একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাচ্চাদের পুরষ্কার পাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাচ্চাদের পুরষ্কার পাওয়ার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে এখন রমজান মাস।আর রমজান মাসে সবাই একটু বেশি ব্যস্ত থাকে। আসলে মহিলাদের ব্যস্ত থাকা স্বাভাবিক। যাইহোক বাচ্চাদের আগ্রহ দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আমার মেয়ে দুটি ইউটিউব দেখে সব সময় ছবি আর্ট করে থাকে। বিশেষ করে ক্লে দিয়ে অনেক সময় অনেক কিছু বানায়। যদিও তাদের তেমন আমি সাহায্য করি না।আবার আশেপাশে তেমন কোন জায়গা নেই যে ওদের ভর্তি করে দেব। আসলে দূরে দিলে আমার তাদের সাথে যেতে হবে। কিন্তু সব কিছু মিলে আমার যাওয়ার সময় হয় না।তারজন্য আর দেয়নি।তবে তারা নিজের প্রচেষ্টায় বেশ ভালোই পারে।আর এরজন্য আর্টের জিনিস আমি তাদের কিনে দেয়।যদিও তারা ছোট তবে চেষ্টা করে যাচ্ছে আরকি।তাই একুশে ফেব্রুয়ারিতে দুই বোন ছবি এঁকে পুরস্কার পেয়েছে সেই অনুভূতিগুলো নিয়ে আজ আপনাদের মাঝে এসেছি। তো চলুন শুরু করে আজকের পোস্ট।
একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি ছিল শুক্রবার। তাদের স্কুলের স্যারে যেতে বলেছিল সকাল ৮ টার দিকে। যদিও তারা যেতে যেতে বেজে গিয়েছিল ৯ টা। তারপর বারোটা বেজে গিয়েছে কিন্তু তখনো আসেনি। তবে সকাল বেলা দুই বোন না খেয়ে গিয়েছে। তারপর সাড়ে বারোটার দিকে আমি স্কুলে গিয়েছে। আমি যাওয়ার পরে দেখি হেড ম্যাডাম ওদের পুরষ্কার দিচ্ছে। আমার বড় মেয়ে তিন ক্লাস মিলে তৃতীয় হয়েছে। আসলে সে বৃহস্পতিবার রাতে দুই বার প্রাকৃতিক দৃশ্য এঁকেছে।এটা দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। আসলে শুধু বাচ্চারা কেন চেষ্টা করলে সফল হওয়া যায় এটাই স্বাভাবিক। তারপর তাদের একটি করে খাতা ও কলম দিয়েছে। আসলে পুরষ্কার তো পুরষ্কারি সে যাইহোক। পুরষ্কার পেয়ে তারা সত্যি অনেক আনন্দ পেয়েছে। আর এই আনন্দ আসলে বলে বুঝানো মুশকিল।
তারপর গিয়েছিলাম ছোট মেয়ের ক্লাসে। আসলে ছোট মেয়ে তেমন পারে তবে বড় জনের দেখে চেষ্টা করছে।আর বড়জন তাকে মাঝে মাঝে আর্ট করতে সাহায্য করে। যাইহোক ছোটজন তিন ক্লাস মিলে তৃতীয় হয়েছে। সত্যি এটা দেখে সব মায়ের ভালো লাগা স্বাভাবিক।আসলে ছোট মেয়ের সব কিছুতেই অনেক আগ্রহী। আমার বাংলা ব্লগে কবিতা ও গান বলার জন্য সে তৈরি থাকে।যদিও আমি বলি তুমি ভালো করে পারো না বড় হয়ে বলবে কিন্তু সে শোনবে না।অথচ বড় মেয়ে বেশ ভালোই কবিতা আবৃত্তি করে কিন্তু সে বলবে না।যাইহোক ছোট বাচ্চা ভালো না হলে আর কি। তবে তার আগ্রহ আছে তাই আমি বাধা দেয় না।তারপর সে স্কুল থেকে পুরষ্কার এনেছে।সত্যি বাচ্চাদের আগ্রহ থাকলে তারা অবশ্যই সামনে এগিয়ে যাবে।আপনারা সবাই আমার মেয়ের জন্য অবশ্যই দোয়া করবেন যেন তাদেরকে আমি মানুষের মতো মানুষ করতে পারি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1896201592661295578?t=Ces3NbHAl6MQf4NavEuP-g&s=19
আপনার দুই মেয়ে এমন সুন্দর ছবি এঁকে পুরস্কার জিতেছে শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনার দুই মেয়ে ধীরে ধীরে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাক এবং জীবনে আরও স্বীকৃতি পাক। আর শিশুরা এমনভাবে স্বীকৃতি লাভ করলে বাবা-মায়ের ভালো তো লাগবেই। আপনি গর্বিত মায়ের মত এখন এই মুহূর্তগুলিকে উপভোগ করুন।
দোয়া করবেন ভাইয়া যেন তাদেরকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারি,ধন্যবাদ আপনাকে।
একুশে ফেব্রুয়ারি কে কেন্দ্র করে প্রত্যেকটা বিদ্যালয়ে ছবি অঙ্কন প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন রকমের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ সমস্ত প্রতিযোগিতায় বাচ্চারা অংশগ্রহণ করে যদি প্রাইস পায় তাহলে খুবই ভালো লাগে। ভালো লাগলো একুশে ফেব্রুয়ারি সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন দেখে।
জি ভাইয়া বাচ্চারা পুরষ্কার পেলে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।
দুই মেয়ে নিজেদের চেষ্টাতে ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে ছবি আঁকায় পুরষ্কার পেয়েছে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু।বাচ্চাদের সময় দিলে, সুযোগ করে দিলে এরা আসলে পারবে।যেহেতু কাছে কোন আর্ট শেখার স্কুল নেই।ওরা ইউ টিউব দেখে শিখে নিলেও অনেক ভালো করবে।দুজনের জন্য রইলো অনেক অনেক দোয়া আর অভিনন্দন। সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি আপু তারা নিজের চেষ্টায় অনেক কিছু করতে চেষ্টা করে, দোয়া করবেন ওদের জন্য।
আসলেই বাচ্চাদের আগ্রহ থাকাটা জরুরি।আর আপনার বোন ও বাচ্চারা পুরস্কার পেয়েছে জেনে ভালো লাগলো।যেকোনো কাজে চেষ্টা থাকাটাই আসল,ধন্যবাদ আপু।শুভকামনা রইলো।
জি আপু তাদের অনেক আগ্রহ রয়েছে, ধন্যবাদ আপু।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিদ্যালয়ে ছবি আঁকা ও অন্যান্য প্রতিযোগিতার আয়োজন সত্যিই চমৎকার! এসব প্রতিযোগিতায় শিশুদের অংশগ্রহণ তাদের সৃজনশীলতা ও ইতিহাসের প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয়। যখন তারা পুরস্কৃত হয়, তখন তাদের মুখে যে আনন্দটা ফুটে ওঠে, তা সত্যিই অবর্ণনীয়। একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে এমন সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চারা যদি ভালো কিছু পায় তাহলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। তাদের ছোট ছোট সফলতায় অনেক ভালো লাগে। আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইলো আপু।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বড় মেয়ে তো দেখছি ভালোই আর্ট করতে পারে। প্রাকৃতিক দৃশ্যটা খুব সুন্দর হয়েছে। তাছাড়া আপনার ছোট মেয়েও চেষ্টা করেছে সুন্দর একটি আর্ট করার জন্য। তারা দু'জন পুরষ্কার পেয়েছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। তাদের দু'জনের জন্য শুভকামনা রইলো।