বাচ্চাদের তৈরি স্নো ফ্লেক্স
সবাই কেমন আছেন ?আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি বাচ্চাদের তৈরি করা কতগুলো স্নো ফ্লেক্স নিয়ে। এখন বাচ্চাদের স্কুল হলিডে চলছে। কোন কাজকর্ম নেই, সারাদিন ঘরে বসে থাকে। শুধু টিভি দেখা, ট্যাব আর মোবাইল নিয়ে পরে থাকে। এর আগে আপনাদের বলেছিলাম ছোট মেয়ে তার স্কুলে স্নো ফেলেক্স বানাতে গিয়ে পারেনি, তাই তার মনটা খুব খারাপ ছিল। কয়দিন ধরে আমাকে বলছিল, কিন্তু আমার সময় হচ্ছিল না।তাই আজ বড় মেয়েকে বললাম ছোট মেয়েকে সাহায্য করার জন্য। আমি তাদের একটুও সাহায্য করিনি। শুধু পাশে বসে বসে দেখছিলাম, আর ফটোগুলো নিচ্ছিলাম। প্রায় তিন-চারটি স্লো ফ্লেক্স তারা বানিয়েছে। আমি শুধু একটির তৈরি করা পদ্ধতিগুলো আপনাদের দেখাব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
স্লো ফ্লেক্স তৈরি করতে যা যা লাগবে
- একটি সাদা পেপার
- ১টি পেন্সিল
- একটি রাবার
নিম্নে একটি স্লো ফ্লেক্স তৈরির কার্য পদ্ধতি গুলো দেখানো হলোঃ
প্রথমেই কাগজটি এভাবে ভাঁজ করে নিয়েছে।
এরপর বাড়তি অংশটুকু কেটে ফেলে এভাবে কোনাকৃতি করে ভাঁজ করে নিয়েছে।
এরপর মাঝ বরাবর এভাবে ভাঁজ করে নিয়েছে। এরপর উল্টো দিক থেকেও ঠিক একইভাবে ভাঁজ করে নিয়েছে।
এরপর মাঝ বরাবর এভাবে ভাঁজ করে গোল করে কেটে নিয়েছে।
এরপর পেন্সিল দিয়ে ড্র করে এভাবে কেটে নিয়েছে।
এরপর ভাঁজ খুলে নিয়েছে। হয়ে গেল বড় মেয়ের তৈরি স্নো ফ্লেক্স।
এটি ছোট মেয়ে তৈরি করেছে বড় মেয়ের সাহায্যে।
এরপর ছোট মেয়ে কালার করেছে।
তাদের তৈরি বাকি স্লো ফ্লেক্সগুলো।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR

ছোটদের স্নো ফ্লেক্স আর আমাদের জন্য কাগজের তৈরি ফুল একই জিনিস।কিন্তু ছোটদের ক্ষেত্রে এটা কিছুটা কঠিন কাজ।কারণ কাগজ বরাবর মাপে কাটতে হয়। আর এদিক সেদিক কাটা গেলেই পুরো ডিজাইন শেষ।তবে হলিডেতে বসে বসে মোবাইল বা টিভি দেখা থেকে ভালো হবে এসব কাজ করা।দুই বোন মিলে একসাথে খেলা করলেও আনন্দ পাবে।
হ্যাঁ এর আগে একটি পোস্টে এই কথাগুলো উল্লেখ করেছিলেন যে ছোট মেয়ে স্কুলে স্নো ফেলেক্স বানাতে গিয়ে পারেনি। তবে আজকে সেটা করে দেখিয়েছে আর আপনি শুধু পাশে বসে পর্যায়ক্রমে ছবি তুলেছেন। তাদের দুইজনের জন্যই শুভকামনা রইলো।
আপনার বড় মেয়ের হাতের কাজও মুগ্ধ করার মত। ছোট মেয়ে নিশ্চয়ই তার বোনের কাছ থেকে শিখতে পেরেছে। স্নো ফ্লেক্স খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছে আপনার বড় মেয়ে। আর আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন।
হুম, এটা ঠিক বাচ্চারা কিছু না পারলে সেই বিষয় নিয়ে তাদের বেশ মন খারাপ থাকে ছোট বেলায় আমারও থাকতো স্কুলে কিছু না পারলে। তবে আমি বেশীর ভাগ সময়ই স্কুল হতে পুরস্কার নিয়ে বাড়িতে ফিরেছি। না বেশ সুন্দর হয়েছে ডিজাইনগুলো।
স্কুলে টিচার শিখিয়ে দিয়েছিল কিভাবে বানাতে হয়। কিন্তু সে বানাতে গিয়ে একটু ভুল করে ফেলেছে তাই আর বানাতে পারেনি॥ এ কারণেই তার মনটা খুব খারাপ ছিল। আর আপনার কথা কি বলবো? আপনি তো অলটাইম সুপারস্টার।
স্নো ফ্লেক্স গুলো সত্যি দারুন হয়েছে আপু। যেহেতু স্কুল বন্ধ তাই তারা দুজনে মিলে বেশ সুন্দর করে স্নো ফ্লেক্স তৈরি করেছে। আসলে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ নিয়ে সময় কাটানোর চেয়ে যদি নিজে কিছু তৈরি করে তাহলে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়ে যায়। মামনিদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা এবং ভালোবাসা রইলো আপু। ♥️♥️♥️
স্কুল বন্ধ থাকলে আমার কাছে একদম ভালো লাগতো না কারণ তখন সময় যেন শেষই হতো না। বাচ্চা মানুষ তো তাই স্কুলে স্নো ফ্লেক্স বানাতে গিয়ে পারেনি বলে তার খুব মন খারাপ হয়েছে। যাই হোক বড় বোন তার ছোট বোনকে খুব সুন্দর পদ্ধতি শিখিয়ে দিল। আপনার বড় মেয়ে খুবই সুন্দর কিছু স্নো ফ্লেক্স বানিয়েছে। প্রতিটা ডিজাইন আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ছোট মেয়ে আবার একটির মধ্যে কালারও করেছে। এই কাজ করতে গিয়ে নিশ্চয়ই তারা দু'জন খুব আনন্দ পেয়েছে। ধন্যবাদ আপু মেয়েদের এত সুন্দর স্নো ফ্লেক্স শেয়ার করার জন্য।
স্কুল বন্ধ আর সেই সুযোগে তো বাচ্চারা একটু অনিয়ম করবেই। তবুও ভালো যে তারা কিছু একটি জিনিস বানিয়েছে। আমার কাছে কিন্তু কাগজ দিয়ে বানানো বাচ্চাদের স্লো ফ্লেক্স গুলো অনেক ভালো লেগেছে। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে।ধন্যবাদ আপু বাচ্চাদের এত সুন্দর ক্রেয়েটিভিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাহ্! আপু আপনার দুই মেয়ে তো দেখছি এখন থেকেই বেশ ক্রিয়েটিভ। বড় মেয়ের এবং ছোট মেয়ের স্নো ফ্লেক্স গুলো চমৎকার লাগছে দেখতে। আপনার ছোট মেয়ে তো স্নো ফ্লেক্স খুব সুন্দর ভাবে কালার করেছে দেখছি। ছুটির দিন গুলো তারা বেশ ভালোভাবেই পার করছে। তাদের দু'জনের জন্য মন থেকে দোয়া রইল। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে কোন কিছু তৈরি করতে গেলে যদি না তৈরি করা যায়, তখন মনটাতো খারাপ হবেই। যাইহোক আপনার বড় মেয়ের সহায়তায় আপনার ছোট মেয়ে সহ খুব সুন্দর কিছু স্নো ফ্লেক্স তৈরি করেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাচ্চাদের স্কুল ছুটি মানেই সারাদিন বাসায় বসে মোবাইলের ট্যাব দেখা। তারপরও তো ওরা মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অ্যাক্টিভিটিস করে। বড় মেয়ে কিন্তু খুব সুন্দর সুন্দর স্নো ফ্লেক্স বানানোর শিখিয়েছে ছোট জনকে। খুব চমৎকার হয়েছে স্নো ফ্লেক্সগুলো। বিভিন্ন ডিজাইনের জন্য দেখতে ভালো লাগছে। তাছাড়া কালার করার কারণে আরো বেশি সুন্দর লাগছে।