আমার দৃষ্টিভঙ্গি ||| সোনালী আঁশ পাট।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমি সবার দোয়ায় ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ নিয়ে কিছু কথা বলবো।পাটকে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ বলা হয়।পাট চাষ নিয়ে দুটি কথা আপনাদের সামনে বলতে চাই।জানিনা আমার কথাগুলো কতটুকু যুক্তিযুক্ত মনে হবে আপনাদের কাছে বা কতটুকু ভালো লাগবে।তবে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এসে একটি বিষয় শিখেছি সেটি হলো নিজে যা জানি তা অপরকে জানানোর চেষ্টা করব।বিষয়টি কতটুকু সবার কাছে ভালো লাগলো সেটি বড় বিষয় না,বিষয়টা হলো আমি কিভাবে উপস্থাপন করলাম ও কতটুকু ভালো ভাবে উপস্থাপন করলাম এটি হল বড় বিষয়।
কারণ প্রতিটি বিষয়ই একবারে সম্পূর্ণভাবে সঠিক হবে না এটাই স্বাভাবিক।চেষ্টা করলে আস্তে আস্তে একদিন হয়ত বা ভাল একজন ব্লগার হিসাবে সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারব। পাটকে আমাদের দেশে সোনালী আঁশ হিসেবে আমরা সবাই চিনি। পাট চাষ করে এই দেশ থেকে বিদেশে বিভিন্ন দেশে পাট রপ্তানি আমরা করে থাকি। পাট থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশে অর্জন করি।এই পাট বিদেশে রপ্তানী করে আমরা অনেক লাভবান হচ্ছি । পাটের প্রতিটি জিনিস আমাদের উপকারে আসে। শুরু থেকে আমরা যখন পাট গাছ লাগাই তখন একটু বড় হলে আমরা শাক হিসেবে খেয়ে থাকি।এই পাটশাক আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। পাটশাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও নানান রকম ভিটামিনের উপাদান । আর এমনিতেই সবুজ শাকসবজি আমাদের শরীরে সবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
তারপর সেই পাটগাছ গুলো যখন আস্তে আস্তে বড় হয় তখন সেই পাট গাছ গুলোকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভাগ করে চাষী ভাইরা কাজ করে থাকে। এই পাটগাছের প্রক্রিয়াজাত করার কাজগুলো কিন্তু সহজ না অনেক কঠিন তারপরও আমার দেশের সোনার চাষী ভাইরা অনেক কষ্ট সহ্য করে সে সোনালী আঁশ পাট থেকে বের করে আনে।
আসলে পাটের গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। একটি সময়ে পাটের তেমন চাহিদা ছিল না। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে এই পাটের প্রচুর চাহিদা। পাট দিয়ে তৈরি হচ্ছে নানান ধরনের জিনিসপত্র আসবাবপত্র, সৌখিন জাতীয় জিনিস যা দেখতে অসাধারণ লাগে। এই জিনিসপত্র গুলো অতি নিমিষেই চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। আমাদের দেশ এ দিক থেকেও লাভবান হচ্ছে। পাটের এতটাই গুনাগুন এবং তার এতটাই চাহিদা বর্তমানে তা বলে শেষ করা যাবে না। তাই পাট কে আমরা সোনালী আঁশ বলে থাকি।আর এই পাটের জন্য আমাদের বাংলাদেশে এতটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আমরা তার গর্বে গর্বিত।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- আমার দৃষ্টিভঙ্গি "সোনালী আঁশ পাট"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু আপনি ঠিক বলেছেন। পাঠ কে আমরা সোনালী আঁশ বলে থাকি। গ্রামীণ পরিবেশ পাঠ পরিষ্কার করা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক দিন হয়ে গেলো গ্রামে যাওয়া হয়নি। তবে আজকে আপনার পোস্ট দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে এটি আমার বড় পাওয়া।
আসলে এই ধরনের কাজের সাথে আমরা কমবেশি জড়িত কারণ আমার পিতা একজন কৃষক। আর আপনি ঠিক বলেছেন পাটকে আমরা সোনালী আঁশ বলে থাকি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাই আমার চোখে যতটুকু দেখেছি ঠিক ততটুকু মুঠোফোনে ধারণ করেছি এবং কিছু লেখার চেষ্টা করেছি।
পাটকে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ বলা হয় যা বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে আমরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করি। তবে পাটকে কিভাবে পরিচর্যা করা হয় তা সামনাসামনি আমি কখনো দেখিনি। এ ধরনের কাজগুলো দেখতে পারলে খুব ভালো লাগতো। খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
এক সময় পাটকে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ বলা হত। কিন্তু কালের বিবর্তনের সে পাট চাষ এখন আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে যেসব পরিত্যক্ত জায়গা আছে সেখানে পাট চাষ করা হতো। আপনার ওখানে পাট চাষ করা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। তবে আমাদের এখানে এখন পাট চাষ আর করা হয় না তেমন।
আপনার সাথে একমত আপু।
পাট গাছকে সোনালী আঁশ পাটগাছ বলে। পাট আমাদের বাংলাদেশের রপ্তানি মধ্যে একটি। পাটের আঁশ থেকে এখন বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র আসবাবপত্র তৈরি করে থাকে। পাট পুরো বিশ্বে এখন অনেক চাহিদা আছে। আপনি ঠিক বলেছেন পাট আস বাইর করা এত সহজ নয়। অনেক কষ্ট করে পাট আঁশ বাহির করা হয়। তবে পাটের পাতাগুলো খেতে অনেক মজা। আমরা সবজি হিসেবে পাটের পাতা গুলো খেয়ে থাকি। এবং পাটের পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে। আজকে আপনার পাটের সোনালী আঁশের পোস্ট খুব চমৎকার হয়েছে। সুন্দরভাবে পাটেকে নিয়ে উপস্থাপনা করেছেন।
সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করে উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাংলাদেশের সোনালী আঁশ পাট। আর এই সোনালী আশ পাটকে কেন্দ্র করে আজ আপনি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অবশ্যই আপনার এই পোষ্টের মধ্যে অনেক সুন্দর সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি আমি খুজে পেয়েছি এবং খুব সুন্দর ধ্যান ধারণা আপনি তুলে ধরেছেন সুন্দর করে। খুব ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট পড়ে।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে কাজের গতি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।