মুরগির ফার্ম পরিদর্শন করার অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
মুরগির ফার্ম পরিদর্শন করার অভিজ্ঞতা
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে কয়েক দিন আগে আমরা একটা মুরগির ফার্মে গিয়েছিলাম। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আমি একটা ট্রেনিং করছি দুই মাস ব্যাপী। তাই আমাদের মাঝে মাঝে বাইরে নিয়ে যায়।যাইহোক কয়েক দিন আগে একটা মুরগির ফার্মে গিয়েছিলাম। আসলে আমাদের যাবার উদ্দেশ্যে ছিলা আমরা যেন ইয়াং জেনারেশন শিক্ষা গ্রহণ করে বেকার থাকবে তারজন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।আসলে আমরা সবাই পড়াশোনা করে শুধু চাকরির জন্য বসে থাকে। আর প্রতি বছর যে হারে পাস করে বের হচ্ছে সবাই যদি চাকরির আশাকরি তাহলে সরকার কিভাবে চাকরি দেবে।তাই আমাদের কেউ যেন বেকার না থেকে আত্ম- কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি।সত্যি আমরা আমাদের পরিবারকে অনেক ভাবে সাহায্য করতে পারি।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা প্রায় ২৫ জন মিলে একটি মুরগির ফার্মে গিয়েছিলাম। আসলে আমরা মুরগির ফার্মে গিয়েছিলাম ফার্মের মালিক কিভাবে ছোট থেকে এই ব্যবসা আরম্ভ করে আজ সফল হয়েছে তার থেকে কিছু ধারণা নেওয়ার জন্য। আসলে আমরা সবাই শুধু প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে দেখি কিন্তু কিভাবে প্রতিষ্টিত হল সেই সম্পর্কে জানতে চাই না। আমাদের ফার্মের নাম ছিল তৈয়বা হক এগ্রো ফার্ম। আসলে ফার্মের মালিক মাত্র পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল। আজ তার মাসে ইনকাম ১৫ লক্ষ টাকা। এই ১৫ লক্ষ টাকা অর্জন করতে তার অনেক ধৈর্য ও পরিশ্রম করতে হয়েছে। যাইহোক উনার মুরগির ফার্মে প্রথমে ২০ টা বাচ্চা ছিল সেখান থেকে আজ ৯০০০ মুরগি হয়েছে। এই যে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা দেখতে পারছেন এগুলো তারা চল্লিশ দিনেই বড় করে ফেলে।
আসলে উনার কয়েকটি মুরগির ঘর রয়েছে। এক ঘরে প্রায় ৩০০০ টি সোনালী মুরগির রয়েছে।তবে আমাদের বাইরে থেকে দেখতে বলেছে কিন্তু ভিতরে যেতে নিষেধ। আসলে ভিতরে সবাইকে ঢুকতে দেয় না।তারপর আমাদের বলাতে বাইরে সব পর্দা খুলে দিল । আর সুযোগে আমি বেশ কিছু কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। সত্যি লোকটার কথা শোনে তখন মনে হচ্ছিল এমন একটি ফার্ম আমি নিজেও করব।সত্যি আমরা যত সহজে কিছু করতে চায় কিন্তু ততটা সহজে করতে পারি না।আসলে সব কিছু করতে ধৈর্যের প্রয়োজন। তবে মুরগি গুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আমি উনার থেকে মুরগি নেওয়ার জন্য উনাকে বললাম।প্রথমে উনি দিতে চায়লো না কিন্তু আমাদের বলাতে রাজি হলো।
তারপর আমরা ফার্মের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখলাম। সত্যি উনার ফার্মটা অনেক বড় জায়গা নিয়ে। ফার্মে বেশ কয়েকটি ঘর রয়েছে। তারপর সামনে অনেক বড় একটা পুকুর রয়েছে। আমাদের স্যার উনাকে জিজ্ঞেসা করাতে বললো পুকুরে অনেক মাছ চাষ করা হয়।আসলে বর্তমান এমন পুকুর কম দেখা যায়। তবে উনার পুকুর পাড়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম অনেক ভালো লেগেছিল।
তারপর আমরা কয়েক জন মিলে দুটি করে মুরগির বাচ্চা কিনলাম। সত্যি মুরগি গুলো আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।তারপর আমরা সবাই কয়েকটি মুরগির নিলাম। সত্যি ফার্মের মালিক থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এভাবে হয়তো অনেকেই ব্যবসা করতে আগ্রহ হবে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যে ব্যক্তি পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে আজ মাসে ইনকাম ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে, সেই মানুষটার কতটা পরিশ্রম এখানে লেগেছে সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। তবে আপু মুরগির ফার্ম করা যতটা সহজ মনে হয়, তার থেকে বেশি সতর্ক থাকতে হয়, মুরগির বিভিন্ন রোগ বা অসুস্থতা নিয়ে। কারণ হঠাৎ করে কোন একটা মুরগি অসুস্থ হলে পুরো ফার্মের সব মুরগি অসুস্থ হয়ে যায়। তবে আপনি মুরগি পালনের যে উদ্যোগটা নিয়েছেন ,সেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আসলে ভাইয়া সব কিছুর তো প্রশিক্ষণ আগে নিতে হয়, ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
সেটা তো ঠিক কথা, প্রশিক্ষণ তো আগেই নিতে হবে তা না হলে তো সঠিকভাবে সেই কাজ করাও সম্ভব হবে না।
জি ভাইয়া
আসলেই চাকরির আশা না করে আমাদের সবার উচিত নিজেই কিছু করা। কারণ চাকরির বাজার খুবই খারাপ। চাকরির পিছনে ছুটে শুধুমাত্র সময় নষ্ট হয়। যাইহোক যেকোনো ব্যবসা ছোট থেকেই শুরু করতে হয়। ধীরে ধীরে উন্নতি করতে পারলে ব্যবসা অনেক বড় করা যায়। যাইহোক মুরগির ফার্মটি আসলেই বেশ বড়। এই মুরগির ফার্মের মালিকের জন্য শুভকামনা রইল। তাছাড়া আপনারা ট্রেনিং শেষ করে ভালো কিছু করবেন, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আশা আছে কিছু করার জন্য, দোয়া করবেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।