পরিবারের সাথে কাটানো একটি দিন ও তার ফটোগ্রাফি। (১০%shy-fox)
হ্যালো,
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সকলে ভালো আছেন। আজ অনেক দিন পর বাসায় এলাম। এসে দেখি আমার ছটো চাচু তার পরিবার নিয়ে আমাদের বাসায় এসেছেন। অনেক পর এসেছিলেন তারা। আমিও দূরেই থাকি। বাসায় খুব কম আসি। এমনিতেই পড়াশুনা নিয়েই ব্যাস্ত থাকি। তাই খুব আসা হয় বাড়িতে। আর আমার হোম সিকনেস খুব কম কাজ করে। আমি যেখানেই থাকি না কেন খুব সহজে নিজেকে ওই পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ। ভার্সিটিতে নবীন বরন অনুষ্ঠান হবে তাই শাড়ি লাগবে এই সব নিতেই এসেছিলাম বাসায়। বাসায় এসেই দেখি উনারা আমাদের বাসায় এসেছেন। সকলের সাথে কথা বলে দুপুরে গোসল করে খেয়ে নিলাম। এরপর হঠাৎ করেই চাচি বললেন একটু ঘুরতে যাবে। তাই আমাকে রেডি হতে। আমি যাব না, বলার আগেই দেখি আম্মু রেডি। 😒 একরকম বাধ্য হয়েই গেলাম। যেখানে আম্মু রেডি, সেখানে আমি না বলা টা ভালো দেখায় না। যাইহোক গেলাম সবার সাথে।
আজকে আপনাদের সাথে তারই কিছু মুহুর্ত এবং ছবি শেয়ার করব। আশা করছি ভালো লাগবে।
🏡 জমিদার বাড়ি নড়াইল।
আমরা যে স্থানে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটি হল নড়াইলের পুরাতন জমিদার বাড়ি।নড়াইলের ঐতিহ্যবাহী একটি স্থাপনা।
স্বত্বাধিকারী ছিলেন কালী শঙ্কর রায়। বর্তমানে এটি প্রায় বিলীন। এই স্থাপনাটি একদমই নড়াইলের চিত্রা নদীর তিরে অবস্থিত। কিন্তু বর্তমানে জমিদারের শুধু একটি মন্দির এবং একটি পুকুর ছাড়া বাড়িটির কোন অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। চলুন দেখে নি সেই মন্দির এবং পুকুরটি।
এটি হচ্ছে জমিদার বাড়ির মন্দির। এর ভেতর এখনো পুজা দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের দিকে এটিকে সংষ্কার করা হয়।
জমিদার বাড়ির পুকুর। আকারে ছোট হয়ে এসেছে৷ একটি ঘাট করা আছে৷ যেখানে এখনো অনেকে জামা কাপড় কাচা এবং গোসল এর কাজে ইউজ করে।
এটি হলো জমিদারের আম বাগান। বাগানটি খুবই গভীর। মানুষ জন এই বাগানে খুব কম যায়। তবে আমি একবার এর ভেতর গিয়েছিলাম। বিশাল বিশাল আম গাছ আছে এর ভেতর। এছাড়াও অন্য গাছ ও রয়েছে।
বিশাল বিশাল গাছ দিয়ে ভরানো জাইগাটি। পুকুরের পাশ দিয়ে লাগানো আছে অনেক রকম গাছ।
এই হচ্ছে সেই চিত্রা নদী। আপনারা অনেকেই হয়তো
"চিত্রা নদীর পাড়ে "
মুভিটা দেখেছেন।
এই নদিকে ঘিরেই করা হয়েছিল মুভিটা।
জমিদার বাড়ির পাশেই করা হয়েছে একটি পার্ক। নাম
"ইকো পার্ক"।
এটিও চিত্রা নদীর পাড়েই গড়ে উঠেছে।
ফাকা থাকা নাগর দোলার ভেতর বসে ছবি।
এই ছিল আমার আজকের ঘুরাঘুরির কিছু দৃশ্য। যদিও প্রথমে যেতে চাই নি তারপরও গেলাম। এবং খুবই এনজয় করলাম দিনটি।
আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
ডিভাইস | Samsung A30s |
---|---|
লোকেশন | নড়াইল,জমিদার বাড়ি, নড়াইল |
ফটোগ্রাফার | @farhanatonni |
ঘুরতে ভালো ভালোবাসে না এরকম মানুষ আছে নাকি, আর যেখানে আপনার আম্মু যাচ্ছে সেখানে আপনার যাওয়াটা তো একেবারেই নিরাপদ। কারণ পৃথিবীতে মাতৃকুলের চাইতে নিরাপদ জায়গা আর কোন কিছুই নেই। যাই হোক অবশেষে গেলেন এবং অসাধারণ ফটোগ্রাফি আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। সেই সাথে জমিদারবাড়ির বিস্তারিত জানালেন, নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে অবস্থিত জমিদারবাড়ির স্থাপনা সম্পর্কে। সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল, আপনার আনন্দঘন মুহুর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। অসাধারণ একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আপনার পরিবারের প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। পরিবারের সাথে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে আপনি আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
পরিবারের সাথে কাটানো চমৎকার একটি দিন আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ব্যাপারটি খুবই ভালো লাগলো, আপনার এই দিনের একটি অংশ হতে পেরে আমরা খুশি হলাম । আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
পরিবারের সাথে কাটানো খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। পরিবারের সাথে কোন জায়গায় ঘুরতে যেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদেরকে দেখিয়েছেন জায়গাগুলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর কিছু মুহূর্তর দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আপনার পরিবারের সাথে কাটানো অনুভূতি জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো ভাই। খুব সুন্দর করে সব কিছুর বর্ননা করেছেন। তাই বেশি ভালো লেগেছে। সাথে কিছু সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়েছেন এতে পড়তে অনেক মজা লেগেছে। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য ভাই। এভাবেই এগিয়ে যান।