ইকো পার্কে হস্তশিল্প মেলা ।পর্ব -২
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।গত পর্বে আমি হস্তশিল্প মেলার কয়েকটি শিল্পকাজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আজকে আরো কয়েকটি হাতে তৈরি শিল্প কাজ ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
এই মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস হচ্ছে এই মেলাতে অধিকাংশ শিল্পী চোখের সামনেই হাতে তৈরি করে নিজেদের কাজ বিক্রি করে থাকে। এতে করে প্রত্যেক মানুষ আরো বেশি কেনার জন্য আগ্রহী হয় । এই মেলাতে গেলে আমি শুধু ভাবি যে মানুষ চাইলে কি না পারে ।কত সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কাজ নিজেদের হাতে তৈরি করছে।আসলে আমার মনে হয় এই মেলাতে যাওয়াটাও খুব সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ আমরা অনেক মানুষ সামান্য সামান্য কিছু কাজ করলে কত হাঁপিয়ে উঠি। কিন্তু এই সকল মানুষেরা নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কত দূর দূরান্ত থেকে এই মেলায় এসে ১৫ টা দিন এখানে থেকেই আয়ের ব্যবস্থা করেন।
এই মেলার আরো একটা জিনিস সব থেকে বেশি আকর্ষণীয় সেটা হচ্ছে এত সুন্দর হতে আঁকা কারুকার্য গুলো গ্রাম বাংলার বউ রাই আঁকছে। আর এটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে তাছাড়াও এখানে বাঁশের কাজ রয়েছে ।যেখানে বাঁশ কেটে কেটে ছোট ছোট মানুষের মূর্তি বানানো হয়েছে।
এছাড়াও ছোটো ছোটো পাথরের যে মানুষগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো পাথর কেটে কেটে বা কাঠ কেটে কেটে কিছু কিছু মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে, এই কাজগুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
এছাড়াও এখানে মাটির কাপের মধ্যে নানান রকম আঁকা ডিজাইন করা হয়েছে আর এই ডিজাইনগুলোর নাম হচ্ছে মধুবনী আর্ট। আর এই মধুবনী আর্টের চিত্রগুলি প্রত্যেকটা মাটির কাজের উপর তুলে ধরা হয়েছে ।
এই মেলায় এত পরিমাণ শিল্পকাজ রয়েছে যে আমি হয়তো পুরো দেখিয়েও শেষ করতে পারবো না তবুও আজ যতোটুকু দেখালাম এর থেকেও অনেক বেশি কাজ রয়েছে ।যেগুলো আমি এর পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

ইকো পার্কে হস্তশিল্প মেলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে দারুন লাগলো দিদি।এত সুন্দর হাতের কাজ সত্যিই খুব প্রশংসনীয়। এখানে শিল্পীরা চোখের সামনে বসেই নিজোদের কাজ করে দিয়ে থাকে। এই মেলাতে শিল্পীরা দূর দূরান্ত থেকে এসে ১৫ টা দিন থেকে নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য চেষ্টা করে থাকেন।তাদের হাতের কাজ সত্যিই খুব ভাল লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।
আপু হস্তশিল্প হলো আমাদের বাঙালির সমাজের একটি ঐতিহ্য। হস্তশিল্পের কারিগরদের দ্বারা নিখুঁতভাবে তৈরি বিভিন্ন রকমের হস্তশিল্পই আমাদের বাঙালি সমাজের ঐতিহ্যকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে। হস্তশিল্পের অন্তর্গত বিভিন্ন ধরনের মূর্তি এবং বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দিদি আপনার পোস্টের মাধ্যমে খুব সুন্দর একটি হস্তশিল্প মেলার ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। এই মেলার মূল আর্কষণ তারা মেলায় বসেই বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করেন। এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। সত্যি মানুষ চাইলে সব কিছু সম্ভব। আমার কাছে মাটির কাপগুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এই কাপের মধ্যে এত সুন্দর ডিজাইন করার জন্য দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগছে। আমি কখনও হস্তশিল্প মেলায় যায়নি। তবে আজ আপনার এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে খুব যেতে ইচ্ছে করছে। আপনাদের ইকো পার্কে হস্তশিল্প মেলার প্রতিটা জিনিস খুবই সুন্দর। মেলায় এমন জিনিস দেখলে সব কিনে নিয়ে আসতে ইচ্ছে করে। ধন্যবাদ দিদি ইকো পার্কে হস্তশিল্প মেলায় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ইকো পার্কের হস্তশিল্পী মেলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে দারুণ ভালো লাগলো দিদি। রাতে বিভিন্ন রকমের জিনিস বিক্রি করে থাকে। তবে এই মেলার গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, নিজের সামনে কোন জিনিস তৈরি করে এবং তা বিক্রি করে থাকে। এর অর্থ আমার ইচ্ছামত কোন জিনিস আমি তাদের কাছ থেকে বানিয়ে নিয়ে ক্রয় করতে পারি। এ বিষয়টি আমার কাছে দারুন লেগেছে। এটা ঠিক আপু নির্ণয়ের মানুষেরা অধিকতর পরিশ্রম করে। তারা দুমুঠো ভাতের জন্য প্রচুর পরিমাণ কষ্ট করে থাকে। কিন্তু আমরা একটু কঠিন কাজ করলেই অনেকটা হাপিয়ে উঠি। তবে মেলাটি যে অনেক বড় একটি মেলা তা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে দিদি আপনি যদি এদের কাছে জিজ্ঞেস করেন জানতে পারবেন কয়েক পুরুষ ধরে হয়তো উনারা এই হস্তশিল্পের কাজ করছে। এবং এগুলো উনাদের বংশ পরম্পরা অনুসারে চলছে। এদের কাজগুলো এদের প্রতিভা গুলো আসলেই অবাক করে দেওয়ার মতো। অনেক গুলো হস্তশিল্প কারুকাজ করা জিনিসের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল দিদি। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
হস্তশিল্পের বেলায় যাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। আসলে আমরা অনেক সময় অনেক ছোট কাজ করতে গিয়েও হাঁপিয়ে উঠি। আর অনেকে আছে এই কষ্টের কাজগুলো করেও নিজের জীবিকা নির্বাহ করছে। তাদের হাতের জাদুতে নতুন কিছু তৈরি করার চেষ্টা করছে। মাটির তৈরি জিনিসগুলো এবং অন্যান্য জিনিসগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। দিদি আপনি মেলায় ঘোরাঘুরি করার পাশাপাশি দারুন ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। অনেক ভালো লাগলো।
হস্তশিল্প গুলো আমাদের এলাকা থেকে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। খুব কম সংখ্যক এগুলো আমাদের চোখে পড়ে। তবে বিভিন্ন পার্ক বা মিউজিয়ামে লক্ষ্য করা যায়। আপনি আজ আমাদের মাঝে এই সমস্ত হস্তশিল্প গুলো উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো এবং মনে পড়ল ছোটবেলায় গ্রামের অনেক মানুষকে তৈরি করতে দেখতাম কিছু কুটির শিল্প এবং বিভিন্ন মেলাতেও লক্ষ্য করতাম এক এক জাতীয় জিনিসগুলো কিন্তু তা যেন আজকে আর তেমন একটা চোখে পড়ে না বলে চলে। যাইহোক এই জাতীয় শিল্প গুলো যেন যুগ যুগের ঐতিহ্য বহন করে।