নাটক রিভিউ :- " স্কুল গ্যাং সিজন ২ " ( পর্ব ২০ )
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি নাটক রিভিউ। নাটকের নাম হচ্ছে স্কুল গ্যাং সিজন ২ । নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে । বেশি দিন ধরে আমি এই নাটকটি দেখছিলাম। যদি এটা অনেক আগেই বের হয়েছে। তবে যেহেতু এই নাটকটি বেশ কিছুটা পর্ব তৈরি করা হয়েছে, তাই জন্য ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা একটা করে পর্ব শেয়ার করবো। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নাটকের ২০ তম পর্ব টা শেয়ার করবো। আশা করি রিভিউটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | স্কুল গ্যাং সিজন ২ |
---|---|
কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা | আর্থিক সজীব। |
অভিনয়ে | শহিদুল আলম সাচ্চু, আব্দুল্লাহ রানা, তামিম খন্দকার, শায়লা সাথী, সিয়াম মৃধা , আরোহী মিম, মিরাজ খান, আদর আহমেদ , নাজিয়া বর্ষা, সাকিব সিদ্দিকি, অনন্যা ইসলাম, শোয়েব শান্ত , রকি খান, ফারুক আল ফারুকী সহ আরো অনেকে। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | মামুন অর রশিদ |
সম্পাদনা | সাইদুর রহমান সবুজ |
মিউজিক | বি এইচ পারভেজ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা মিরাজ, শান্ত আর সাকিবকে দেখতে পাই কথা বলছিল। আর তারা সবাই সাকিবের প্রেমের কথা নিয়ে গল্প করছিল। আর এভাবে তারা এই বিষয় গুলো নিয়ে দুষ্টামি করতে থাকে। রাতের বেলায় আমরা আরোহী আর হিমুকে দেখতে পাই কথা বলছে। আর হিমু আরোহীকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে তার ভিডিও নিয়ে। আর হিমু অনেক টাকা দাবি করে এটার জন্য। শুধু একবার দিলে হবে না তাকে, সব সময় দিতে হবে। এক মাস পর পর লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাকে। আর আরোহীরও কিছু করার নেই।
এরপর সকালে স্কুলে আসার পরেও আরোহী কয়েকজনকে হিমুর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে। কিন্তু হিমু স্কুলে আসেনি। আর শান্ত, সাকিব, সাথী, নাজিয়া ওরাও বিষয়টা খেয়াল করে। কারণ ও একটু শান্ত এবং মন খারাপ করে রয়েছে। মিরাজ যখন ক্লাসে ঢুকছিল মিরাজকেও হিমুর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে, এমনকি হিমুর বাড়ি কোথায় চিনে কিনা এগুলো ও জিজ্ঞেস করে। তারপর আরোহী চুপচাপ হয়ে বেঞ্চে বসে, আর ওরা এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে থাকে। তারপর আমরা হেড স্যারের রুমে দেখতে পাই, একটা মাস্তান ছেলে এসে ওনাকে বিভিন্ন কথা বলছে থ্রেট ও দিয়েছে।
একসময় ওই মাস্তান ছেলেটাও ছিল এই স্কুলের ছাত্র। আর তারা যখন কথা বলছিল তখন ওখানে আদর স্যার আসে। আসলে ওই ছেলেটা আর আদর স্যার ক্লাসমেট ছিল। আর ওই কথাগুলো ও বলছিল। স্যার যখন তার স্কুলে আসার কারণ জিজ্ঞেস করে, তখন সে স্যারকে আরো বিভিন্ন রকম কথা বলতে থাকে। আসলে ওই মস্তান ছেলেটার নাম হচ্ছে আশিক। আর ও চলে যাওয়ার পর আদর স্যার এগুলোর বিষয়ে কথা বলছিল। অন্যদিকে হেড স্যার ও চাকরি থেকে রিজাইন দেওয়ার কথা বলছে। কারণ সবকিছুর মাঝেই এগুলো রয়েছে।
তারপর আমরা ক্লাসরুমে ওদের সব বন্ধুকে দেখতে পাই আরোহীর বিষয়ে কথা বলছিল। তারপর সবাই সাথী কে পাঠায় বিষয়টা জানার জন্য। কিন্তু আরোহী তাকে কিছুই বলে না। আর সাথীও তার জায়গায় ফিরে আসে। এরপর আমরা আদর স্যার আর স্কুলের আরো একটা স্যারকে দেখতে পাই, হেড স্যারের রিজাইনের বিষয়েই কথা বলছিল। তারপরে ওখানে ফারুক ও আসে আর বিষয়টা জিজ্ঞেস করে আদর স্যার কে। আর তারও অনেক কষ্ট হয়। এমন কি বলে আরোহীকে দরকার হলে স্কুল ক্যাপ্টেন বানিয়ে দিক। তবুও যেন স্যার না যায়।
তারপরে আমরা স্কুলের একটা স্যারকে দেখি ক্লাসরুমে আসে। আর স্যার ক্লাস করাতে চায়না কারণ উনার অনেক মন খারাপ। স্যার যখন ক্লাসরুমে এসে কথাটা বলে, তখন ওরা ৫ বন্ধু মিলে অফিস রুমে চলে যায়। তারপর সাথী হেড স্যারকে অর্থাৎ তার বাবাকে বিষয়টা জিজ্ঞেস করে। তারা হেড স্যারকে কোনরকমে ছাড়তে চায় না। অনেকভাবে অনুরোধ করতে থাকে যেন না যায়। আর তারা সবাইও বলে যেন আরোহীকে স্কুল ক্যাপ্টেন বানিয়ে দেয়। আর সবার অনুরোধে হেড স্যার রাজি হয়ে যায় আরোহী কে স্কুল ক্যাপ্টেন বানাতে। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকটার সবগুলো পর্ব অনেক সুন্দর। আমার কাছে তো প্রতিটা পর্বের মতো আজকের পর্বটাও অনেক ভালো লেগেছে। এই পর্বে আমরা দেখতে পেয়েছি, আরোহী তার ভিডিওর বিষয়টা নিয়ে অনেক বেশি চিন্তায় রয়েছে। কারণ ওই দিন স্কুলে হিমু আসেনি আর তার আরো বেশি টেনশন হচ্ছিল। ওদিকে আবার হিমু অনেক টাকা চাচ্ছে এটার জন্য। মাসে মাসে নাকি তাকে এক লক্ষ করে টাকা দিতে হবে। আর প্রথম বার দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। এদিকে আরোহী এই বিষয়টা কাউকে বলতেও পারছে না। সাথী যদিও তাকে জিজ্ঞেস করেছে। এখন সবাই হেড স্যারের রিজাইনের কথা শুনে স্যার কে বলে দিয়েছে যেন আরোহীকে স্কুল ক্যাপ্টেন বানিয়ে দেয়। আর হেড স্যার ও শেষ পর্যন্ত তাদের কথা মেনে নেয়। এখন দেখা পরবর্তী পর্বে কি হয়। আমি চেষ্টা করবো খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/NARocky4/status/1902229721796252027?t=8KG4Wt1T71CEY49Avx2baA&s=19
এই নাটকের প্রতিটা পর্বের রিভিউ তুমি অনেক সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছ। এটা আমার কাছে সত্যি অনেক ভালো লাগে। হেড স্যার তাহলে শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছে রিজাইন না নেওয়ার বিষয়টা। আশা করি আগামী পর্বে দেখতে পাবো আরোহীকে স্কুল ক্যাপ্টেন হিসেবে। কারণ সবাই যেহেতু জোর করছে স্যার অবশ্যই মেনে নেবে। আর তার ভিডিওর ব্যাপারে কি হয় এগুলো দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
স্কুল গ্যাং সিজন ২ নাটকটি আমি নিজেও দেখেছিলাম। আজকে আবারো আপনার ২০ তম পর্ব দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে নাটক রিভিউ গুলো অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেন আপনারা। যেগুলো আমার কাছে দুর্দান্ত লাগে। আজকে আবারো এই নাটক রিভিউটি আমাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ধন্যবাদ।
স্কুল গ্যাং সিজন টু নাটকের আজকে আপনি ২০ তম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। স্কুল গ্যাং নাটকের সবার অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে শর্ট ভিডিওতে এই নাটক গুলো দেখা হয়। আজকে আপনার রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।