নাটক রিভিউ :- ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। ( পর্ব ৪ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৪র্থ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
অভিনয়ে	আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে।
রচনা ও চিত্রনাট্য	সোলায়মান
চিত্রগ্রহণ	জহির রায়হান
সম্পাদনা	এসে এ সুমন
আবহ সংগীত	অংকুর মাহমুদ

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতে আমরা জেনিকে দেখতে পাই, রাশেদ তার হাতে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে। আর কোনো একটা সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বলেছে তাকে। এরপর রাসেদ চলে যায় ফ্রেশ হওয়ার জন্য। তারপরে নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে দেখি তার হাজবেন্ডের সাথে চিল্লাচিল্লি করছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। কারণ কোনো ছেলে মেয়ে নাকি ওনার কথা শোনে না। এরপরে মিনা আর মনিকে দেখি রাতে ঘুমানোর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছে। আর মনি তখন মিনার সাথে মিষ্টি মিষ্টি করে কথা বলে তাকে খাটের উপরে শোয়ার জন্য বলে। আর পরবর্তীতে সে তার প্রেমের কথা মিনাকে খুলে বলে। এমন কি তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে আগামী কালকে দেখা করিয়ে দেওয়ার জন্য বলে। আর এই কথা শোনার সাথে সাথে মিনা নিচে নেমে শুয়ে পড়ে।

আর বলে আমি উপরেও শুবোনা। আর কারো সাথে দেখাও করিয়ে দিতে পারবো না। তখন মনি তাকে রিকুয়েস্ট করতে থাকে, কিন্তু মিনা কোনো রকমেই রাজি হয় না। তারপর আমরা রাশেদকে দেখতে পাই, এক প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে এসে হাজির হয়েছে জেনির সামনে। আর জেনির অনেক মন খারাপ হয়ে যায়। কারণ তার শাশুড়ি আর ননদকে ছাড়া খেতে চাচ্ছিল না। কিন্তু সবার জন্য নিয়ে আসার জন্য রাশেদের টাকা ছিল না। তাই সবার জন্য নিয়ে আসতে পারিনি। তারপর জেনি তাকে বলে পোলাওয়ের চাল যেন নিয়ে আসে। তাহলে সে সবার জন্য তৈরি করবে। এরপর রাশেদ তার কথা মেনে নেয়, আর জেনিকে খাবারগুলো খাইয়ে দেয়। তারপর আমরা সকাল সকাল নীলাঞ্জনা চৌধুরীকে দেখতে পাই, মিনাকে ডেকে নিয়ে এসে চিৎকার করছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

আর তাকে নিয়ে সকাল সকাল হাঁটতে চলে যায়। তারা চলে যাওয়ার পর মনি তার বয়ফ্রেন্ডকে ফোন দেয়। আর তার গার্লফ্রেন্ড কে তাড়াতাড়ি করে তাদের ছাদে আসার জন্য ডাকে। তারপর আমরা জেনিকে দেখতে পাই, সকাল সকাল নামাজ পড়ে সবার জন্য দোয়া চাচ্ছে। আর তখন ওখানে রাশেদ আসে, আর তার সাথে কথা বলে। তারপর তারা দুজন মিলে বাহিরে হাঁটতে যায়। তারপরে আমরা নিলাঞ্জনা চৌধুরী আর মিনাকে দেখতে পাই হাঁটছে। আর তখনই মনির বয়ফ্রেন্ডের সাথে মিনা ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। আর তখন নীলাঞ্জনা চৌধুরী তার সাথে বিভিন্ন খারাপ ব্যবহার করে। এরপর সে তাড়াতাড়ি করে ওখান থেকে চলে যায়। আর নীলাঞ্জনা চৌধুরীও বাড়ির দিকে আবারো রওনা হয়।

তারপরে আমরা রাশেদ আর জেনিকে দেখতে পাই ছাদে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। তারপরে নীলাঞ্জনা চৌধুরীর বাসার দারোয়ানকে দেখা যায় বসে বসে গান গাচ্ছে। আর তখনই মনির বয়ফ্রেন্ড সোজা বাসায় ঢুকে যায়। আর তখন দারোয়ান তাকে দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। তারপর সে মনিকে ফোন দেয় আর সবকিছু খুলে বলে। আর দারোয়ানের সাথে মনির কথা বলিয়ে দেওয়ার পর সে ভিতরে ঢুকতে দিতে রাজি হয়। এরপর সে সোজা ছাদে চলে যায়। মনি সবকিছু তাকে বলে দেয়। এটাও বলে আজকে তাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে। এরপর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে তাকে পাঠিয়ে দেয়। আর যখন সে গেট দিয়ে বাহিরে বের হবে তখনই আবারো মিনার সাথে ধাক্কা খায়।

আর নীলাঞ্জনা চৌধুরী তাকে জিজ্ঞেস করে সবকিছু।কিন্তু সে কিছু না বলে ওখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর নীলাঞ্জনা চৌধুরী বাসায় এসে মনিকে সবকিছু জিজ্ঞেস করে। কিন্তু মনি স্বীকার করে না কোনো কিছু। আর সে দারোয়ানের দোষ দেয়। এরপর দারোয়ান উপরে আসে। আর দারোয়ান তাকে সবকিছু বলে দেয়। নীলাঞ্জনা চৌধুরী সব কিছু বুঝে মনিকে বলে দেয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে সে বিয়ে দিয়ে দিবে। আর সকাল সকাল নীলাঞ্জনা চৌধুরী এরকম করছে, এটা দেখে তার ছেলের বউ তো অনেক বেশি রেগে যায়। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

এই নাটকের সবগুলো পর্বের মতো এই পর্ব টাও অনেক সুন্দর ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে নাটকটা দেখতে। এই পর্বে আমরা দেখতে পাই মনির বয়ফ্রেন্ড যখন মনির বাসায় আসে, তখন তার মায়ের সাথে দেখা হয়ে যায়। আর এক পর্যায়ে তার মা সবকিছুই বুঝতে পারে। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেয়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মনিকে বিয়ে দিয়ে দিবে। অন্যদিকে আবার জেনি তার ছোট্ট সংসার টা নিয়ে বেশ সুখেই রয়েছে। সে চেষ্টা করছে প্রতিনিয়ত সবকিছু মানিয়ে নেওয়ার জন্য। সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়ে তার কাছে খুব ভালো লাগছে। এখন দেখা যাক মনির বিয়ে হয়ে যায় কিনা। আর জেনি ভবিষ্যতেও সুখে থাকতে পারে কিনা এই ফ্যামিলিতে। চেষ্টা করবো আমি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হওয়ার জন্য। আশা করছি আপনারা সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক