নাটক রিভিউ :- " স্কুল গ্যাং সিজন ২ " ( পর্ব ১৯ )
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি নাটক রিভিউ। নাটকের নাম হচ্ছে স্কুল গ্যাং সিজন ২ । নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে । বেশি দিন ধরে আমি এই নাটকটি দেখছিলাম। যদি এটা অনেক আগেই বের হয়েছে। তবে যেহেতু এই নাটকটি বেশ কিছুটা পর্ব তৈরি করা হয়েছে, তাই জন্য ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা একটা করে পর্ব শেয়ার করবো। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নাটকের ১৯ তম পর্ব টা শেয়ার করবো। আশা করি রিভিউটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | স্কুল গ্যাং সিজন ২ |
---|---|
কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা | আর্থিক সজীব। |
অভিনয়ে | শহিদুল আলম সাচ্চু, আব্দুল্লাহ রানা, তামিম খন্দকার, শায়লা সাথী, সিয়াম মৃধা , আরোহী মিম, মিরাজ খান, আদর আহমেদ , নাজিয়া বর্ষা, সাকিব সিদ্দিকি, অনন্যা ইসলাম, শোয়েব শান্ত , রকি খান, ফারুক আল ফারুকী সহ আরো অনেকে। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | মামুন অর রশিদ |
সম্পাদনা | সাইদুর রহমান সবুজ |
মিউজিক | বি এইচ পারভেজ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতে আমরা হিমুকে দেখি আরোহীর সাথে এসে কথা বলছে। এভাবে তারা অনেকক্ষণ কথা বলে। তারপর আরোহী যখন ওয়াশরুমে চলে যায়, তখন হিমু পেছনের দিকের জানালা দিয়ে আরোহীর গোপন ভিডিও করে নেয়। তারপরে আমরা শান্তকে দেখতে পাই সাথী, নাজিয়া, সাকিব, মিরাজ ওদের কাছে এসে বলছে আরোহীর বাবা নাকি স্কুলে আসছে। আর তারা যখন এসব কিছু নিয়ে কথা বলছিল, তখনি আরোহী ওয়াশরুম থেকে বের হয়। আর তাদেরকে তার বাবার সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে।
তখন মিরাজ তার কাছে গিয়ে তাকে বুঝাতে থাকে। কিন্তু আরোহী কোনো রকমেই কিছু বুঝে না, বরং থ্রেট দিতে থাকে বিভিন্নভাবে। তারপর আমরা অফিস রুমে দেখতে পাই আরোহীর বাবা এসে বিভিন্ন ঝামেলা করছে হেড স্যারের সাথে। আর হেড স্যার উনাকে বোঝানোর জন্য চেষ্টা করলেও তিনি বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। আর তিনি হেড স্যারকে বলেন যেন আরোহীকে স্কুল হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়। কিন্তু হেড স্যার শান্তি সুষ্ঠুভাবে স্কুল ক্যাপ্টেন নির্বাচনের কথা বললে তিনি আরো বেশি রেগে যান। তবুও হেড স্যার শান্তভাবে ওনাকে বুঝাতে থাকেন।
এক পর্যায়ে তিনি রেগে গিয়ে ওনাকে থ্রেট দিয়ে ওখান থেকে চলে যান। তারপর ক্লাস রুমে আদর স্যার কে দেখা যায় মন খারাপ করে বসে রয়েছে। আর ওদেরকে তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেয় কারণ স্যারের কাছের ভালো লাগছিল না। এরপর তামিমকে দেখা যায় তার বন্ধুর সাথে। আর সে তখন সাথীকে কল দিয়ে কথা বলতে থাকে। আর সাথী তখন স্কুলের বিষয়টা তামিমকে বলে। আর তামিম ও বলে তার বাবাকে সে অনেক বুঝিয়েছে এটার জন্য। আর তখন সাথীকে তার সাথে দেখা করার জন্য বলে কল কেটে দেয়। আর সাথী ও রাজি হয়ে যায়।
ওইদিকে আবার খায়রুল স্যার সিয়ামের বাবার কাছে এসে হেড স্যারের সম্পর্কে খারাপ খারাপ কথা বলতে থাকে। আর ওনাকে এটাও বলেন যেন তাকে হেড স্যার বানিয়ে দেয়া হয়। এরপর তিনি বিভিন্ন কথা বলে ওনাকে পাঠিয়ে দেন। অন্যদিকে আবার সাথী এবং তামিম দেখা করে। আর তামিম তাকে বিভিন্ন কথা বলে নাটক করতে থাকে। আর এক পর্যায়ে মিথ্যা নাটক করে তামিম সাথীকে প্রপোজ করে। আর তামিম তাকে জানিয়ে দেয় যেন তার ফ্রেন্ডদের সামনেই সে নিজের আনসার টা জানায়। আসলে সে সাথীকে অপমান করার চিন্তা করেই এসব কিছু করছে।
এভাবে তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়, আর সাথী অনেক খুশি মনে ওখান থেকে চলে যায়। অন্যদিকে আবার হিমু আরোহী কে কল দিয়ে কথা বলতে থাকে। আরোহী যখন কল কেটে যায়, তখন হিমু আবারো তাকে কল দেয়। আর তাকে তার ভিডিওর কথা বলে দেয়। আর হিমু তো তাকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। অন্যদিকে আবার রাত 9 টায় তার সাথে দেখা করার জন্য বলে তাও আবার একা। আর এজন্য আরোহী অনেক বেশি ভয় পেয়ে যায়। তারপর হিমু তার ভিডিও গুলো আরোহীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
সবগুলো পর্বের মতো এই পর্বটাও অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এটি দেখতে। তামিল নিজের প্ল্যান মত বেশ ভালোই কাজ চালাচ্ছে এখন। সে সাথীকে প্রপোজ করেছে, আর তার উত্তর সাথীর বন্ধুদের সামনে থেকেই নেওয়ার কথা বলেছে। অন্যদিকে আবার আরোহীর বাবা স্কুলে এসে হেড স্যারকে বিভিন্নভাবে থ্রেট দিয়ে চলে গিয়েছে। কিন্তু আরোহী আরেকটা জায়গায় ফেঁসে গিয়েছে। হিমু আসলে আরোহীর গোপন একটা ভিডিও করে নিয়েছে। এখন ওইটার জন্যই সে আরোহীকে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেছে। এখন দেখা যাক আরোহী স্কুল ক্যাপ্টেন হয় কিনা?? আর তার এই গোপন ভিডিও নিয়ে কি হতে চলেছে। আমি চেষ্টা করব খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনারা সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
https://x.com/NARocky4/status/1899459978278392290?t=BSh261AsAPpRhXk1-nDn-g&s=19
দেখতে দেখতে স্কুল গ্যাং সিজন ২ নাটকের ১৯ পর্বে এসে গেছেন এবং খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ টি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যদিও ১৮ নং পর্ব পড়েছিলাম তবে ১৯ পর্ব বেশ জমে উঠেছে। এ ধরনের নাটক দেখতে ভালই লাগে। যাইহোক আগামী পর্বের অপেক্ষায় আছি ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আগামী পর্ব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আগামী পর্বগুলো আরো বেশি সুন্দর হতে চলেছে।
ভাইয়া আপনি আজকে স্কুল গ্যাং নাটকের দ্বিতীয় পর্ব 19 তম এপিসোড শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। স্কুল গ্যাং নাটকটি আমি দেখেছি তবে এভাবে পর্ব করে দেখা হয়নি এমনি এমনি দেখেছি। আপনি আজকে খুবই সুন্দর করে দ্বিতীয় পর্বটি রিভিউ করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
দ্বিতীয় সিজন এর ১৯ তম পর্ব শেয়ার করেছি। এটা দেখে আপনার ভালো লাগলো শুনে খুশি হলাম।
এই নাটকের কাহিনী আস্তে আস্তে আরো বেশি ইন্টারেস্টিং হচ্ছে। আরোহী তো দেখছি এখন গভীর ভাবেই ফেঁসে যাবে হিমুর জালে। অন্যদিকে আবার সে স্কুল ক্যাপ্টেন হওয়ার জন্য বাড়াবাড়ি করছে। দেখা যাক এখন পরবর্তীতে কি হবে। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের রিভিউটা পড়ার জন্য।
হ্যাঁ এখন দেখা যাক আরোহীর কি হতে চলেছে। চেষ্টা করবো তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব টা নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য।