ডাই— কাগজের চশমা তৈরী।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আজকের নতুন ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ডাই পোস্ট শেয়ার করব। আজকে আমি রঙিন কাগজ এবং সাদা কাগজ মিলিয়ে একটি কিউট চশমা তৈরি করেছি।এই ধরনের অরিগ্যামি গুলো তৈরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। রঙিন কাগজ দিয়ে কোন কিছু পারফেক্ট ভাবে তৈরি করলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আজ কাগজ দিয়ে যে চশমাটা তৈরি করেছি এটা ছোট বাচ্চারা পেলে অনেক বেশি খুশি হবে। আশা করি, আজকের এই রঙিন কাগজ দিয়ে চশমা তৈরীর অরিগ্যামি পোস্টটি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
তাহলে চলুন, রঙিন কাগজের এই চশমাটি আমি কি কি উপকরণ এবং কিভাবে প্রস্তুত করলাম সেগুলো ধাপে ধাপে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
• সাদা এবং আকাশী কালারের পেপার
• কেঁচি
• পেন্সিল
• কম্পাস
• কলম
• গাম
প্রথমে একটি সাদা কাগজ নিয়ে নিয়েছি। এখন এই সাদা কাগজটির ওপর কম্পাস এবং পেন্সিলের সাহায্যে চশমার ফ্রেমের মত করে আঁকিয়ে নিব।
![]() | ![]() |
---|
কাগজটির উপর চশমার ফ্রেম যেভাবে আঁকিয়েছি সেই অনুযায়ী একটি কেঁচির সাহায্যে সাবধানে কাটিং করে নিব।
এই পর্যায়ে দুই টুকরা সাদা এবং দুই টুকরা আকাশী কালারের কাগজ নিয়ে নিব।এই কাগজগুলো খরগোশের কানের মত করে কাটিং করে নেব।
![]() | ![]() |
---|
আকাশী কালারের কাগজ দুইটা ছোট হবে এবং সাদা কালারের কাগজ দুইটা একটু বড় হবে সইজে। এখন আকাশী কালারের কাগজ সাদা কালারের কাগজের উপর আঠা দিয়ে আটকে নিব।
![]() | ![]() |
---|
আবারো আকাশী কালারের কাগজ নিয়ে নিবো এবং এটি কম্পাসের সাহায্যে রাউন্ড শেপ অনুযায়ী চিকন করে কেটে নিব।
![]() | ![]() |
---|
এখন চশমার যে অংশগুলো কানের সাথে বাঁধিয়ে রাখতে হয় সেই অংশগুলো সুন্দর করে তৈরি করে নিব।
![]() | ![]() |
---|
সকল কিছু তৈরি করা কমপ্লিট এখন শুধু আঠা দিয়ে জোড়া লাগানোর পালা।
সর্বপ্রথম চশমার ফ্রেম এর উপরে খরগোশের কানের ন্যায় যেগুলো বানিয়ে রেখেছিলাম ওইগুলো আঠার সাহায্যে লাগিয়ে নিব। তারপর চশমার ফ্রেমের সাইডে চিকুন লম্বা অংশটি আঠা দিয়ে আটকে নেব।
![]() | ![]() |
---|
এটাই আমার আজকের তৈরি চশমার ফাইনাল লুক।
আজকের এই অরিগ্যামি পোস্টটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য গুলো আমাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করে। আজ আর বেশি কিছু লিখছি না। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

চমৎকার সুন্দর বানিয়েছেন আপু কাগজের তৈরি চশমাটি।ভীষণ সুন্দর হয়েছে চশমাটি।দেখে মনে হচ্ছে সত্যিকারের চশমা।ধাপে ধাপে কাগজ কেটে কেটে চশমা তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাগজের চশমা বানিয়ে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
রঙিন কাগজের তৈরি এই চশমাটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এবং এভাবে অনুপ্রেরণিত দিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই এরকম চশমা গুলো ছোট বাচ্চারা পেলে কিন্তু অনেক বেশি খুশি হবে। আসলে ছোটরা এই ধরনের জিনিসগুলো দিয়ে অনেক মজা করে। কাগজ দিয়ে সত্যিই পারফেক্ট ভাবে যদি অরিগ্যমি গুলো তৈরি করা যায় তাহলে অনেক বেশি সুন্দর দেখায়। আমি নিজেও সব সময় রং কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করতে পছন্দ করি।
জ্বী আপু,, আপনার তৈরি জিনিস গুলো মাঝে মাঝে দেখা হয়। অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।
বাহ্ দারুন তো। কাগজ দিয়ে যদি এমন করে চশমা বানানো যায় তাহলে আর কি দরকার টাকা খরচ করে চশমা কিনার? খুব সুন্দর করে চশমাটি বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট করে শেয়ার করার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি চশমা সম্পর্কে আপনার থেকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
কাগজ দিয়ে তো দেখি আপনি খুব চমৎকার একটি চশমা বানিয়ে ফেলেছেন। আমার কাছে কাগজের তৈরি চশমা অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমি নিজেও প্রতিনিয়ত চশমা ব্যবহার করি। কিন্তু এই ডিজাইনটি অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপু।
তাহলে এই ডিজাইনের একটি চশমা তৈরি করে রেগুলার ব্যবহার করবেন ভাইয়া 🤓
বেশ দারুণ হয়েছে আপনার তৈরি কাগজের চশমা। আপনার আজকের এই চশমা তৈরি করা দেখে যেন ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ল আপু। ছোটবেলায় আমরা এভাবে পাতা দিয়ে চশমা তৈরি করতাম, নারিকেলের কথা দিয়ে।
আমরাও ছোটবেলায় নারকেল পাতা দিয়ে বিভিন্ন রকম ভাবে চশমা তৈরি করতাম অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কাগজ দিয়ে তৈরি করা চশমা অসাধারণ হয়েছে আপু। এত সুন্দর করে আপনি চশমা তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এই ধরনের কাজগুলো করতে সত্যি অনেকটা সময় লাগে। আর অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ছোটবেলা খেজুরের পাতা দিয়ে চশমা তৈরি করতাম। সেটা চোখেও দিতাম। সেগুলো এখন শুধুই স্মৃতির পাতায়। বেশ চমৎকার লাগছে আপু আপনার তৈরি চশমা টা। কাগজ দিয়ে চশমা টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন। খুবই সুন্দর ছিল আপনার কাজটা। এবং প্রতিটা ধাপ বেশ চমৎকার উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।
ছোটবেলায় আমরাও নারিকেলের পাতা দিয়ে চশমা তৈরি করে চোখে পরে ঘুরে বেড়াতাম। অনেক সুন্দর ছিলো সেই দিনগুলো।
আপনার কাগজের তৈরি চসমা দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ছোট বেলায় আমি নারিকেল এর পাতা দিয়ে এমন চসমা তৈরি করে খেলাধুলা করতাম। তবে আপনার তৈরি কাগজের চসমা দেখতে অসাধারন লাগছে। ধন্যবাদ তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করে দেখানোর জন্য।
আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব কিউট লাগছে দেখতে আপনার বানানো চশমা টা আপু।এই ধরনের অরিগামি দেখতে বেশ ভালো লাগে।খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।