এল ক্ল্যাসিকো সমাচার!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Bein sports থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রাতে ছিল এল ক্ল্যাসিকো। দুই স্প্যানিস জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার মধ্যে যে খেলা হয় তাকে বলা হয় এল ক্ল্যাসিকো। এই দুইদল রাইভাল এইজন্যই এটা নিয়ে মাতামাতি একটু বেশিই হয়। সত্যি বলতে ম্যাচটা রিভিউ করার কোন ইচ্ছা নেই। রিয়াল মাদ্রিদ নিজের ঘরের মাঠে যেভাবে হেরেছে সেটা রীতিমতো আমাকে হতাশ করেছে। হেন্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা দূর্দান্ত ফর্মে রয়েছে । তবে এই ম্যাচে আমি কথা বলব রিয়াল মাদ্রিদের কিছু ভুল নিয়ে। যে কারণে তাদের ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে হারতে হয়েছে। কয়েকদিন আগে আমি একটা পোস্ট করেছিলাম টনি ক্রুস কে নিয়ে। ঐ পোস্টে বলেছিলাম টনি ক্রুস যাওয়ার পরে মাদ্রিদের মিডফিল্ডের কী দূর অবস্থা হতে পারে। গতকাল যেন সেটার একটা বাস্তব উদাহরণ পাওয়া গেছে।
গতকাল ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ড বলে কিছু ছিল বলে আমার মনে হয় না। যেখানে পুরো খেলা নিয়ন্ত্রণ করে মিডফিল্ডের খেলোয়ার রা। সেখানে গতকাল ম্যাচে মাদ্রিদের মধ্যমাঠে এমন কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি। ডিফেন্স লাইন থেকে বলটা নিয়ে যে কেউ ফরওয়ার্ডদের কাছে দিবে এমন কেউ ছিল না। ঐ পজিশনে পুরোটা আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল বার্সেলোনা খেলোয়ার রা। ঐ জায়গা বার বার বল হারাচ্ছিল মাদ্রিদ। যেটা বেশ ভালোভাবে ভুগিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ কে। বিশেষ করে মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস গতকাল সেরকম বল সাপ্লাই পাইনি মধ্যমাঠ থেকে। প্রথমত আমি দায়ী করব একেবারে নিম্নমানের মিডফিল্ড।
দ্বিতীয় যে বিষয়টা আমার নজরে এসেছে অফসাইড ট্রাপ। গতকাল রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়ার রা সবমিলিয়ে ১২ বার অফসাইডের ট্রাপে পড়েছে। যার মধ্যে এমবাপ্পে দুই টা গোল স্কোর করে। যদিও দুইটাই বাতিল হয়ে যায়। একা এমবাপ্পে ৮ বার অফসাইডের ফাঁদে পড়ে যা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। এখানে আমি বার্সেলোনা কোচ হেন্সি ফ্লিকের প্রশংসা করব। অসাধারণ একটা ফাঁদ তৈরি করেছিল সে। এবং সবচাইতে বড় ব্যাপার কিলিয়ান এমবাপ্পের খুবই বাজে কিছু মিস। মোটামুটি তিনটা একেবারে সহজ সুযোগ সে মিস করেছে। যেগুলো গোলে কনভার্ট করতে পারলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম কিছু হতো। গতকাল তার কী হয়েছিল এটা শুধুমাত্র সে বলতে পারবে। একজন স্টাইকার এর থেকে এমন বাজে ফিনিশিং মোটেই কাম্য না। ভিনিসিয়াস জুনিয়র নিজেও একটা সহজ সুযোগ মিস করে।
সবচাইতে বড় ব্যাপার বাজে ডিফেন্স। প্রথম হাফে মোটামুটি ভালোই বার্সেলোনা কে আটকে রাখে ডিফেন্স লাইন। কিন্তু দ্বিতীয় হাফে সেটা একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থায় ছিল। লুকাস ভাসকেজ বেশ কিছু বল লুজ করেছে। যেগুলো কোনভাবেই কাম্য না। গতকাল দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার বেশ কিছু লং বল মিস করেছে মাদ্রিদ ডিফেন্সের লাইন। এবং তারপর উড়ন্ত বার্সেলোনা খেলোয়াদের দূর্দান্ত ফিনিশিং। বাকিটা বুঝতেই পারছেন কী হয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের এমন পারফরম্যান্সে আমি রীতিমতো হতাশ। তবে এই সিজেনে আরও কয়েকটা ম্যাচ পাওয়া যাবে বার্সেলোনার সাথে। আশাকরি রিভেঞ্জ টা এই সিজেনেই তুলে নেব। রিয়াল মাদ্রিদ হিসাব বাকি রাখে না কখনও।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা এই দুইটি টিম অনেক ফর্মে রয়েছে। এল ক্লাসিকোর এই ম্যাচে বার্সেলোনা এত ভালো খেলবে সেটা বুঝে উঠতে পারিনি। রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের হতাশ হতে হয়েছে। তবে এখনো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে যেহেতু এটা লা-লিগা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
বর্তমানে বার্সেলোনার পারফরমেন্স যতই ভালো থাকুক না কেন? তারপরও রিয়াল মাদ্রিদ এর মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ এভাবে বিধ্বস্ত হবে এটা আমি কখনো আশা করি নাই। অনেকদিন পরে বার্সা দেখলাম।
ভেবেছিলাম অনেক কঠিন একটা লড়াই দেখতে চলেছি আমরা, প্রথম দিক থেকে লড়াই বেশ ভালোই জমেছিলো তবে শেষের দিকে রিয়াল মাদ্রিদের জন্য একেবারেই হারিয়ে গেল। তবে বার্সার খেলা দেখে খুবই ভালো লাগলো।