নাটক রিভিউঃ- " সন্ধিক্ষণ "
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে একটি নাটক শেয়ার করার জন্য। নাটকটি আজকেই দেখলাম। নাটকটির নাম হচ্ছে সন্ধিক্ষণ। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
নাম | সন্ধিক্ষণ। |
---|---|
চিত্রনাট্য, পরিচালনা | মোঃ মোস্তফা কামাল রাজ। |
গল্প | মেহজাবীন চৌধুরী। |
এসিসট্যন্ট প্রযোজক | মোঃ ওমর ফারুক এবং মেহেদী হাসান। |
অভিনয়ে | জোভান, মালাইকা চৌধুরী,ডিকন নূর, মিলি বাসার, সোহাগ আলম, জি এম মাসুদ, জফিনা সোয়াইবা, সোহাগ তালুকদার সহ আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | আরফীন রুমি, পল্লবী রায়। |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট ২২ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ২৭ই ডিসেম্বর , ২০২৪ ইং |
ধরন | রোমান্টিক, সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
রিফাতঃ
ফারহান আহমেদ জোভান।ইরাঃ
মালাইকা চৌধুরী।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, ইরা রিকশা করে কোথায় যেন যাচ্ছে। হঠাৎ ই বাসে দেখতে পায় রিফাতকে! ইরা তাড়াহুড়ো করে বাইকে করে রিফাতের পিছু নেই! রিফাত যে অফিসে জব করে সে অফিসে চলে যায়। রিফাত বাস থেকে নেমে সোজা অফিসের ভিতরে চলে যায়। ইরা রিফাতের পিছু নিয়ে অফিসের ভিতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু গেইটে দাড়োয়ান দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি। তারপর ইরা গেইটের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকে! রিফাত যখন বের হবে তখনই তার সাথে দেখা করবে। রিফাত অফিস শেষ করে বের হতেই ইরা রিফাতকে সালাম দেয়। ইরা পরিচয় দেয় যে সে তার স্টুডেন্ট ছিল। কিন্তু রিফাত তাকে চিনেও না চেনার ভান করে!
ঠিক দু বছর আগে! রিফাত টিউশন করাতে যেত ইরাদের বাসায়। ইরার বাবার স্বপ্ন ইরা ঢাকা ভার্সিটিতে পড়াশোনা করুক। ঢাকা ভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে করতে হলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়। ইরার বাবা চেয়েছিল ইরা যেন প্রথমবারেই ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স পাক। রিফাত গ্র্যাডুয়েশন শেষ করেছে দুবছর শেষ হলো। এখন টিউশন করানোর চেষ্টা করছে। রিফাত যেদিন থেকে ইরাকে পড়াতে শুরু করে সেদিন থেকেই ইরা শুধু না পড়ার অযুহাত দেয়। একদিন পড়তে বললে আরেকদিন পড়তে বলে না। ইরার মা ইরাকে যখন জিজ্ঞেস করে এতো তাড়াতাড়ি পড়া শেষ। ইরা তখন তার মাকে স্যারের নামে মিথ্যা বলতো। আরেকদিন ইরাকে পড়াতে চায় সে ছাদে গিয়ে সবুজ প্রকৃতির ভিতরে পড়াশোনা করবে। কিন্তু একটু পরেই বলে আজ পড়বে না। এই বলে রিফাতকে বিদায় দেয়। রিফাতের নামে আবারো মিথ্যা বলে তার মায়ের কাছে।
আরেকদিন যখন রিফাত পড়াতে আসে ঠিক তখন গেইটের সামনে ইরা দাঁড়িয়ে ছিল। ঠিক তখন ইরা বলে আজ সে বাসার ভিতরে পড়াশোনা করবে না। আজ সে পার্কে গিয়ে পড়াশোনা করবে! রিফাতের বন্ধু অবশ্য তাকে বুদ্ধি দিয়েছিল। পড়তে না চাওয়ার কারণ হলো সে তার মানসিকতার সাথে এখনও মিলতে পারেনি। তারপর ইরার কথা মতো পার্কে যায়। সেখানে গিয়ে পড়াতে বলে ইরাকে। কিন্তু বই ছাড়া আর কি পড়ালেখা হয়। তারপর ইরা কিছুক্ষণ গল্প করে বাসায় চলে আসে। তার পরেরদিন যখন রিফাত ইরাদের বাসায় আসে ঠিক তখনই হট্রগোল লেগে যায়! কারণ ইরা তার মাকে এসে বলেছিল যে তার স্যারের সাথে পার্কে গিয়েছিল এবং তার স্যার তাকে প্রপোজ করেছে! এটা শোনার পর রিফাতকে যাচ্ছেতাই অপমান করে ইরার বাবা মা! তারপর ইরাদের বাসা ছেড়ে চলে যায় রিফাত!
ইরা এমনটা করেছিল কারণ চিটাগাং ভার্সিটিতে পড়তো একটা ছেলের সাথে নিয়মিত কথা হতো ইরার। ছেলেটাকে ভালোবাসতো ইরা। কিন্তু যেদিন গিয়ে দেখে যে ছেলেটা আরেকটা মেয়ের সাথে রিলেশন করছে তখন অবাক হয়ে যায় ইরা! তারপর ইরার নিজের প্রতি অনেক ঘৃণা কাজ করে! শুধু শুধু রিফাত স্যারের নামে মিথ্যে বলেছে সে। তারপর টিউটর হেল্পলাইনে গিয়ে খোজঁ নেয় ইরা। তাদেরকে বলে যে রিফাত স্যারের কোনো দোষ ছিল না। ইরা নিজের প্রতি ঘৃণা কাজ করতে থাকে। রিফাত স্যারের সাথে দেখা করার ইচ্ছে থাকলেও রিফাত স্যারের ফোন বন্ধ ছিল। ইরা তখন ঢাকা ভার্সিটির জন্য ভালো করে প্রিপারেশন নেয়। তারপর ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স ও পায়।
আজ দু বছর পর রিফাত স্যারকে দেখতে পেয়েছে ইরা। ইরা শুধু রিফাত স্যারে সরি বলতে চাই! সে জানে রিফাত স্যার তাকে চিনেও না চেনার ভান করছে। ইরা অফিসে যায়। গেইটে দাড়োয়ানকে বলতে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয় না। ঠিক তখন রিফাতের বস অফিসে প্রবেশের সময় দেখতে পায় ইরা দাঁড়িয়ে আছে। কার সাথে দেখা করবে জানতে চাইলে তখন বলে যে রিফাতের সাথে দেখা করবে ঠিক তখন অফিসের বস বুঝতে পারে যে ইরা হয়তো তার ওয়াইফ! তখন অফিসে গিয়ে রিফাতকে বলে যে তার ওয়াইফ দাঁড়িয়ে আছে নিচে। কিন্তু রিফাত ভ্যাবাচেকা খেয়ে বসে কারণ সে তো বিয়েই করেনি! জোর করে নিচে পাঠায়। রিফাত ইরাকে দেখে রেগে আগুন! কেন সে আবার জীবনটাকে হেল করতে এসেছে? তারপর রিফাত চলে আসে। কিন্তু রিফাত ইরাকে মিস করতে তাকে। তার সাথে এমন ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। তারপর ইরা রিফাতকে চিঠি দেয়। কেন তার সাথে এমন করেছিল সব বলে। রিফাত বুঝতে পারে এবং দুজনের ভালোবাসার পূর্ণতা পায়।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমারকাছে ভালো লেগেছে। নাটকে অভিষেক ঘটেছে মালাইকা চৌধুরী যে কি না মেহজাবীনের বোন। আমার কাছে অবিকল মেহজাবীনের মতোই মনে হয়েছিল। একদম সাবলীল অভিনয়! সমাজে টিউটররা আসলে এমন হেনস্থার শিকার হয়। তারা মুখ ফুটে বলতে পারে না যে তাদের দোষ ছিল। নাটকটিতে এ বিষয়টি স্পষ্ট! জোভান দারুন অভিনয় করেছে। সবমিলিয়ে নাটকটি দেখার মতো ছিল।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Twitter share
Puss tweet
বাহ্ অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপনি ভাইয়া। নাটকটা এখন পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি। আপনার এত সুন্দরভাবে নাটক রিভিউ দেখে দেখার ইচ্ছা বেড়ে গেল। সুন্দর এই নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
নাটকটি দেখলে আশা করছি উপভোগ করতে পারবেন।
নাটক আমার ফেভারিট বিনোদন। সুযোগ পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করে থাকি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে নাটক রিভিউ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো আমার। বেশ চমৎকার ছিল আপনার রিভিউ করা নাটকটা। এত সুন্দর ভাবে নাটক রিভিউ করে দেখানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাটকটি দেখলে আশা করছি উপভোগ করতে পারবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর একটি নাটক আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। নাটক আমি কমবেশি দেখে থাকি তবে এই নাটকটি এখনো চোখে পড়েনি। নাটকের কোন স্কিপ এখনো দেখা হয়নি। তবে রিভিউ করে বেশ ভালো লাগলো। সুন্দর একটি নাটক আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
নাটকটি গতকালই ইউটিউব এ রিলিজ হয়েছিল। আশা করছি দেখলে উপভোগ করতে পারবেন।
আমি সবসময় চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ পড়ার জন্য। সংক্ষেপে রিভিউর মাধ্যমে সন্ধিক্ষণ নাটকের কাহিনীটা জানতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই সময় পেলে নাটক দেখি। এরকম নাটক গুলো আমার অনেক বেশি দেখা হয়। সন্ধিক্ষণ নাটকটার শর্ট ভিডিও দেখেছিলাম। আর তখন ভেবেছিলাম নাটকটা সম্পূর্ণ দেখবো। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে এখনো দেখা হয়নি। এখন রিভিউ পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
নাটকটি দেখতে পারেন, আশা করছি ভালো লাগবে।
আজকে দেখছি আপনি আমাদের মাঝে চমৎকার একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি লাইভ দেখতেছি। নাটক রিভিউটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে সন্ধিক্ষণ নাটকটি দেখা হয় নি। সময় করে অবশ্যই দেখে নিব। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
মেহজাবিন চৌধুরী কে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তার নাটকগুলো আমি তো বেশিরভাগ সময় দেখে থাকি। জোভান কেও অনেক ভালো লাগে। তারা দুজনেই তাদের নাটকে অনেক সুন্দর অভিনয় করে। এই নাটকটা অনেক সুন্দর ছিল। আর আমার কাছে নাটকের কাহিনীটাও অনেক ভালো লেগেছে।
আশা করছি আপনার কাছে নাটকটি ভালো লাগবে আপু 🌸