হাতি যখন জীবিকা অর্জনের হাতিয়ার
আপনারা এ বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন আমি জানিনা। তবে আমার দৃষ্টিতে এটা একটু আলাদা। কারণ যে মানুষটা হাতিকে লালন-পালন করছে, তার বিষয়টা নিয়ে আমি একটু চিন্তিত আছি । আমার কথা হচ্ছে তুমি যাকে লালন-পালন করতে পারবে না, তাকে নিয়ে তুমি কেন এই পথে নেমেছে । পৃথিবীতে প্রত্যেকটা সৃষ্টির একটা নিয়ম কানুন আছে । প্রত্যেকটা জীব একটা নির্দিষ্ট গতিপথের মধ্যেই চলমান । এবং যে জীবগুলো বন-জঙ্গলে বেশি সুরক্ষিত তাদেরকে বন-জঙ্গলে বেশি রাখতে হয় । তাকে তুমি কেন লোকালয়ে নিয়ে এসেছ এবং তাকে তুমি ব্যবহার করে, কেন জীবিকা অর্জনের হাতিয়ার বানিয়েছো। এই প্রশ্নটা কিন্তু আমার মাথায় মাঝে মাঝে ঘুরপাক খায় ।
গাছের ফুল যেমন গাছে শোভা পায়,তেমন বনের জীব জন্তু বনে বেশি শোভা পায়। তাদেরকে এই ভাবে ব্যবহার করে লোকালয়ে চাঁদাবাজি করার কোন মানেই হয়না। আমি জানিনা এই নিরীহ পশুটাকে এই চাঁদাবাজির ঘটনাকে রপ্ত করতে কতটা পরিমাণ শারীরিক যন্ত্রণা দেয়া হয়েছে । এমন ঘটনা আজ সকালবেলা আমার সঙ্গে ঘটেছে কর্মস্থলে আসার সময়। যাইহোক আমি কিছুটা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছি। যে লোকটা হাতির উপরে বসে ছিল তার সঙ্গে কথা বলার জন্য । কিন্তু সে আমার ভালোভাবে কথার উত্তর দেয়নি বরং আমাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে ।
তোমার জীবের উপর দয়া নেই, তোমার জীবের উপর মায়া নেই, তুমিই জীবকে ব্যবহার করছো অন্যায় কাজে এবং জীবকে ব্যবহার করে, তুমি তোমার নিজের জীবিকা অর্জনের মাধ্যম তৈরি করেছো, এটাকে আমি কখনোই সহমত দেবো না । যে জায়গাতে এই জীবটা বেশি মানানসই তাকে সেখানে ছেড়ে দাও,তাকে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে দাও । কারণ প্রকৃতিকে তুমি কখনোই নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসতে পারবে না এবং যখন তুমি প্রকৃতিকে নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসতে চাইবে, তখনই একটা গন্ডগোল পাকিয়ে ফেলবে । তুমি এই পেশা ছেড়ে,অন্য কাজে লাগিয়ে যাও । তবুও এই নিরীহ জীব গুলোকে কষ্ট দিও না ।





প্রবাদে আছে"বন্যেরা বনে সুন্দর আর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে"।
পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আগে বলে নেই সড়কটি বেশ সুন্দর দুই পাশে সবুজ প্রকৃতির গাছ বেশ সুন্দর লাগছে।
হ্যা ছোট বেলায় এই দৃশ্যগুলো খুব উপভোগ করতাম কিন্তু এখন না, কারন এটা সত্যি বড়ই বেমানান। বনের শিশুরা বনেই সুন্দর লোকালয়ে না। আর এই ভাবে টাকা তোলা মানে জোর করে কিছু আদায় করার নামান্তর।
একদম সত্যি কথা বলছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও এরকম ঘটনা বেশ কয়েকবার দেখেছি। এটি খুবই একটি নিচু একটি কাজ। বন্যরা সবসময় বনেই সুন্দর। প্রতিবাদ করার জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুবই বাজে একটা পরিস্থিতি তৈরি করে এই হাতির মালিকেরা। অনেকটা চাঁদাবাজের মতো ব্যবহার করে এগুলি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। দাদা আপনি সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট করেছেন। পোস্টটা অনেকটা জনসচেতনতা মূলক।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
চারিপাশের পরিবেশ টা খুবই সুন্দর এবং সবুজের মেলা ।একটি খুব প্রাসঙ্গিক বিষয় তুলে ধরেছেন আপনি ।কিছ লোক নিজেদের স্বার্থ চরিথার্থ করার জন্য অবলা পশুদের উপর অত্যাচার করছে ।ইটা সত্যি পীড়াদায়ক ।এত সুন্দর একটি বাস্তব বিষয়কে তুলে ধারার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আমি কৃতজ্ঞ 🙏❤😊
আমাদের বাড়ির পাশে এইরকম নিরিবিলি একটি রাস্তা আছে আর দুই পাশে প্রকৃতির ছোঁয়া। এইসব রাস্তা দিয়ে পড়ন্ত বিকেলে হাঁটলে মনে হয় আয়ু দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে। আর যার যেখানে স্থান তাঁকে সেখানেই বেশি শোভা পায়।ধন্যবাদ দাদা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুব ভালো একটা পোস্ট করেছেন
আমাদের নীলফামারী শহরে এরকম অনেক লোক আছে যারা রাস্তায় হাতি বের করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। বিভিন্ন দোকান থেকে তারা টাকা সংগ্রহ করে হাতির জন্য খাবার সংগ্রহ করে এবং নিজেরাও চলে। যখন রাস্তা দিয়ে চলে হাতির গায়ে বারবার আঘাত করা হয় এবং হাতির চোখ থেকে পানি পড়ে এবং তাদের শরীর থেকে হালকা রক্ত বের হাওয়া
হা্ওয়া অবস্থা বুঝা যায়। এটি খুবই মর্মাহত। খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন।
এগুলো অনেক বছর দেখি না, গ্রামের দিকে এখনও আছে তাহলে।
এরা হাতিগুলিকে ঠিকমত খাবার দেয় না, যত্নও নেয় না। সরকার এদের হাতিপালার লাইসেন্স ঠিকমত চেক করলেই এই ঝামেলা থেকে না।