একজন প্রবাসীর মায়ের গল্প ও আমাদের বিড়ম্বনা। ১০%লাজুক শেয়ালের জন্য।
আসসালামু অলাইকুম/আদাপ,
কেমন আছেন বন্ধুরা,আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। প্রস্তুতি ছাড়া দাওয়াত খাওয়া নিশ্চয় বিড়ম্বনার।এমন একটি বিরম্বনার কথা থাকছে আজকের লেখায়।আশা করছি, সবার ভালো লাগবে।
সকাল সাড়ে এগারোটা।চলছে অফিসে কাজের ব্যস্ততা।মারুফ ভাইয়ের ফোন।আচমকা বলে উঠলো বের হোন, আধাঘন্টার জন্য।যেই কথা সেই কাজ।
শহরের মধ্যে হওয়ায় রিক্সায় যেতে হলো।রাস্তার অবস্থা বেশি ভালো না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে একটু বেশি লাগলো।রিক্সাওয়ালা মামার সাথে গল্প করতে করতেই আন্টির বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় প্রবেশের পথে নাকে পিঠার গন্ধ পেলাম।রুমে ঢুকতেই নাস্তা রেডি,তেলে ভাজা পিঠা।সাথে দেখছি,আরো কিছু।আন্টিও খাবার নিয়ে আসতে ব্যস্ত। দেখে মনে হলো,সব কিছুই মনে হয় আগে থেকেই পরিকল্পিত ছিল।
তাই,যাওয়ার সাথেই আপ্যায়ন।আপ্যায়ন ছিল অত্যন্ত চমৎকার। এ যেন,নিজ বাড়ীতেই খাচ্ছি।সেই সাথে খাবারের স্বাধ ছিল,অত্যন্ত মজাদার।আমি বেশ খেয়েই যাচ্ছিলাম।আর, আন্টি গল্প করতেছিলো।
গল্পে গল্পে আন্টি, মারুফ ভাইকে তুই বলেই সম্বোধন করছে, আবার, আমার দিকে তাকিয়ে তুমি বলছে। আমার বুঝতে বাকি ছিলো না যে, তাদের মধ্যে সম্পর্কটা ছিলো খুবই গভীর। বার বার বলছে, তুই আমার কোন খোঁজ-খবর নেস না,তোর কি আমাদের কথা একবারো মনে হয় না,ফোন দিস না,মাসেও একবার আসিস না।
তুই তো আমার ছেলে।কথাগুলো হৃদয়ে লাগছিলো। হয়তো আরো কিছু বলতো,কিন্তু সেখানেই আন্টির বিড়ম্বনা।পরিচয় না নিয়েই, আমার সামনে আন্টি তার আবেগগুলো নির্দ্বিধায় বলতেও পারছেন না।অন্যদিকে,মারুফ ভাই, আন্টির কথা শুনছে আর উনিও আমার দিকে তাকিয়ে বিড়ম্বনাবোধ করছে।কারন আমি ছিলাম তার অফিস কলিগ।তবে,একটু লজ্জা পাচ্ছিলো।আন্টির এমন কথা আমাকে খুবই অনুপ্রানীত করছে।
তিনজনের বিড়ম্বনার অবসান ঘটিয়ে এখন অফিসে ফিরতে হবে।আসার সময় আমি মারুফ ভাইকে বললাম, আপনার খালা আপনাকে খুব ভালবাসে।কথাশুনে আমার মনে হচ্ছিলো যে আপনি উনার সন্তান।
মারুফ ভাই বললেন,উনি ছিল আমার বন্ধুর মা। উনার বন্ধু বেশ কিছু বছর হলো, মালেশিয়াতে থাকেন।আগে নাকি সম্পর্ক আরো ভালো ছিল মাঝখানে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
আসলে, মায়ের তুলনা হয় না।সন্তানতুল্য বয়সের সবাই যেন, আমরা তার সন্তান।আমাদের সকলের উচিৎ, আমাদের মা'দের খুব বেশি কাছে রাখা,যত্ন নেওয়া,খোঁজখবর রাখা,আরো ভালবাসা।
প্রবাসে যাদের সন্তান থাকে সে-সকল মায়ের বুকে, যে কি কস্টের দহন চলে, তা আন্টিকে না দেখে বোঝা মুশকিল। ভালো থাকুক,পৃথিবীর সকল মা।
আন্টির ভালবাসায়,সকল বিড়ম্বনা মুছে গেছে।সত্যিই দারুন ছিল আজকের বিড়ম্বনা।যার পুরো ক্রেডিট ছিল মারুফ ভাইয়ের।
বিড়ম্বনা কারো কাছেই ভাল হয় না।যদিও আজকের বিড়ম্বনাটি ছিল ভালো লাগার।জানিনা,লেখাটি কেমন হয়েছে।
শুভকামনা রইলো,আপনাদের প্রতি।
আবারো,কোন গল্প নিয়ে হাজির হবো,আপনাদের সাথে।সে পর্যন্ত ভাল থাকবেন,সুস্থ্য থাকবেন প্রিয় পরিবার,@amarbanglablog
বিষয় | বিড়ম্বনার গল্প |
---|---|
বর্ণনা | @kamrul8217 |
ডিভাইস | Samsung A32 |
লোকেশন | w3w |
তারিখ | ১১জানুয়ারি ২০২২ |
আমি@kamrul8217 যুক্ত আছি,বাংলাদেশ থেকে।
গল্প লিখি।মানুষের পাশে থাকতে এবং মানুষকে কাছে রাখতে কাজ করি।একজন ভালো মানুষ হতে প্রতিদিন সাহস যোগাচ্ছেন,আমার প্রিয় পরিবার@amarbanglablog
এইতো পেরেছেন, শেষের দুটো পোস্ট ঠিক।ভাল ছিল।
আপনাদের সান্নিধ্যে থেকে আরো ভালো শিখতে চাই।ভালবাসা রইলো শ্রদ্ধেয় অভিভাবক।