কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা আজ রাজপথে||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে লিখতে চলেছি সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরে গিয়েছেন যারা বাংলাদেশি বন্ধুরা রয়েছেন।আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা আজ রাজপথে নেমেছে নিজেদের অধিকার নিশ্চিত করতে।একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ হিসেবে প্রত্যেকের চাওয়া যে দেশে কোনো ধরনের বৈষম্য না থাকুক। কোটা বিরোধী আন্দোলন কে সমর্থন জানিয়েছে আমাদের দেশের সাধারণ জনগণও।প্রত্যেক জায়গায় দুর্নীতি, কোটা মানুষের জীবনকে জর্জরিত করে তুলেছে।এই কোটার ভিত্তিতে অযোগ্যরা স্থান করে নিচ্ছেন দেশের বড় বড় সেক্টরে।আর পিছিয়ে পড়ছে বাংলার মেধাবী শিক্ষার্থীরা।এভাবে চলতে চলতে এক পর্যায়ে দেশটি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে অচিরেই।আমাদের এই সোনার দেশটিকে রক্ষা করতে আজকে মাঠে নেমেছে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন আজকে আমাদের দেশকে পুরোপুরি শাট ডাউন দেওয়া হয়েছে।
কোটা বিরোধী আন্দোলনের এই মহৎ কাজ কে ভেটো দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং সরকার পক্ষের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর লোকজন।ইতিমধ্যে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন এছাড়া নিহত হয়েছেন অনেকেই ।কিছুক্ষণ আগে আমাদের ফরিদপুরের গ্রুপে দেখতে পেলাম একটি মেয়ে আহত হয়েছেন। মাথা ফেটে অঝরে রক্ত ঝরছে।আসলে এগুলো মেনে নেওয়াটা আসলেই দুস্কর। একটি দেশ যদি সরকার এবং রাষ্ট্রপক্ষ চালিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ তাদের মতামত গুলো প্রকাশ করতে না পারেন।তাহলে আমরা কেমন স্বাধীন রাষ্ট্রের বাসিন্দা।একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে কিসের এত বৈষম্য।সবাই নিজ নিজ মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে যেকোনো সেক্টরে যেতে পারার সুযোগ চেয়েছে এই দাবি মেনে নিলেই ফয়সালা টা হয়ে যায়।
গতকাল একটি নিউজে দেখলাম একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যিনি একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।তিনিও চাচ্ছেন এই কোটা পদ্ধতির বিলুপ্তি ঘটুক।আসলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যারা রয়েছেন এবং তাদের বংশধর তারা তাদের মেধা দ্বারাই দেশকে এগিয়ে নিতে চাচ্ছেন।।এছাড়া তারা এত কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশকে যার তার হাতে তুলে দিতে ইচ্ছুক নয়।একজন যোগ্য, সৎ,কর্মথ ব্যক্তির হাতেই সোনার বাংলাদেশকে হস্তান্তর করতে রাজি।১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে রাজপথে নেমেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেকে শহীদ হওয়ার পর আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভাষা রাষ্ট্রভাষা করতে সক্ষম হয়েছিলাম।এবার শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি কলেজগুলো রাজপথে নেমেছে আজ।আমরা আশাবাদী এবারও আমরাই বিজয়ী হবো।এখন পর্যন্ত শহীদ ভাইয়েরা এবং সাধারণ জনগণের আশা এতো সহজেই বিনাশ হবেনা ।বাংলাদেশ হবে কোটা মুক্ত দেশ।সবাই স্বাধীন দেশে নিজের মত বাঁচবে।মেধাবীরা জায়গা করে নেবে সরকারি উচ্চ পদস্থ পদ গুলো।আপনারা সবাই দোয়া করবেন কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যেন সাধারণ শিক্ষার্থী বিজয়ী হতে পারেন।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 18th July,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

সত্যি বলতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এমন ঘটনা নজির বিহীন। যেগুলো প্রাণ ঝরে গেছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এবং কোটা আন্দোলনে ছাত্রজল জয় লাভ করুক। মেধাই হোক কোটা শক্তি । ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে করার জন্য
দেশের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হয় পৃথিবীতে আমরা সবচেয়ে বেশি অসহায়। বিশেষ করে নিরীহ ছাত্রছাত্রীদেরকে যেভাবে পেটানো হচ্ছে এটা দেখে সত্যিই খারাপ লাগছে। তারা নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবিতে নেমেছে। আশা করছি অধিকার আদায় করে ছাড়বে।