আমার অনুভূতি ||| ফাঁকা জায়গায় বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন?এই মুহূর্তে যে যেখান থেকে আমার এই পোস্টটি পড়েছেন আশা করি সকলে পরিবার নিয়ে সুস্থ এবং সুন্দর ভাবে দিন যাপন করছেন?
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটি ব্যতিক্রম অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়েছি জানিনা আমার এই কথাগুলো আপনাদের কাছে কতটুকু ভাল লাগবে বা কতটুকু আপনাদের মনে স্থান করে নিতে পারবে।তবে আমার বাংলা ব্লগে এসে একটি জিনিস শিখেছি সেটি হলো নিজের অনুভূতিগুলো সবার সামনে উপস্থাপন করা।সেটি কার কাছে কেমন লাগলো সেটা বড় কথা নয়,বড় কথা হলো আমি সেই অনুভূতি গুলো সবার সামনে কিভাবে উপস্থাপন করতে পারলাম।
বেশ কিছুদিন হল এত তাপ ফ্যানের বাতাস শরীরে মনে হয় আগুনের জালা।এত গরম প্রত্যেকটি মানুষ মনে প্রাণে চাই যে কখন বৃষ্টি নামবে সৃষ্টিকর্তার অশেষ করুনায় যদি একটু বৃষ্টি নামে তাহলে এই পৃথিবী একটি সুন্দর পরিবেশে পরিণত হবে।আর আমরা যতই কৃতিম এসি বা অন্যকোন প্রসেস দিয়ে শরীরকে ঠাণ্ডা করিনা কেন কিন্তু সৃষ্টিকর্তার যদি এক পশলা বৃষ্টি হয় আর সেই বৃষ্টির পরে যে ঠান্ডা হয় পৃথিবীতে সেই অনুভূতিটা একটু ব্যতিক্রম।আর ওই ঠান্ডাটা মনে হয় শরীরকে একদম ফ্রেশ করে দেয় এবং এত ঘুম পায় মনে হয় যে ঘুমের ট্যাবলেট খেলে এত ঘুম চোখে কখনও আসেনা।
এই গরমের মধ্যে আমি বাচ্চাদেরকে নিয়ে বিকেলে একটু হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম।গিয় দেখি একটি ফাকা জায়গায় মানুষের এত সমারোহ আর প্রত্যেকটি মানুষ মন খুলে তার বাচ্চাকাচ্চা সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘাসের উপর বসে তাদের শরীরটাকে ফ্রেশ করার চেষ্টা করছে।তারি ধারাবাহিকতায় আমার বাচ্চারাও অনেক দৌড়াদৌড়ি এবং অনেক আনন্দ করেছে এই ফাঁকা জায়গায়।এই পরিবেশটি দেখে আমার এত ভাল লেগেছে এবং নিজেকেও অনেক ফ্রেশ মনে হয়েছে। যে আসলে ঘরের গন্ডির ভিতরে এসির বাতাসের চেয়ে প্রকৃতির মাঝে খোলা জায়গায় বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার মধ্যে যে কত শান্তি সেটি বাহিরে না আসলে বোঝা যায় না।
তাই আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রতিটি ভাই ও বোনদেরকে বলবো প্রত্যেককেই আমার মনে হয় দিনে আধা ঘণ্টার জন্য হলেও ফাঁকা জায়গায় বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া দরকার। আর এটি করলে আমার মনে হয় শরীর এবং মন সকলের ভালো থাকবে এবং শারীরিক ফিটনেস অনেক সুন্দর থাকবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি এরপর আবার কখনও এরকম কোন অনুভূতি নিয়ে আপনাদের মাঝে আসবো যদি আপনাদের ভাল পরামর্শ পাই।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- আমার অনুভূতি "ফাঁকা জায়গায় বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
মাঝখানে যে কয়দিন প্রচন্ড গরম পড়েছে আমি সেই কয়দিন মাঠে গিয়েই বসে ছিলাম আপু। আসলে আমাদের এখান থেকে দশ বারো কিলোমিটার দূরে খুব সুন্দর একটা বিল রয়েছে যেটাকে বর্তির বিল বলে, হয়তো চেনেন আপনি বা নাম শুনে থাকবেন। সেখানে গিয়ে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আমারও তাই মনে হয় যে এই প্রচন্ড গরমে প্রত্যেকেরই অন্তত এক ঘন্টা বাইরে প্রকৃতির সংস্পর্শে যাওয়া উচিত, তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যাবে। যদিও এখন গরম অনেকটাই কমে গেছে।
জি আপু এখন এটি করা উচিত কারণ ফ্রেশ আবহাওয়ায় না ঘুড়লে শরীরটা ভালো লাগে না।
কি বলেন আপু বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের এখানে ওয়েদার খুবই ভালো। অনেক বৃষ্টি হচ্ছে এবং ঠান্ডা একটা পরিবেশ। আপনাদের ওখানে এখনো গরম জেনে খারাপ লাগলো। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন কৃত্রিম এসিতে বৃষ্টির ঠান্ডার যে আনন্দ তা পাওয়া যায় না। এই গরমের মধ্যে ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে ভালই সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
জি আপু বিকেলটা অনেক ভালো কেটেছে।
আমাদের এদিকে কয়েকদিন যাবৎ বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। তাই তীব্র গরম অনেকটা কমে গিয়েছে। বিকেল বেলা এই ধরনের জায়গায় গিয়ে সময় কাটাতে সত্যিই বেশ ভালো লাগে। তাহলে শীতল বাতাসে শরীরটা একেবারে সতেজ হয়ে যায়। আর এমন জায়গায় গেলে তো বাচ্চাদের আনন্দের সীমা থাকে না। পোস্টটি পরে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বিকেলবেলা এই ধরনের জায়গায় ঘোরাফেরা করলে মনটা অনেক ভালো হয়।
আপু এই প্রচন্ড গরমের সময় বিকাল বেলা এমন খালি মাঠে বসে একটু গল্প করতে পারলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। তা ছাড়া খালি মাঠে প্রাকৃতিক বাতাস ভালোই লাগে। আপনার ছবিতে দেখলাম বাচ্ছরা ভালই দৌড়াদৌড়ি করছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই।