সের জন্য দোয়া করবে।