ঈদ আনন্দ (২য় পর্ব)
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনাদের সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই উচ্ছ্বাস। যেহেতু নতুন বিয়ে করেছি শ্বশুরবাড়িতে তো যেতেই হবে। তাই ঈদের পরের দিনে এবার শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে গিয়েও অনেক ধরনের মজমাস্তি হয়েছে। সেসব ঘটনাগুলোই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
প্রথমেই বলে রাখি শ্বশুরবাড়িতে কিন্তু আমি ছিলাম না বেশিদিন। আমরা দুপুরের দিকে তাদের বাসায় উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেদিন পর্যন্ত গরম ছিল এই গরমের মধ্যে ট্রাভেল করাটা অনেকটা কষ্ট কর হয়ে যায়। আমার শ্বশুর বাড়ির নীলফামারী ক্যানেলের ঠিক পাশে অর্থাৎ নীলফামারী থেকে যে তিস্তার পানি বইতে থাকে সেখান থেকেই খুব বেশি একটা দূরে নয়। দুই মিনিট লাগে হেঁটে যেতে আমার শ্বশুর বাড়িতে। প্রথমে সেখানে গিয়ে সবার সাথে কুশল বিনিময় করলাম। পরবর্তীতে আমরা দুপুরের খাবার গ্রহণ করলাম। এরপরে কিছুক্ষণ সময় আমরা রেস্ট করছিলাম। এতক্ষন সময় পর্যন্ত সবকিছু ঠিক ছিল পরবর্তীতে শুরু হলো মজ মাস্তি।
কথায় কথায় কে জানি কথা বললো যে সকলেই ক্যানেলের ওই দিকে গিয়ে গোসল করব। ঠিক তেমনি কথা মতো কাজ। সবাই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম ক্যানেলে উদ্দেশ্যে। ক্যানেলে গিয়ে সবাই সেখানে মজ মাস্তি করতে থাকলো। এইদিকে আমার এক আঙ্কেল আমার শাশুড়ির বোনদের সাথে অনেক মজা মাস্তি করতে লাগলো। একপর্যায়ে দুজনেই নদীতে লাফ দিল। আমরা কিন্তু নদীতে লাফ দেইনি। তারা নদীতে লাফ দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি একটি রেস শুরু করল। কে সর্বপ্রথম নদী পার হতে পারবে। সেটা একটা চমৎকার মুহূর্ত ছিল আমাদের জন্য।
পরবর্তীতে সেখান থেকে একে অপরকে পানি দিয়ে শুরু করল। সেটা আসলে একটু অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল। তারপরও অনেক মজা মাস্তি করে আমরা আবারও বাসায় ফিরে আসি এবং সেখানে ফ্রেশ হয়ে নেই সকলেই। এদিকে আমি এবং আমার বউ একসাথে দূরে বসে সব কিছুই দেখছিলাম এবং দুজনেই মজা নিচ্ছিলাম, হাহাহা। এদিকে সন্ধ্যার পরে আবার আমরা ঠিকঠাক কিছু খাবার গ্রহণ করলাম। পরবর্তীতে আম্মু আব্বু এবং আংকেলটা চলে গেল এবং সেই রাত আমি সেখানেই যাপন করেছিলাম। এবং সে দিনেই আমাদের স্পেশাল হ্যাংআউট অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেই জায়গাতে নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে হ্যাংআউটে যুক্ত হতে পারেনি।
সব মিলিয়ে সময়টা অনেক বেশি ভালো উপভোগ করেছি এবং দুই পরিবারের মিলন বন্ধন রেখেও অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সবমিলে ঈদের সময় গুলো অনেক ভালো, ঈদের মুহূর্ত গুলো অনেক ইনজয় করেছিলাম। আমার সব কিছু অনেক ভালোভাবেই হয়েছে এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ঈদ আনন্দ (২য় পর্ব)
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
গ্রামের বাড়িতে ইদ করার মজাই সবচেয়ে ভিন্ন। গ্রামের পরিবেশের মাধুর্য সবার হৃদয় কেরে নেয়।
নতুন বিয়ে করলে ঈদের সময় অবশ্যই শ্বশুর বাড়িতে যেতে হয়। আমি তো পুরনো হওয়ার পরেও এখনও যাই হা হা হা। যাইহোক শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বেশ মজা করেছেন দেখছি। ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ সুন্দর হয়েছে। এসব জায়গায় সময় কাটানোর মজাই আলাদা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।