অনেকদিন পর আজকে সকাল থেকেই আবহাওয়া খুব ভালো একেবারেই মনের মত। রোদের তীব্রতা অনেক কম ভালো লাগার কারণ সকাল থেকেই খুব ভালো বাতাস বইছে। কয়েকদিন থেকেই মানসিক দিক দিয়ে খুব বিক্ষিপ্ত অবস্থায় আছে। কর্মজীবনে কিছুটা জটিলতা চলছে। দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে জব থাকা অবস্থায় ঠিকমতো চলতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে জব ধরে রাখা খুব জরুরী। সেই সমস্যা গুলো সমাধান করতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।
যাইহোক কর্মজীবনের জটিলতা গুলো পিছনে ফেলে বিক্ষিপ্ত মনকে কিছুটা প্রশান্তি দেয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা। তাছাড়া বিকাল থেকে মেয়ে বায়না ধরেছে বাইরে ঘুরতে যাবে। আমারও যেহেতু মনটা ভালো নেই তাই মনে হল বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসলে ভালো লাগবে। কিন্তু পেট্রোলের মূল্য যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সেকারণে বেশি দূরে যাই নাই কিন্তু হা হা হা। আমার শহরে সময় কাটানোর জন্য ভালো একটি রেস্টুরেন্ট আছে। একেবারে নিরিবিলি খাবারের মান খুব একটা খারাপ না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম বাচ্চাদের নিয়ে সেখান থেকেই ঘুরে আসি।
যেই ভাবা সেই কাজ মাগরিবের নামাজ আদায় করে তৎক্ষণাৎ পৌঁছে গেলাম ইষ্টি কুটুম এর সামনে। অনেকদিন থেকে এই দিকে আসা হয় না। আজকে এসে দেখলাম ভেতরে সবকিছু ভাঙ্গাচুরা। শুধুমাত্র ভিতরে ইস্টি কুটুমের বিল্ডিং টাই দাঁড়িয়ে আছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম এখানকার মালিক মার্কেটের সংস্কার করার জন্য বহুতল-বিশিষ্ট ভবনের ফাউন্ডেশন দিবেন।
ঠিক এই কারণে এখানে আসতে আমার ভালো লাগে নিরিবিলি অনেকটা সময় ধরে গল্প করা যায়। মাগরিবের নামাজ পড়ে সঙ্গে সঙ্গে এসেছিলাম বলে একদম ফাঁকা ছিল। আমরা সেখানে বসে থাকতেই আস্তে আস্তে কিছু লোক চলে আসলো। এখানকার খাবারের মান মোটামুটি ভালো। মেনু দেখে অর্ডার দেয়ার পর বেশ কিছু সময় নিয়ে টেবিলে পরিবেশন করা হলো।
আমার মেয়ে বায়না ধরেছিল ফালুদা এবং চিকেন চপ খাবে। যদিও সে অনেক কিছুই খেতে চায় কিন্তু খাবার সময় সবগুলোই একটু একটু করে খায়। তাই ওর চাহিদার মত ফালুদা এবং চিকেন চাপ অর্ডার করলাম। অর্ডার করার পর ২০-২৫ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর সার্ভ করা হলো। সন্ধ্যাবেলা আমি বেশি কিছু খাইনা এখানে এসেছিলাম শুধু সময় গুলো উপভোগ করার জন্য।
টেবিলে খাবার আসার পর একটি হাস্যকর ঘটনা ঘটে গিয়েছে। খাবার দেবার সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্বাভাবিকভাবে খাওয়া শুরু করেছিল। আমি একটু উচ্চস্বরে এই থাম বলায় সবাই চমকে গিয়েছিল। ওরা ভেবেছিল খাবারের কোন সমস্যা হয়েছে। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করে বললাম খাবার ঠিক আছে আমি কয়েকটা পিক তুলতে ভুলে গিয়েছি। তাই সবাইকে থামিয়ে দিয়ে অর্ধেক খাবার থাকা অবস্থায় ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম।
ঝটপট খাবার শেষ হয়ে গেল। খাবার শেষ করে টিস্যু ব্যবহার করতে করতেই বিল চলে আসলো। আমার দেড় বছরের ছেলে এই প্রথমবার কোন রেস্টুরেন্টে বসে খেতে পারল। এর আগেও বহুবার রেস্টুরেন্ট এসেছিল কিন্তু খাওয়া শেখেনি। একটা কথা খুব ভালোভাবে শিখেছে কোন কিছু ওর ভালো লাগলে শুধু বলে "কি মজা" । আজকে বারবার ফালুদা এবং চিকেন চাপ খাচ্ছিল আর ওই কথাটাই বলছিল। আমার কি যে ভালো লেগেছে সেই মুহূর্তটা লিখে প্রকাশ করতে পারবো না।
আবারো জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব। আমি এখানে খাবারের মেনু লিস্ট ও বিলের কাগজের ফটোগ্রাফি দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্থক্যটা বুঝানো। এই কয়েকদিনের মধ্যেই মেনুর মূল্যের সঙ্গে বর্তমান মূল্যের বিস্তার ফারাক। এখানকার কফি খেতে আমার খুব ভালো লাগে না। বাইরে একটা কফি শপ আছে সেটা অসাধারণ। সেখানে গিয়ে আমরা কফি খেলাম। আর আমার মেয়ের জন্য ছোট্ট একটি কোল্ড ড্রিংক। আশ্চর্যের ব্যাপার সেখানেও মূল্যবৃদ্ধি। এখন ভাবনার বিষয় সামনে আরো কি হবে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে টিকতে পারবো তো ?
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।


পরিবারের সাথে বাইরে যেতে আসলে ভালই লাগে। আর আপনি ঠিক বলেছেন ভাই আসলে এখন বাহিরে অনেক বাতাস হচ্ছে যে কারণে আবহাওয়াটা খুবই ভালো লাগছে। আর ফালুদা আসলে আমার খুবই পছন্দের অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
গরম বেশি থাকলে ফালুদা খেতে অনেক বেশি মজা পাওয়া যায়।
যেকোনো কাজ পরিবারের সকলের সাথে করতে অনেক ভালো লাগে।সেটা হোক খাইতে অথবা ঘুরতে। আপনি আপনার পরিবারের সাথে খুব আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন খুব ভালো লাগলো দেখে ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শত ব্যস্ততার মাঝেও পরিবারের জন্য কিছুটা সময় বের করতে হয়।
তেলের দাম হঠাৎ এভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রায় সবারই সমস্যা হচ্ছে সংসার চালাতে। বিশেষকরে মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকের। তারপরও পরিবারের কিছু আবদার রাখতে হয়। ইষ্টি কুটুমে পরিবারের সদস্যের নিয়ে কিছুটা সময় হলেও খুব আনন্দের সাথে কেটেছে।এই ক্ষুদ্র আনন্দময় সময়টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কিন্তু সব দিক সামলাতে আসলেই অনেক বেগ পেতে হবে।
বাচ্চা রা এমনি খাবে খাবে করে অল্প করে খায়😁 খুব ভালো একটা দিন কাটিয়েছেন,আপনার ও আপনার পরিবার এর সকল এর সুস্থতা কামনা করছি সব সময় এমন হাসি খুশি থাকুন
আসলে বাচ্চাদের চোখে অনেক ক্ষুধা কিন্তু খেতে গেলে অল্প অল্প করেই খায়।