"ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে কাটানো কিছু মুহূর্ত"
নমস্কার
ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে কাটানো কিছু মুহূর্ত:
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবো।আশা করি অনুভূতিটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।যাইহোক তো চলুন শুরু করা যাক----
দিনটি ছিল 30-ই জুলাই।কলেজে আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে এই দিনে ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।তবে এর পিছনে লম্বা একটি গল্প রয়েছে।গল্পটি হচ্ছে---
অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এর মেয়েরা সুন্দরভাবে ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান সমাপ্ত করলেও মুশকিল বাঁধে আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর।আসলে যখন প্রথম আমরা কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম তখন আমাদের স্বাগত জানানো হয়নি।তখন সবকিছুই অনলাইনে হচ্ছিলো সেইজন্য।যাইহোক এখন আমাদের দিন ঠিক করা হয় ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান হবে 29-ই জুলাই।কিন্তু পরে বলা হয় এই অনুষ্ঠানটি হবে না কারন কেউ টাকা দিতে রাজি হচ্ছে না।বিশেষ করে ফার্স্ট ইয়ারে হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট এর মেয়েরা কোনো টাকা দেয়নি।কিন্তু সেকেন্ড ইয়ারে হাতে গনা গুটিকয়েক বোনেরা টাকা দিয়েছে 100 করে।তারা ভেবে পাচ্ছিলো না কিভাবে হবে অনুষ্ঠানটি।আর আমরা চাইছিলাম এই অনুষ্ঠানটি হোক তাই আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে কিছু মেয়েরা বলে যে প্রয়োজন হলে আমরা নিজে থেকেই টাকা দিয়ে আমরা আমাদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান করবো।
এইভাবে সেকেন্ড ইয়ারের বোনেরা ফেয়ারওয়েল করতে রাজি হয়।বোনদের উৎসাহ দিয়ে আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকেও কিছু টাকা তোলা হয় কিনা আমি ঠিক জানিনা কিন্তু এমনটা বলা হয়েছিল।যাইহোক এরপর তাঁরা ঘোষণা করে 29 তারিখের পরিবর্তে 30 তারিখ করা হবে।30 তারিখে আবার আমার কলেজ থেকে 5 সেমের মার্কশিট নেওয়ার কথা ছিল।তাই আমার ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হয়েছিল বলা যায়।কারন একদিনে দুই কাজ সারা যাবে।
এরপর 30 তারিখ কলেজ গিয়ে প্রথমে আমি মার্কশিট সংগ্রহ করে নিলাম লাইন টেনে।তারপর জানলাম একটি করে naac এর ফর্ম দেওয়া হচ্ছে সবাইকে।যদিও আমি এটা পূরণ করিনি তবে অনেকেই করেছিলো।যাইহোক এরপর শুরু হলো প্রায় দুপুর 12 টার দিকে ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান।বোনেরা ব্লাকবোর্ডে কিছু একটা লিখেছিল এই সম্পর্কে ও অনেক বেলুন দিয়ে সাজিয়েছিলো।
প্রথমে বোনেরা একটি করে গোলাপ ফুল ও একটি করে পেন দিয়ে আমাদের বরণ করে নিয়েছিলো।এরপর আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর স্যার ও ম্যামেরা তাদের স্নেহের বক্তব্য দেন।তারপর নৃত্য,কবিতা,গান ইত্যাদি হয়ে থাকে।খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায় তারপর শুরু হয়।ছবি তোলার পালা।গ্রপ ফটো থেকে শুরু করে সবাই সবার সঙ্গে ফটো তুলেছিলো।এভাবেই কিছু সময় কেটে যায় আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই।তো এটাই ছিল আমার ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে কাটানো মুহূর্তগুলি।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার সুন্দর এই পোস্ট পড়ে। বেশ দারুণ লিখেছেন আপনি। তবে প্রথমে ফটোটায় আমি আপনাকে খুজছিলাম। আপনাকে যেন খুঁজেই পেলাম না সেখানে। তবে ভেতরের বেশ কিছু সেলফিতে লক্ষ্য করলাম। বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে।
ভিতরে খুঁজে পেয়ে গেলেন তো আপু,ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে। এ ধরনের অনুষ্ঠানগুলো আসলেই ভালো লাগে। সবাইকে ছবিগুলোতে দেখে বেশ ভালো লাগলো। এই ছবিগুলো একসময় স্মৃতি হয়ে থাকবে। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
আসলেই এটা স্মৃতি হয়ে থাকবে আপু,কিন্তু এই অনুষ্ঠানটি আমাদের জন্য একটু বেদনার ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমার তো স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। এই স্মৃতি গুলো কখনো ভোলা যায় না। চমৎকার ভাবে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
ভাইয়া, এটা আমার কলেজ জীবন।আপনার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনাকে দেখতে কিন্তু খুবই সুন্দর লাগছে। অনেক মিষ্টি লাগছে দেখতে। খুব সুন্দর প্রোগ্রামগুলো সব সময় আমাদের মনে স্মরণীয় হয়ে থাকে। আপু আপনার এই পোস্ট দেখে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপনি।
অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনার প্রশংসাভরা মতামতের জন্য।💝