শীতের সকালে খেজুরের রস অভিযান
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ১১ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
আসলে শীতকাল চলে আসলেই গ্ৰাম এলাকার সৌন্দর্য অনেক টা বৃদ্ধি পায়। আসলে শীতকালে গ্ৰাম এলাকার মূল সৌন্দর্য হচ্ছে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খেজুরের রস খাওয়া।আর সকাল বেলা খেজুরের রস খেতে অনেক মজা লাগে। কেননা, সকাল বেলা যখন খেজুরের রস টি খেজুর গাছ থেকে নামানো হয় তখন খেজুরের রস গুলো একদম টাটকা থাকে।আর এই টাটকা অবস্থায় রস খেতে অনেক মজা লাগে। এই বিষয়ে হয়তো আপনারা সকলেই অবগত আছেন। বিশেষ করে আপনারা যারা গ্ৰামের মধ্যে বসবাস করে থাকেন তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন। শীতকালে গাছী দের একটু বেশি লাভ হয় রসের ব্যবসায়। কেননা, শীতকালে কম বেশি সকলেই খেজুরের রস খেতে পছন্দ করেন।
আমার বাসা গ্ৰামের মধ্যে হলে ও আমাদের এলাকার মধ্যে তেমন একটা খেজুরের গাছ নেই। আমরা বেশ কিছু দিন ধরে ভাবছিলাম যে সকাল বেলা খেজুরের রস খেতে যাবো। কিন্তু আমাদের যাবো যাবো করে আর যাওয়া হচ্ছিল না। আসলে শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠতে আলসামো লাগে।আর আমার খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার কোনো অভ্যাস নেই আগে থেকেই।গত দুই দিন আগে আমার এক চাচাত ভাই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে রস খেতে যাওয়ার জন্য আমাকে ফোন করে। আমিও অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। বেশ কিছু সময়ের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম রস খেতে যাওয়ার জন্য। আসলে যেহেতু আমাদের এলাকার মধ্যে তেমন একটা খেজুরের গাছ নেই, তাই আমরা আমাদের এলাকা থেকে কিছু টা দুরে রস খেতে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম।
আসলে এবছর শীতকালে এর আগে এখন পর্যন্ত কোন দিন রস খেতে যাওয়া হয়নি।এটাই ছিল আমার প্রথম দিন।তাই আমাদের জানামতে তেমন কোন পরিচিত খেজুর বাগান জানা নেই। আমরা রস খাওয়ার জন্য প্রথমে আমাদের এলাকার পাশ্ববর্তী এলাকা মাঠের হাটের দিকে যেতে শুরু করলাম। মাঠের হাটে গিয়ে দেখতে পারলাম এখন পর্যন্ত গাছের মধ্যে হাড়ি লাগানি, শুধু মাত্র গাছ কেটে রেখেছে। তবে, হয়তো আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই হাড়ি লাগাবে। যেহেতু আমাদের এখানে রস খাওয়া হলো না।তাই আমরা রস খাওয়ার জন্য আমাদের পাশ্ববর্তী এলাকা, ব্যাকি পাড়ায় চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম বেশ কয়েকটি খেজুরের গাছ রয়েছে।
আমরা আমাদের বাইক নিয়ে একেবারে খেজুর বাগানের মধ্যে প্রবেশ করলাম। বাগানের মধ্যে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম প্রতিটি গাছের মধ্যে হাড়ি লাগানো হয়েছে। বাগানের মধ্যে আমরা একটি ছোট ঘর দেখতে পারলাম, সেই ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখলাম বাগান মালিক ঘুমাচ্ছে। আমরা বাগান মালিক কে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে আসলাম রস খাওয়ার জন্য।সব গুলো গাছের মধ্যে কিছু পরিমাণ রস পড়েছিল। বাগান মালিক আমাদের থেকে প্রতি লিটার খেজুরের রস একশত পঞ্চাশ টাকা করে ঠিক করে। আসলে এই খেজুরের রসের ফিক্সড কোন দাম নেই।একেক জায়গায় একেক রকম দাম। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে বাগান মালিক খেজুর গাছের মধ্যে উঠে পড়ে।এক এক করে বেশ কয়েকটি গাছের মধ্য থেকে খেজুরের রস পাড়ে।
সব গুলো গাছের রস গুলো নামানোর পর একটি বড় পাতিলের মধ্যে ঢেলে নেয়। এরপর আমাদের কে মেপে মেপে দেয় রস গুলো।রস গুলো খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। তবে, এটাই ছিল এবছরের প্রথম খেজুরের রস খাওয়া। তবে, ইচ্ছা আছে আবার সে জায়গায় চলে যাবো রস খেতে।আর খেজুরের গাছের টাটকা রস খেতে অনেক মজা লাগে। যারা টাটকা রস খেয়েছিলেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর যারা এখন পর্যন্ত এই বছর খেজুরের রস খাননি তারা অবশ্যই খেজুরের রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। শীতকালে খেজুরের রস খাওয়ার হচ্ছে শীতকালের একটি প্রাচীন তম ঐতিহ্য।এক সাথে বেশ কয়েকজন রস খেতে অনেক মজা লাগে। যাইহোক, আমরা খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছিলাম সেদিন।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অসাধারণ সুন্দর শীতকালীন খেজুর রস। দারুণ লাগে খেতে।শীতকালে খেজুরের রসের প্রতি দূর্বলতা প্রতিটি মানুষের। আমরা বিকেলে খেজুর রস খেয়েছিলাম কিছুদিন আগে অনেক মিষ্টি প্রাণ জুরানো রস ছিলো খেয়ে তৃপ্ত হয়েছিলাম। আপনি দেখছি ছেকে খাচ্ছেন বেশ ভালো লাগলো দেখে আমাদেরকে এভাবে ছেকে দেয়নি। দুঃখের বিষয় খেজুর রস খেয়ে খুব অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম সবাই। আপনার খেজুরের রসের গ্লাসটি দেখে মন চাচ্ছে খেতে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
গাছ থেকে রস নামানোর সাথে সাথে রস খেতে অনেক মজা লাগে। আসলে খেজুরের রসের মধ্যে অনেক ধরনের ময়লা থাকে, তাই ছ্যাঁকা দিয়ে খাইতে হয়।
ভাই খেজুরের রস খাওয়া অনেক ভালো তবে একটু দেখে শুনে নিরাপদ খেজুরের রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ খেজুরের রসে অনেক কিছু উপস্থিত হয় এবং নোংরা মিষায়। যাই হোক শীতের সময় কিন্তু খেজুরের রস খাওয়ার উপযুক্ত সময় তাই আমারও ভালো লাগে।
আমরা সাথে থেকে গাছ থেকে নামিয়ে খেয়েছিলাম, তাই মনে হয়েছিল যে কোন ধরনের জিনিস মিশ্রণ করেনি।
শীতের সকালে খেজুরের রস খেতে কি যে ভালো লাগে,যে খেয়েছে সে শুধু জানে। আসলে আমরা কমবেশি সবাই খেজুরের রসের প্রতি একটু দুর্বল।এই শীতের সকালে আপনি আপনার চাচাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খেজুরের বাগান থেকে খেজুরের রস খেয়েছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৫০ টাকা করে নিয়েছে কম তো ভাই। আমাদের এখানে ২০০ টাকা করে নেয়। শীতকালে খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। বেশ জমিয়ে খেয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। চমৎকার অনূভুতি ছিলো ধন্যবাদ আপনাকে।