এর শেষ কবে।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি। যাইহোক আজ নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে চলে আসলাম। আসলে আমি আমার দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাগুলো আপনাদের সঙ্গে ইদানিং বেশি শেয়ার করে নেয়। কারণ আপনাদের মন্তব্য গুলো আমাকে কিছুটা আশ্বস্ত করে নতুন কিছু ধারণাও দেয়। আজ আমি কথা বলব বতর্মান সময়ের ছাএ রাজনীতি নিয়ে। না এটা ঐভাবে রাজনীতি নিয়ে লেখা না। কিছুদিন আগে আমার সঙ্গে এইরকম একটা ঘটনা ঘটেছে সেটাই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নিব। তবে এটা কোনো রাজনৈতিক আলোচনা না। আমি কারো সমালোচনা বা প্রশংসা করব না শুধু আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবস্থা তুলে ধরব।
বতর্মানে বাংলাদেশের প্রতিটা কলেজে ইউনিভার্সিটিতে ছাএ রাজনীতি রয়েছে। না আমি বলছি না ছাএ রাজনীতি খারাপ। এই ছাএ রাজনীতির জন্য আমরা একুশে ফেব্রুয়ারির মতো বেশ কিছু বড় জয় পেয়েছি। তবে তখনকার সময়ের ছাএ রাজনীতি এবং বতর্মান সময়ের ছাএ রাজনীতির মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ এটা অনায়াসে বলা যেতে পারে। আমাদের কলেজেও ছাএরাজনীতি আছে। তবে আমি বলব এখন পযর্ন্ত তাদের দ্বারা আমি র্যাগিং এর স্বীকার হয়নি এবং অন্যকেউ হয়েছে বলেও শুনি নাই। এবার আসি আসল ঘটনায়। আমাদের কলেজে ছাএ রাজনীতির কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছিল বেশ অনেকদিন। বলা যায় কোনো কমিটি ছিল না। এভাবেই চলছিল। তো দিন পনের আগে আমাদের কলেজের কেন্দ্রীয় ছাএরাজনীতির কমিটি ঘোষণা করা হয়। তো আনন্দে তারা একটা বিজয় মিছিল বের করে। সেজন্য তারা ক্লাস বন্ধ করে দেয়। যদিও আমরা কেউ সেই মিছিলে অংশগ্রহণ করিনি। কারণ আমরা এখন কলেজের সবচেয়ে সিনিয়র ব্যাচ সেজন্য আমাদেরকে কেউ বাধ্য করতে পারে না। কিন্তু আমাদের যারা জুনিয়র ছোটভাইয়েরা আছে তাদের ঠিকই যাওয়া লাগছিল। সেদিন আর কোনো ক্লাস হয়নি।
তো সেদিন তো গেল। পরবর্তীতে আর কোনো ক্লাস হলো না আমরাও চলে আসলাম। তার ঠিক দুইদিন পর শুনি কেন্দ্রীয় কমিটি আমাদের কলেজের ঐ কমিটি কে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কোনো সমস্যার কারণে। এবং বলেছে আবার নতুন করে কমিটি ঘোষণা করা হবে। তো কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর যারা দায়িত্বে ছিল তারা তো রেগে যাবে এটাই স্বাভাবিক। পরের দিন দেখি তারা প্রতিবাদ মিছিল দিয়েছে। এবং তারা আবার ক্লাসে এসে বলছে যে আমাদের কলেজ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করছে আমরা এটা মানব না এজন্য আমরা প্রতিবাদ মিছিল করব। তোমরা সবাই চলো। তো যারা আমাদের ডাকতে এসেছে তারা আমাদের ব্যাচ এর। আমরা না গিয়ে বসে রইলাম। ওরা বুঝে গেল ওরা আর যাবে না। একপর্যায়ে আবার এসে বলছে আজ আর কোনো ক্লাস হবে না চলো মিছিলে চলো। তখন আমার এক ফ্রেন্ড বলল আমাদের ক্লাস থেকে কেউ যাবে না তোমরা চলে যাও। তারা শুনে চলে গেল।
কিন্তু যথারীতি সেদিন আর ক্লাস হয়নি। এবং আমরা না গেলেও আমাদের জুনিয়র ছোট ভাইদের ঠিকই যাওয়া লাগছিল কারণ তারা বাধ্য। তাদের একটু বলতেই ভয় পেয়ে যায়। এখন আমার কথা হচ্ছে তোমাদের কমিটি হয়েছে তাতে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কী এবং তোমাদের কমিটি বাতিল করেছে তাতেই বা আমাদের কী। আমরা কেন মিছিলে যাব। কেন আমাদের ক্লাস বন্ধ হবে। আমরা কী কলেজে ঐটা করতে এসেছি নাকী?? না এটা শুধু আমাদের কলেজের অবস্থা এমনটা না। এই অবস্থা পুরো বাংলাদেশের প্রতিটা কলেজের। আমরা যারা বাংলাদেশী তারা মোটামুটি ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজের ঘটনা টা জানি। তো আমার মনে প্রশ্ন এটাই তোমাদের রাজনীতি তোমরা করো। তোমরা কেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের এর মধ্যে জড়াবা। আমরা কেউ প্রতিনিয়ত ক্লাস মিস দিব। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যারা ডিপ্লোমায় আছে তারা প্রয়োজনের তুলনায় কম ক্লাস পাই। এরমধ্যে যদি আবার এইগুলো আসে তাহলে আপনারাই বলেন কীভাবে কী করব। শুধু এটা না কিছু না হতেই তারা এইগুলো করে থাকে। আর ক্লাস বন্ধ করে দেয়।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
যুগোপযোগী একটা ঘটনা তুলে ধরেছেন ভাইয়া।বর্তমানে এইসব ছাত্র রাজনীতির যা করুণ অবস্থা তা বলার বাহিরে।
আমার কলেজে যদিও এ ধরনের কোনো ব্যাপার নেই তবুও আশেপাশের কলেজগুলোর ঘটনা তো চোখে পড়েই।দিন দিন সবকিছুরই অধঃপতন হচ্ছে।সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর এগুলোর প্রভাব অনেক বাজে ফলাফলের জন্য দায়ী।
দিন যাবে এগুলোর প্রভাব বেড়েই যাবে।আপনি আমি একা চেয়ে কিছুই করতে পারবোনা।
একেবারে সঠিক বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আমার কাছে মনে হয়,এখনকার রাজনীতি ছাএ ছাএীকে ধ্বংসের দিকে নিচ্ছে।তাছাড়া ছাএ রাজনীতিকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কিছু কিছু মানুষ।আগের দিনের রাজনীতি আর এখনকার রাজনীতি আসলেই অনেক পার্থক্য। ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ
দারুণ কথা বলেছেন আপু। ধন্যবাদ
আপনাকে।।
একটি সময় রাজনীতি ছিল অন্যরকম। যেখানে ভালো কিছু আশা করা যেত এবং অনেক নীতিবাচক বলে কিছু কথাও ছিল কিন্তু এখনকার সমাজে রাজনীতি মানেই বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসের একটি স্তুপ।
শুধু আপনার দেশেই নয়, আমার দেশেও একই হাল। রাজনীতি রাজনীতি করেই তো সব শেষ হল। এই রাজনীতির কারণেই জাত, ধর্ম সবেতে ঝামেলা হয় আর কিছু উপরতলার মানুষ আনন্দ পায়। রাজনীতি এমন এক জিনিস সেখানেই কোন নীতি নেই। আর ছাত্র সমাজের মধ্যে রাজনীতি ঢোকানো হল সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ। আমার মতে স্কুল কলেজ থেকে রাজনীতি তুলে দেওয়া উচিত।
একেবারে আমিও আপনার সঙ্গে একমত দিদি। কলেজ ইউনিভার্সিটি থেকে ছাএরাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।।
আপনি অনেক সুন্দর একটি বাস্তব ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কলেজ রাজনীতি এত খারাপ অবস্থায় গেল তা বলার ভাষা নেই। কারণ রাজনীতি পয়দা নিতে কিছু অসৎ লোক মানুষদেরকে ব্যবহার করে। এতে পড়ালেখা থেকে অনেক কিছু মানুষের ক্ষতি করে থাকে। হয়তো আপনাদের কলেজে ভালো হতে পারে কিন্তু আমাদের এই দিকে অত্যান্ত খারাপ অবস্থা। ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য।
রাজনীতিতে ছাত্র -ছাত্রীদের না টানাই ভালো।আর তাছাড়া আগের সেই রাজনীতি এখন আর নেই। এখন শুধু ধ্বংসের রাজনীতি। অনেক ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।