দেখে এলাম শ্যামপুর বুড়িগঙ্গা ইকোপার্ক।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে শ্যামপুর বুড়িগঙ্গা ইকোপার্কে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।

মাঝে মাঝে পরিবার পরিজন ফেমিলি মেম্বারদের নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে হয়। তাহলে মন রিফ্রেশ থাকে,এক ঘুয়েমি দূর হয়। কাজ কর্ম সংসারের প্রতি মনোযোগ বাড়ে। আর এক জাগায় থাকতে থাকতে নিজের মন-মানসিকতা খিটখিটে হয়ে যায়। সে জন্য যথাসম্ভব মাঝে মাঝে ঘুরতে যেতে হয়।

গত মাসের শেষের দিকে শ্যামপুর বুড়িগঙ্গা ইকোপার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার কারন হলো আমাদের বাসার কাছে, বাবু যেন একটু আনন্দ পায়। তাছাড়া সেখানে আগে কখনো যাওয়া হয়নি। তাই অনেকদিন আগে থেকেই সেখানে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করতেছিলাম। কিন্তু সময়ের অভাবে আর যাওয়া হচ্ছিল না। গত মাসের শেষের দিকে মা ও বোন বাসায় ছিল, তাদেরকে নিয়েই সেখানে গিয়েছিলাম।

একুশে ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ে তিনটার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। ভাগ্য ভালো বাসা থেকে বের হয়েই সিএনজি পেয়ে গেছিলাম। যার কারনে সুবিধা হয়েছে। ৩৫ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে আমারা ইকোপার্কের গেইটে পৌঁছে গেলাম। তখন কিন্তু আসরের আজান দেয় নি মোটামুটি রোদ ছিল। যেহেতু পার্কের ভিতরে কোন দোকান নেই, তাই আমি বাহির থেকে কিছু চিপস, ডালভাজা, চকলেট সহ কিছু খাবার কিনে নিলাম।

বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে বিশাল বড় এড়িয়া নিয়ে নির্মান করা হয়েছে ইকোপার্কটি। নদীর পাশে খোলামেলা পরিবেশ। যায়হোক টিকেট নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার চিন্তা করলাম। টিকেট নিতে তেমন কোন সিরিয়ালে দাড়ানোর প্রয়োজন হয়নি। কারন তখন মানুষ খুবই কম ছিল। তখনও মানুষ আসে নাই। আমরা চারটি টিকেট নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে প্রবেশ করেই একটি ফোয়ারা দেখতে পেলাম। খুবই সুন্দর চার পাশে ঠান্ডা পানি ছড়িয়ে পড়ছে। সবাই সেখানে দাড়িয়ে ক্লিক ক্লিক ফটো তুলছে।

তারপর দেখতে পেলাম বিশাল বড় বিলুপ্ত প্রাণী ডাইনোসরের এক আকৃতি। তারা এত বড় ডাইনোসর বানিয়েছে যেটার নিচ দিয়ে আমার মত পাঁচ দশজন মানুষ আসা যাওয়া করতে পারে। ডাইনোসরের বড় বড় দাঁত আর জিহ্বা দেখলে কিছুটা ভয় লাগে। ডাইনোসরের গায়ে যে কালার করেছে সেটা খুবই সুন্দর লাগছে। এই ডাইনোসর যদি হঠাৎ জীবিত হয়ে যেত তাহলে কি অবস্থা হতো,হা হা হা।

এভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। সামনে অনেক কিছু আছে। পরের পর্বে সে গুলো শেয়ার করবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।