"ছোট মেয়ের" শিক্ষা জীবনের দ্বিতীয় ধাপ শুরুর কিছু মুহুর্ত। shy-fox 10%
সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন,এবং সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
শিক্ষা প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশের জন্য উৎসাহ দেয়া হয় এবং সমাজের একজন উৎপাদনশীল সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভের জন্য যে সকল দক্ষতা প্রয়োজন সেগুলো অর্জনে সহায়তা করা হয়। সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা। ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগতভাবে জ্ঞানলাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলে। তবে শিক্ষা হল সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের অব্যাহত অনুশীলন।
আমার ছোট মেয়ে অর্থী চাকী প্রাথমিক শিক্ষা সাধারণত আনুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রথম পর্যায়, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে এখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবনের দ্বিতীয় ধাপ শুরু করলো।
ভর্তির জন্য বেশ কয়েকটি সরকারি স্কুলে আবেদন করেছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত একটিতেও লটারীতে ওর নাম আসেনি তাই বাধ্য হয়ে গোবিন্দগঞ্জ বি এম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করি।আমার বড় মেয়ে ক্লাস সেভেন থেকে পড়াশোনা করছে এই এলাকার নাম করা স্কুল এটি সবার মুখে এত প্রশংসা শুনেছি তা বলার মতো না তাই বড় মেয়ে কে ভর্তি করিয়েছিলাম কিন্তু পরে জানতে পারলাম স্কুলে কোন পড়াশোনা নেই সব টিচাররা শুধু টিউশনি নিয়েই ব্যস্ত
যে ছাত্রী স্কুলের টিচারের কাছে পড়বে তাকে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর দেওয়া হয় বাকিরা যতই ভালো লিখুক তাদের ভালো রেজাল্ট কখনোই হবেনা।
তাই ভেবেছিলাম ছোট মেয়েকে এই স্কুলে ভর্তি করাবো না কিন্তু শেষ মুহুর্তে এসে অনেকটা নিরুপায় হয়েই ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিতে হলো।আবেন করলাম ৩১ ডিসেম্বর লটারি হলো মেয়ের নাম আসলো তারপর প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলাম ভর্তি করানোর জন্য কিন্তু উনি বললো আজ ভর্তি হবে না আরও দুদিন পর থেকে ভর্তি শুরু হবে কিন্তু আমি পরেরদিন সকালেই রংপুর এ যাবো তাই প্রধান শিক্ষকের কাছে টাকা কাগজপত্র জমা দিলাম বললাম আপনি ভর্তি টা করিয়ে রাখবেন।প্রধান শিক্ষক তিনি সম্পর্কে আমার ননদের হাসবেন্ড সেই সুবাদে এই সুবিধা টা পেলাম।
ঘোরাঘুরি শেষ করে বাসায় আসলাম মেয়ের স্কুলের ইউনিফর্ম বানাতে দিলাম পাশেই এক টেইলর ভাবির কাছে যাতে একদিনের মধ্যে পাওয়া যায়। একদিনের মধ্যে ইউনিফর্ম হাতে পেলাম মেয়ে তো সেই খুশি আর খুবই উত্তেজিত হয়ে ছিলো কখন নতুন স্কুলে যাবে।পরের দিন সকাল সকাল রেডি হয়ে দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে স্কুলে গেলাম প্রথমে প্রধান শিক্ষকের রুমে গেলাম বললাম আমার মেয়ের রোল কত হয়েছে দাদা?উনি বললো ওর কি ভর্তি হয়েছে কি-না আমার তো মনে নেই এই কথা শুনে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো তার কারন এই স্কুলে একেক ক্লাসে ৩০০ এর বেশি ছাত্রী তাহলে তো আমার মেয়ের রোল সবার পিছনে পড়ে যাবে।আমি মেয়েকে ষষ্ঠ শ্রেণির কোন শাখায় বসিয়ে দিবো বুঝতে পারছি না তখন প্রধান শিক্ষককে বলালাম মেয়েকে কোন শাখায় বসাবো উনি বললো আপাতত "ক"শাখায় বসিয়ে দাও পরে বিষয় টা দেখছি।
" ক" শাখায় মেয়েকে বসিয়ে দিয়ে ভাবলা কাল যদি মেয়ে কে "ঘ" শাখায় বসতে হয় তাহলে তো মেয়ে সেই কান্নাকাটি করবে ও খুবই আবেগপ্রবণ স্বভাবের মেয়ে অল্পতেই অনেক কষ্ট পায়।যাইহোক মেয়েকে ক্লাসে বসিয়ে দিয়ে আবারও প্রধান শিক্ষকের রুমে গেলাম মেয়ের রোল নম্বর জানার জন্য তখন আমাকে বসতে বললো চা খেতে দিলো আমার তো খুবই টেনশন হচ্ছিলো যদি মেয়ের রোল সবার পিছনে হয় তাহলে আমি শেষ মেয়েকে কোনভাবেই বোঝাতে পারবো না।কিছুক্ষণ পর দাদা আমাকে জানালো তোমার মেয়ের রোল ১ হয়েছে ও শুনে খুবই খুশি হলাম। দাদা বললো আমি অনেক ব্যস্ততার মধ্যে থাকি তাই সবকিছু মনে রাখতে পারিনা কিছু মনে করিও না,আমিও বিষয় টি বুঝতে পেরেছি এত বড় একটা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনেক দায়িত্ব তাই ছোটখাটো বিষয় মনে রাখা সত্যিই সম্ভব না।
এখন কোনো ক্লাস তেমন হচ্ছে না মেয়েরা অ্যাসেম্বলি করে তারপর দুই তিন ঘন্টা খেলাধুলা করে তারপর স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়।আমার মেয়ে স্কুলের প্রতিটি মুহূর্ত খুব সুন্দর উপভোগ করেছে।তারপর দুই বোন মিলে বাসায় চলে আসে।এই ছিলো আমার মেয়ের নতুন স্কুলের প্রথম দিন। আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন নতুন বিষয় নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
OR
আপনার ছোট মেয়ে তো দেখছি মাধ্যমিকে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। তাহলে তো ও অনেক বড় হয়ে গেল। এটা জেনে খুব খুশি হলাম আপনার মেয়ের রোল নাম্বার ১ হয়েছে। খুশি হওয়ারই কথা, আপনি মনে হয় একটু বেশি খুশি হয়েছেন। এমনিতেই স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিন ক্লাস হয় না বেশি ভালোই মজা করেছে মনে হচ্ছে। খুবই ভালো মুহূর্ত কেটেছে তাহলে।
আসলেই সময় যে কখন চলে যাই তা বুঝে ওঠায় সম্ভবত হয় না। দেখতে দেখতে আপনার মেয়ে লেখাপড়াই দ্বিতীয় ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে গেল। মাধ্যমিক লেভেলের এই লেখা পড়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করবেন মেয়েকে এই ধাপে একটু বেশি পরিমাণে গাইডলাইন দিয়ে লেখাপড়া করানোর জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই সময় টা শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।অবশ্যই আমি একজন মা হিসেবে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ৷ আসলে বর্তমান অবস্থা এমনি হয়েছে , স্কুলের শিক্ষকরা কেবল তাদেরই দেখে যারা তার কাছে টিউশনি করেছে ৷ এটা আসলেই দুঃখজনক একটা ব্যপার ৷ যাই হোক , আপনার মেয়ে এক রোল করেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ৷ আশা করি ও বহুদূর এগিয়ে
যাবে ৷
হ্যাঁ বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। শিক্ষকরা শিক্ষা কে ব্যবসায় পরিনত করেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনার মেয়ের জন্য রইলো অনেক শুভকামনা। প্রাথমিক ধাপ পার হয়ে এখন মাধ্যমিকে উঠেছে। নতুন পরিবেশ, নতুন সবাই।কিছুদিনের মধ্যেই মানিয়ে নেবে আশাকরি। আর টিচারদের এই পড়ানোর মনমানসিকা শুধু ওখানেই নয় দেশের সর্বত্রই এমন দেখা যায়। াআর আজকাল লটারী নামে ভেতরে ভেতরে টাকা দিয়ে আগেই সিট নিয়ে রাখে। যাই হোক পড়াশোনা করে বড় হোক, ভাল মানুষ হোক এটাই কামনা করি।শুভকামনা রইলো আপু।
আপু ঠিক বলেছেন লটারির পিছনে অনেক দুর্নীতি হয় যা আমরা বুঝতেই পারিনা। টিচারের মনমানসিকতা যদি এরকম হয় তাহলে আমাদের মতো মানুষ কোথায় যাবে বলেন। সুন্দর মন্তব্য টি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
আপু আমার মনে হয় এখানে নাস লেখাটির পরিবর্তন নাম হবে। এর বাহিরে আরো একটি দুটি ভুল রয়েছে আশা করছি ঠিক করে নিবেন।
আপনার মেয়ের রোল এক হয়েছে এটা জেনে খুবই খুশি হলাম। বেশ ভালোই কেটেছে তাহলে আপনার মেয়ের স্কুলের প্রথম দিন। আপনার মেয়ে যেন আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারে সেই কামনা করছি। ওদেরকে নিয়ে সবসময় ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
আমার ভুল ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। জ্বি আপু মেয়ের প্রথম দিন বেশ ভালোই কেটেছে। দোয়া করবেন আপু। ধন্যবাদ।