বাণিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরি পর্ব ২
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবারো হাজির হয়ে গেলাম বাণিজ্যমেলার আরো কিছু স্টলের ছবি নিয়ে। এর আগের দিন আপনাদেরকে বলেছিলাম যে মেলায় বেশ কয়েকটি প্যাভিলিয়ন এসি করা ছিল। আজকে সেই এসি প্যাভিলিয়ন এর দোকানগুলোর ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আমরা বাইরের দোকানগুলোতে ঘুরাঘুরির পর যখন অনেক গরম লাগছিল তখন ভাবলাম যে এসি প্যাভিলিয়নে ঢুকি। তাহলে কিছুটা আরাম পাওয়া যাবে। কিন্তু কিসের আরাম ভিতরে মনে হচ্ছে যে দাঁড়ানোর জায়গা নেই এত ভীড়। এক একটি দোকানে অনেক মানুষ দাঁড়িয়েছিল। কোন জিনিস ভালোমতো দেখাই যাচ্ছিল না। সব জায়গাতেই ভিড় ছিল এখানে এসির জন্য হয়তো ভিড় টা একটু বেশি ছিল। কারণ ঐদিন অনেক গরম পরেছিল। আমাদের মত সবাই বোধহয় গরমে অস্থির হয়ে এই এসি প্যাভিলিয়নগুলোতে ঢুকেছিল।
এই গেট দিয়ে আমরা এসি প্যাভিলিয়নে ঢুকেছিলাম। নিচে বেশ কিছু সারভিং বোল দেখতে পাচ্ছেন। এই পুরো মেলার ভিতর এই সারভিং বোলগুলো আমার কাছে একটু ইউনিক লেগেছে। তাছাড়া আর সবই নিউমার্কেটে এলাকার জিনিসপত্র মনে হয়েছে। সারভিং বোলগুলো দেখতে বেশ সুন্দর ছিল। ভিতরে পাঁচটা জায়গা ছিল। আপনি চাইলে পাঁচ রকমের ভর্তা সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারবেন। আমরা এই সার্ভিসিং বোল একটি কিনলাম। এর দাম ১১০০ টাকা নিলো। দামটা একটু বেশি মনে হয়েছে কিন্তু ইউনিক জন্যই কিনেছি।
উপরের দোকানটিতে বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের চুলা পাওয়া যাচ্ছিল। ছোট বড় অনেক চুলাই ছিল। আর নিচের দোকানটিতে বিভিন্ন ধরনের হাত ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছিল। হাতব্যাগগুলো মোটামুটি মানের ছিল। খুব একটা ভালো লাগেনি আমার কাছে।
দোকানগুলোর বাইরে যেমন ভিড় ভেতরেও একই অবস্থা। ছবিতে নিশ্চয়ই দেখতে পারছেন যে কি পরিমাণ ভিড় ছিল।
এই দোকানটিতে ছোট ছোট কাচের শোপিস ছিল। শোপিসগুলো ছোট ছোট হলেও বেশ কিউট ছিল। কিন্তু এগুলো অনেক পুরনো মডেলের মনে হয়েছে আমার কাছে। অনেক ছোটবেলায় এগুলো কিনেছি মেলা থেকে।
এখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বড় বড় ফার্নিচারের শোরুম ছিল । ফার্নিচারের দোকান গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। বিশেষ করে এত সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে যে দেখতে ইচ্ছা করে। এবার মেলায় এক কোটি টাকা দামের একটি পরীখাট উঠেছিল। আমি অনলাইনে দেখেছিলাম । কিন্তু খাটটি আমার কাছে খুবই পচা লেগেছে জন্য আর উৎসাহ নিয়ে দেখতে যাইনি।
উপরের দোকানের জিনিস গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। কিন্তু আসলে এই জিনিসগুলো কি আমি বুঝতে পারিনি। কিন্তু শোপিস হিসেবে সাজিয়ে রাখলে খুব সুন্দর লাগবে দেখতে। এই জিনিসগুলো একটু আনকমন লেগেছে আমার কাছে।
এটিও একটি ফার্নিচার দোকান। আবার বিভিন্ন ধরনের ফুল ও পাওয়া যাচ্ছিল এই দোকানে। ফুল গুলো খুব সুন্দর ছিল।
নিচের দোকানটি পাইলট কলমের দোকান। এখানে বিভিন্ন রকমের কলম পাওয়া যাচ্ছিল। এই দোকানের ছবি তুলতে গিয়ে তো এক ছেলের সঙ্গে ধাক্কা খেতে গিয়েছিলাম। ছেলে খুবই বিরক্ত হয়েছিলো আমার উপর।
এই হ্যাপি ডে দোকানে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছিল। এই দোকানটি দিয়েই আজকে শেষ করছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
Location | Link |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

এবারের বানিজ্য মেলায় আমার যাওয়ার কথা ছিলো।ভেবেছিলাম শেষের দিকে যাব কিন্তু অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারনে আর যেতে পারিনি।তারপর সুস্থ হতে হতে মেলা শেষ।আহা শেষ অব্দি সিনেমার মত ধাক্কা খেয়ে গেলেন😜😜।যাই হোক বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন মেলাতে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে
না আপু ধাক্কা খাইনি। ধাক্কা না খাওয়াতে ছেলে যে বিরক্ত হয়েছে ধাক্কা খেলে হয়তো মাইরই দিত। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো দেখছি বাণিজ্য মেলায় গিয়ে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আমার কাছে দেখে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। পাইলট কলমের দোকানের ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে একটা ছেলের সাথে ধাক্কা খেতে লেগেছিলেন। ভাগ্যিস ধাক্কাটা খান নি। এমনিতেও ছেলেটি অনেক বিরক্ত হয়েছে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন দেখে একটু বেশি ভালো লেগেছে।
একটুর জন্য ধাক্কা খাইনি ভাইয়া। বাণিজ্য মেলায় ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আমিও গিয়েছিলাম বানিজ্য মেলায়। আমার কাছে গোছানো মনে হয়েছে অন্য বারের তুলনায়। আউটডোরের দোকানগুলোও অনেকটাই গোছানো ছিল। ইন্ডোরে ঢুকে অবশ্য আমার কাছে একটু ক্রাঊডেড মনে হয়েছে। আপনার শেয়ার করা ছবিগুলো দেখে ভাল লাগল। ছবি তুলতে গেলে অনেকেই তাকিয়ে থাকে দেখে আমি বেশি ছবি তুলতে পারিনি। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ইনডোরের দোকানগুলোতে মানুষের জন্য দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। তাছাড়া ছবি তুলতে গেলে লোকজন তাকিয়ে থাকে একটু বিরক্ত লাগে বটে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এ বছর আর বাণিজ্যমেলায় যাওয়া হলো না। তবে আপনার পোস্টের ছবিগুলোর মাধ্যমে মনে হচ্ছে সেখানেই আছি। কারণ সবগুলো ছবিই স্পষ্ট আর সুন্দর লাগছে। আপনাদের মত বাকিরাও হয়তো বা গরমের কারণে এসি প্যাভিলিয়নে চলে গিয়েছিল। কারণ কিছুটা স্বস্তি সবারই প্রয়োজন। যাইহোক সবগুলোই আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে পরী খাট টা কই দেখতে পেলাম না তো, আমাদেরকে দেখানোর জন্য হলেও এক পিস ছবি তুলে নিতেন।
না গিয়ে ভালো করেছেন ভাইয়া তেমন ইউনিক কিছু দেখতে পেলাম না। সবই চিরাচরিত জিনিস।
বাণিজ্য মেলায় এরকম বড় বড় শোরুম এর পাশাপাশি অনেক হাতের কাজের জিনিসপত্র গুলো পাওয়া যায়। যা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যাই হোক আপু আমার কাছে কিন্তু সার্ভিং বোলগুলো খুবই ভালো লেগেছে এবং বেশ ইউনিক লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার মেলায় ঘুরাঘুরির মূহুর্ত পর্বাকারে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু হাতের কাজের অনেক দোকান ছিল। বেশ সুন্দর সুন্দর জিনিস ছিল। কিন্তু দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি লেগেছিল আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।