অফিস থেকে ঈদ উপহার।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের ব্লগটি অফিস থেকে ঈদ উপহার পাওয়া নিয়ে। উপহার বা গিফট ছোট হোক বা বড়, যে কোন উপহারই পেতে ভালো লাগে। উপহার হিসাবে কি দিয়েছে সেটা বড় কথা নয়, উপহার দিয়েছে সেটাই বড় কথা।

আমি বর্তমানে যেখানে জব করছি, সেখানে প্রায় দশ বছর যাবত আছি। কোম্পানি একেক সময় একেক নিয়ম কানুন করেছে আবার পরিবর্তন করেছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও সে সব নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করেছি। যেখানে থাকতেই হবে সেখানে যত কিছুই হোক সেখানে মেনে এবং মানিয়ে নিতেই হবে। আর নতুন জাগায় নতুন পরিস্থিতিতে, নতুন নিযম কানুন মানতে প্রথম কিছুটা বিরক্ত লাগে। তবে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।

আমাদের কোম্পানি এক সময় সবাইকে এক সাথে নিয়ে বাৎসরিক বনভোজন করতো, সেটা জামেলা মনে করে এখন জনপ্রতি টাকা দেয়। এক সময় রমজান মাসে নিজস্ব ক্যান্টিন থেকে ইফতারি সরবরাহ করা হতো, সেটাও ঝামেলার কারনে টাকা দিয়ে দেয়। প্রতি বছর একদিন সবাইকে স্পেশাল ভাবে খাবার খাওয়াতো, তবে কয়েক বছর যাবত সেটা বন্ধ আছে। আবার চালু হলেও হতে পারে। ২০১১/১২ সালের দিকে প্রতি বছর কয়েক জনকে কোম্পানির খরচে হজ্বে পাঠানো হতো, সেটাও কোন কারনে বন্ধ আছে। এভাবেই চলছে।

গত তিন বছর যাবত কোম্পানি থেকে প্রতি রমজানের ঈদে সবাইকে কিছু গিফট সামগ্রী দেওয়া শুরু করেছে। এই গিফট সামগ্রী পেয়ে সবাই অনেক খুশি হয়। গিফট সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, চিনি গুঁড়ো চাউল, সেমাই, চিনি, তেল, দুধ। সব মিলিয়ে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকার পন্য হবে। কিন্তু এই উপহার পেয়ে সবার মুখে যে হাঁসি দেখলাম, সেটার দাম লাখ টাকা। মানুষের জীবন আর কত দিনের। এগুলো স্মৃতি হিসাবে রয়ে যাবে।

এভাবেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসে আবার স্থগিত হয়। জীবন কিন্তু থেমে থাকে না। জীবন তার গতিতে চলছে। এখন সবার মাঝে ঈদের আমেজ কাজ করছে। সামনে শনিবারে আমাদের অফিস নয় দিনের লম্বা ছুটি ঘোষণা করবে। গিফট সামগ্রী গুলো কেউ বাড়িতে নিয়ে যাবে, আবার কেউ এখানে বাসায় খাবে,আনন্দ করবে।

আজকে অফিসের গিফট নিয়েই লিখলাম। কিছুদিন পরে ঈদের দিনের গিফট নিয়ে লিখবো। তখন কম বেশি সবাই গিফট পাবে। আর রমজানের ঈদে গিফট দেওয়া নেওয়ার মাধ্যমেই আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়। আশা করি সবার অনুভূতি জানতে পারবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।