বন্ধু যখন মুখোশধারী প্রাণঘাতক||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।আর সেরা জীব হয়েও যেন আমাদের মন মানসিকতা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে দিনদিন।কয়েকদিন যাবৎ একটি খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে।আর আপনারাও হয়তো ইতিমধ্যে খবরটি শুনেছেন।আমিও শুনেছিলাম তবে খুব একটা খেয়াল করিনি এই কদিনে।অতোটা আগ্রহ নিয়ে খবরটি পড়া হয়নি আরকি। আমার আবার সব বিষয় বুঝতে একটু সময় লেগে যায় ।কোনো কিছু খেয়াল করিনা সময়মতো এজন্য।গতকাল রাতে হঠাৎ ফেসবুকে পোস্টটি দেখতে পেয়ে আগ্রহ নিয়ে ঘটনাটি জানলাম।তাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করা।
চট্টগ্রামে রাউজানে ঘটে যাওয়া সেই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে এলাম ।ঘটনা টি এরকম ছিল,কয়েকজন বন্ধুরা মিলে একজন বন্ধুকে হত্যা করে টুকরো করে তার খন্ড বিখণ্ড লাশ পাহাড়ের চারিদিকে ফেলে দেয়।অনেকে বলেছে ছেলেটির মাংস খেয়েছে তারা বন্ধুরা মিলে।তবে এটা সঠিক কিনা জানা নেই আমার। প্রশ্ন উঠেছে এই বিষয়ে আরকি।প্রথমে ছেলেটিকে অপহরণ করেছে তারপর মুক্তিপণ চেয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা।অতঃপর দুই লক্ষ টাকা দিয়ে মিটমাট হয়।তবে টাকা হাতে পাওয়ার পরেও ছেলেটিকে জীবিত ফেরত দেয়নি তারা।এমনকি লাশ ও না।যখন ছেলেটির বাড়ির লোক টাকা দিয়েও তাকে ফেরত পাননি।তখন থানায় মামলা করলে ছেলেটির খন্ড বিখণ্ড লাশ খুঁজে পান পুলিশ।
পৃথিবীর সবগুলো সুন্দর সম্পর্কের মধ্যে একটি সম্পর্ক হচ্ছে বন্ধুত্ব।এই সম্পর্ক শুধু হয় আত্মা দিয়ে।অনেক রক্তের সম্পর্ক হার মেনে যায় এই আত্মার সম্পর্কের কাছে। এতদিন এটাই শুনেছি।তবে আমি বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুব ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিই।আর এজন্য বর্তমান আমি এই সম্পর্ক থেকে দূরে।কারণ কথায় আছে বয়স বাড়তে থাকলে বন্ধু সংখ্যা কমতে থাকে।আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়।আর এখন নিজের ভালো - মন্দ, স্বার্থ বুঝতে শিখে গিয়েছি এজন্য মনে হয় এই সার্কেল থেকে দূরে থাকতে পারলেই ভালো।উক্ত মর্মান্তিক ঘটনার পর মনে হচ্ছে আমিই ঠিক আছি।জীবনে বন্ধু ছাড়াও চলা সম্ভব।বন্ধু যদি মৃত্যুর কারণ হয় তাহলে তেমন বন্ধুর কি দরকার।
আজকে যে ছেলেটি এই বন্ধুদের দ্বারা খুন হলো।তার যদি কোনো বন্ধু না থাকতো।তাহলে তার হয়তো এভাবে অকালে মরে যেতে হতো না।যদিও জন্ম মৃত্যু সবই সৃষ্টিকর্তার হাতে।কে কতোদিন বাঁচবে তার হায়াৎ অনেক আগেই নির্ধারিত থাকে।তাই আমরা জন্ম মৃত্যুর নিশ্চয়তা দিতে পারিনা।শুধু সাবধানতা অবলম্বন করে নিজের পথে অগ্রসর হতে পারি এটুকুই। এরকম হত্যাকাণ্ডগুলো আসলেই মেনে নেওয়া যায়না।ছেলেটি কারো না কারো ভাই, আবার কারো সন্তান ছিল।এই পরিস্থিতি তারা কিভাবে সামাল দিবেন এটাই আসলে ভাবতে গেলে কষ্ট হচ্ছে।তাদের পরিবারের সদস্য যেখানে গেছে সেখান থেকে ফিরে আসার কোনো রাস্তা নেই। শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে একজন বন্ধু।সেখানে বন্ধুই যদি হয় প্রাণঘাতক।তাহলে মানুষ যে আর কারো উপর আস্থা রাখতে পারবেনা আগামীতে।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

আসলে তারা একটি খামারে একত্রে কাজ করতো টাকা পয়শার লেনদেন নিয়ে একটা ঝামেলা হয়ে যায় ফলে বাকিরা মিলে তাকে মেরে দেয়।ঘটনা টা অনেক মর্মান্তিক এমন ভাবে আর কেউ যেনো না মারা যায় প্রশাসন কে এর সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।
হ্যা জানেন দেখছি তাহলে।পুলিশ আটক করার সময় মূল খুনিকে গ্রামের লোকেরা গণপিটুনি দিয়েছিল।একপর্যায়ে মার গেছে সেও।পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঘটনাটা আমি আজকে শুনলাম এবং ভীষণ খারাপ লাগলো। বন্ধুকে মেরে আবার তার মাংস খাওয়া, নাউজুবিল্লাহ। আল্লাহ পাক এদের উপর গজব নাজিল করুন।
আমাদের বন্ধু নির্বাচনে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নাহলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।