দীঘায় যাওয়ার কিছু মুহুর্ত পর্ব-২
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।গত পর্বে আমি দীঘা যাওয়ার কিছুটা গল্প আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আজকে আমি আপনাদের সাথে দীঘায় যাওয়ার পর কি কি করলাম সেটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
আমরা বুধবার দিনকে দীঘা গিয়েছিলাম এবং আমাদের চার ঘন্টা সময় কি করে যে কেটে গেছিল সেটা বুঝতেই পারিনি। যাই হোক আমরা পুরো দশটার সময় দীঘা এসে পৌছালাম। পৌঁছে ওখান থেকে ওল্ড দিঘায় হোটেল নিয়েছিলাম ।সবাই বলে নিউ দীঘা সব থেকে বেশি সুন্দর কিন্তু আমরা বরাবরই যখনই দিঘাতে যাই ওল্ড দিঘাই আমাদের কাছে খুব ভালো লাগে ।এখন নিউ দীঘা, ওল্ড নিউ দুটোই খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে বর্তমানে । তাই সেদিনকে আমরা ওল্ড দিঘার কাছাকাছি খুব সুন্দর একটা হোটেলে থেকেছিলাম এবং সেটা আমাদের ভাই বোনদের সবার ভীষণ পছন্দ ছিল। তারও একটা কারণ ছিল আমাদের সব ভাই-বোনদের একটা রুম দিয়ে দেওয়া হয়েছিল ।যেখানে আমরা সবাই একসাথে থাকবো এর জন্য আরো বেশি ভালো লেগেছিল আমাদের কাছে। এছাড়া ও ঘরের জানলা খুললেই সমুদ্রের ঢেউ দেখা যাচ্ছে এমনই একটি ঘর আমরা বেছে নিয়েছিলাম থাকার জন্য। আর তার সাথে হোটেলে সুইমিং পুলের ব্যাবস্থা ছিল।
তো আমরা তাড়াতাড়ি রুমে ফ্রেশ হয়ে সুইমিং পুলেই সেদিন স্নান করেছি। সেদিনকে বিচে গেলে অনেকটা দেরি হয়ে যেত তাই আর সেদিন বিচে স্নান করিনি । তারপর ওল্ড দীঘার সামনে একটা ভালো খাবার দোকান দেখে সেখানে লাঞ্চ করে নিলাম । তারপর একটুখানি রেস্ট নিয়ে সন্ধ্যে হতে হতেই সবাই মিলে রেডি হয়ে সি বিচের ধারে ঘুরতে গেলাম ।সন্ধ্যেবেলায় বিচের সামনেটা ভীষণ সুন্দর করে সাজানো রয়েছে দেখলাম। অনেক কিছু বদলে আছে। তার সাথে এখানকার একটা বিশেষত্ব হলো বিচের সামনে অনেকেই যারা বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে বসেছে বিক্রি করার জন্য, তারা সকলেই এখানে মেয়ে বা মায়েরাই ।নিজেদের রুজি রোজগারের জন্য অনেক কিছু নিয়ে বসেছে ।আমি এখানে কোনো ছেলেকে বসতে দেখিনি। সকল মেয়েরা /মায়েরাই ছিল যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।
খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে বাঙালির কিন্তু জুড়ি মেলা ভার ।তাই মাছ থেকে শুরু করে চাইনিজ,থাই, ইতালিয়ানসহ সকল ধরনের খাবার এখানে পাওয়া যায় । কিন্তু আমি খুব একটা সামুদ্রিক মাছ খেতে ভালোবাসিনা ।তাই আমি কোনো মাছই খাইনি। এছাড়াও এখান থেকে আমরা সবাই একসাথে ফুচকা খেলাম যেখানে কলকাতায় ১০ টাকায় তিনটে ফুচকা দেয় কিন্তু দিঘাতে এসে দেখলাম ছটা ফুচকা দিচ্ছে আর তার সাথে টেস্ট ও ভীষণ সুন্দর ।তাই সবাই মিলে ফুচকা খেলাম ।এছাড়াও অনেক কিছু কেনাকাটি করলাম ।ঝিনুকের জিনিসগুলি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তাই জন্য কয়েকটা ঝিনুকের সোপিস কিনেছি। এছাড়াও ঘর সাজানোর কিছু কিছু জিনিস কিনেছি। তারপর সবাই মিলে বিচের সামনে বসে একসাথে চা খেয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে রাতের ডিনার করে সেদিনের মতো হোটেলে ঢুকে গিয়েছিলাম । এর পরের দিন আমরা দীঘার সাইড সিন গুলো দেখেছি সেগুলো আমি আপনাদের সাথে পরের পর্বের ভাগ করে নেবো।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

সন্ধ্যেবেলা বিচের সামনেটা সত্যি খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে আপু। আপনাদের থাকার হোটেলটা সত্যি খুব সুন্দর ছিল। আপনাদের ভাইবোনদের মত আমারও হোটেলটা খুবই পছন্দ হয়েছে পরিবেশটা খুবই সুন্দর সুইমিং পুলটা খুবই সুন্দর লাগছে। এদিকে দোকানগুলোতে সত্যি খুব সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখলাম। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার যেতে ইচ্ছে করছে যদিও মনে হয় না কখনো যেতে পারবো না তারপরও ইচ্ছে করছে যাওয়ার। আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার দীঘায় ভ্রমন প্রথম পর্ব পড়েছিলাম । আজকে দ্বিতীয় পর্বটা পড়লাম। ভালই আনন্দ করেছেন। সমুদ্রের সাথে রুম পেয়েছে,ভাই বোন সবাই মিয়ে এক সাথে থেকেছেন,সুইমিং পুলে গোসল করেছেন। সব থেকে বড় কথা হলো কলকাতায় ১০ টাকায় তিনটে ফুচকা খেলেও এখানে দশ টাকায় ছটা ফুচকা খেয়েছেন,হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
দিদি কখনো যাওয়া সম্ভব হবে কিনা জানিনা তবে আপনার এই সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি দেখে আমার ইচ্ছে করছে এখনি চলে যাই। হোটেলের ভিতরের আর বাহিরের দুটো পরিবেশই দেখতে খুব সুন্দর। পরিবারের সবাই মিলে এভাবে ঘুরতে গেলে আমার অনেক ভালো লাগে। বিচের সামনে খুব সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখতে পাচ্ছি। এছাড়া রাতের দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
টিভিতে বা সিরিজে এই দীঘার অনেক নাম শুনেছি।তবে আজকেই কিছু ছবি দেখার সৌভাগ্য হলো।
প্রিয় দিদি
দীঘায় কাটানো প্রতিটি মূহুর্ত দারুন প্রান বন্দর ছিল ৷ সেই আলোকচিত্র গুলো ৷ সেখানে দোকানদার মেয়েরা যেটা অনেক ভালো লাগলো ৷ এরপর বিচে স্নান করছেন ৷ আর বিভিন্ন নকশাঁ ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল ৷
ধন্যবাদ অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ৷
দিদি আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে খুব ইচ্ছে করছে ছুটে চলে যাই।জায়গাটা এত সুন্দর লাগছে, ফটোগ্রাফিতে আরো সুন্দর হয়ে ফুটে উঠেছে। আপনার ভাই - বোনদের হোটেলটা খুব পছন্দ হয়েছে।আসলে পছন্দ হওয়ার মতই হোটেলটি। হোটেলের পরিবেশ ও সুইমিং পুল ও দারুন লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফিতে দোকানগুলোতে দারুন দারুন অনেক জিনিস দেখতে পেলাম।খুব সুন্দর লাগলো সব জিনিসগুলো। আপনি সামুদ্রিক মাছ তেমন খান না, তাই মাছ খাওয়া হয়নি আপনার। ফুচকা খেলেন যেখানে ১০ টাকায় কলকাতায় ৩ টি ফুচকা পাওয়া যায়, দিঘাতে ৬ টি পাওয়া যায় আবার টেস্ট ও দারুন।আপনারা কিছু কেনাকাটা করলেন, বেশ ভাল সময় পার করেছেন। আপনার দিদি ঝিনুকের জিনিস খুব পছন্দ, আমারও তাই।শেয়ার করার চেষ্টা অনেক ধন্যবাদ দিদি। অনেক শুভকামনা রইল আপনার আর আপনার পরিবারের জন্য।